আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪২- সাক্ষ্যপ্রদানের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৬৪
১৬৫৯. বাচ্চাদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া এবং তাদের সাক্ষ্যদান। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমাদের সন্তন-সন্ততি বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তারাও যেন অনুমতি চায়- (২৪:৫৯)।
মুগীরা (রাহঃ) বলেন, বারো বছর বয়সে আমি সাবালক হয়েছি। আর মেয়েরা সাবালেগা হয় হায়য হলে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তোমাদের যে সব মেয়েরা ঋতুস্রাবের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে .... সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত - (সূরা আত্-তালাক্বঃ ৬৫ঃ৪)। হাসান ইবনে সালিহ (রাহঃ) বলেন, আমাদের এক প্রতিবেশীকে একুশ বছর বয়সেই আমি নানী হতে দেখেছি।
মুগীরা (রাহঃ) বলেন, বারো বছর বয়সে আমি সাবালক হয়েছি। আর মেয়েরা সাবালেগা হয় হায়য হলে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তোমাদের যে সব মেয়েরা ঋতুস্রাবের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে .... সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত - (সূরা আত্-তালাক্বঃ ৬৫ঃ৪)। হাসান ইবনে সালিহ (রাহঃ) বলেন, আমাদের এক প্রতিবেশীকে একুশ বছর বয়সেই আমি নানী হতে দেখেছি।
২৪৮৮। উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, উহুদ যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে তাকে (ইবনে উমরকে) পেশ করা হলো, তখন তিনি চৌদ্দ বছরের বালক। (ইবনে উমর বলেন) তখন তিনি আমাকে (যুদ্ধে গমনের) অনুমতি দেননি। পরে খন্দকের যুদ্ধে পেশ করা হলে তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন। তখন আমি পনের বছরের যুবক।
নাফি (রাহঃ) বলেন, আমি খলীফা উমর ইবনে আব্দুল আযীযের কাছে গিয়ে এ হাদীস শোনলাম। (হাদীস শুনে) তিনি বললেন, এটাই হচ্ছে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়সের সীমারেখা। এরপর তিনি তার গভর্নরদেরকে লিখিত নির্দেশ পাঠালেন যে, (সেনাবাহিনীতে) যাদের বয়স পনেরতে উপনীত হয়েছে তাদের জন্য যেন ভাতা নির্ধারণ করেন।
নাফি (রাহঃ) বলেন, আমি খলীফা উমর ইবনে আব্দুল আযীযের কাছে গিয়ে এ হাদীস শোনলাম। (হাদীস শুনে) তিনি বললেন, এটাই হচ্ছে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়সের সীমারেখা। এরপর তিনি তার গভর্নরদেরকে লিখিত নির্দেশ পাঠালেন যে, (সেনাবাহিনীতে) যাদের বয়স পনেরতে উপনীত হয়েছে তাদের জন্য যেন ভাতা নির্ধারণ করেন।
باب بُلُوغِ الصِّبْيَانِ وَشَهَادَتِهِمْ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِذَا بَلَغَ الأَطْفَالُ مِنْكُمُ الحُلُمَ، فَلْيَسْتَأْذِنُوا} [النور: 59] وَقَالَ مُغِيرَةُ: «احْتَلَمْتُ وَأَنَا ابْنُ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً» وَبُلُوغُ النِّسَاءِ فِي الحَيْضِ، لِقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ المَحِيضِ مِنْ نِسَائِكُمْ} [الطلاق: 4] إِلَى قَوْلِهِ {أَنْ يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ} [الطلاق: 4] وَقَالَ الحَسَنُ بْنُ صَالِحٍ: «أَدْرَكْتُ جَارَةً لَنَا جَدَّةً، بِنْتَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ سَنَةً»
2664 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي نَافِعٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَرَضَهُ يَوْمَ أُحُدٍ، وَهُوَ ابْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ سَنَةً، فَلَمْ يُجِزْنِي ثُمَّ عَرَضَنِي يَوْمَ الخَنْدَقِ، وَأَنَا ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، فَأَجَازَنِي» ، قَالَ نَافِعٌ فَقَدِمْتُ عَلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ العَزِيزِ وَهُوَ خَلِيفَةٌ، فَحَدَّثْتُهُ هَذَا الحَدِيثَ فَقَالَ: «إِنَّ هَذَا لَحَدٌّ بَيْنَ الصَّغِيرِ وَالكَبِيرِ، وَكَتَبَ إِلَى عُمَّالِهِ أَنْ يَفْرِضُوا لِمَنْ بَلَغَ خَمْسَ عَشْرَةَ»
