কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৪৮. সাজসজ্জা-পরিচ্ছন্নতার অধ্যায়
হাদীস নং: ৫১৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫১৮৪
উবায়দা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস
৫১৮৩. আহমাদ ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) ......... উবাইদা (রাহঃ) আলী (রাযিঃ) থেকে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লাল রেশমী গদী ও রেশমী কাপড় পরিধান করতে এবং সোনার আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
حَدِيثُ عَبِيدَةَ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ قَالَ أَنْبَأَنَا هِشَامٌ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبِيدَةَ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ نَهَى عَنْ مَيَاثِرِ الْأُرْجُوَانِ وَلُبْسِ الْقَسِّيِّ وَخَاتَمِ الذَّهَبِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বিভিন্ন রেশমী পোশাকের নিষেধাজ্ঞা
وعن المياثر الحمر এবং (তিনি নিষেধ করেছেন) লাল মায়াছির ব্যবহার করতে”। ইমাম নববী রহ. "المياثر -এর ব্যাখ্যা করেছেন যে, এ শব্দটি ميثرة এর বহুবচন। এটা একরকম গদি। রেশম দ্বারা তৈরি করা হয়। ভেতরে তুলা বা অন্যকিছুর পুর দেওয়া হয়। এটা উট, গাধা ইত্যাদি বাহনের পিঠে রেখে আরোহী তার উপর বসে।
হাদীছে বিশেষভাবে লাল মায়াছির নিষেধ করা হয়েছে এ কারণে যে, অনারব জাতির বিভিন্ন লোক বিলাসিতা হিসেবে সাধারণত লাল মায়াছির ব্যবহার করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে রেশমের তৈরি সব মায়াছিরই হারাম, তা যে রঙেরই হোক।
وعن القسي এবং (নিষেধ করেছেন) কাস্সী ব্যবহার করতে'। ইমাম নববী রহ. বলেন, এটা রেশম ও তুলার সুতায় বোনা একরকম কাপড়। এরূপ কাপড়ও ব্যবহার করা নাজায়েয, যদি রেশমের পরিমাণ সুতা অপেক্ষা বেশি হয়। 'কাস্স' মিসরের একটি জায়গার নাম। এ কাপড় বেশিরভাগ সেখানে তৈরি হত। তাই একে 'কাস্সী' বলা হয়। কেউ বলেছেন, قس (কাস্স) মূলত قز (কাযয)-এর পরিবর্তিত রূপ। কাযয মানে নিম্নমানের রেশম।
وعن لبس الحرير এবং (নিষেধ করেছেন) রেশম ব্যবহার করতে। অর্থাৎ, রেশমি পোশাক ব্যবহার করতে। এক হাদীছে ইরশাদ হয়েছে - من لبس الحرير في الدنيا لم يلبسه في الآخرة 'যে ব্যক্তি দুনিয়ায় রেশমী পোশাক পরে, সে আখেরাতে তা পরতে পারবে না।
তবে এ নিষেধাজ্ঞা কেবল পুরুষের জন্য। নারীর জন্য রেশমী পোশাক পরা জায়েয, যেমন তাদের জন্য স্বর্ণালঙ্কারও জায়েয। হযরত উকবা ইবন আমির রাযি থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ- الذهب والحرير حل لإناث أمتي وحرام على ذكورها সোনা ও রেশম আমার উম্মতের মহিলাদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম।
হযরত আলী রাযি. বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বাম হাতে রেশম এবং ডান হাতে স্বর্ণ ধরলেন। তারপর দু'হাত তুলে বললেনঃ- إن هذين حرام على ذكور أمتي، حل لإنائهم ‘এ দুটি আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম, মহিলাদের জন্য হালাল।
শায়খ আবূ মুহাম্মাদ রহ. এ নিষেধাজ্ঞার হিকমত বর্ণনা করেন যে, সাজসজ্জার ব্যাপারে নারীদের সংযম কম। তাই এটা তাদের জন্য হালাল করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষত এ কারণেও যে, তাদের সাজসজ্জা হবে কেবল স্বামীদের জন্য। এর দ্বারা বোঝা যায় পুরুষদের জন্য বেশি সাজসজ্জা ও উপভোগের বস্তু ব্যবহার করা ভালো নয়। কেননা এটা নারীর বৈশিষ্ট্য।
والإستبرق والديباج ‘এবং (তিনি নিষেধ করেছেন) ইসতাবরাক ও দীবাজ ব্যবহার করতে। ইসতাবরাক বলা হয় মোটা রেশমী কাপড়কে। আর দীবাজ হচ্ছে চিকন রেশমী কাপড় ।
وعن المياثر الحمر এবং (তিনি নিষেধ করেছেন) লাল মায়াছির ব্যবহার করতে”। ইমাম নববী রহ. "المياثر -এর ব্যাখ্যা করেছেন যে, এ শব্দটি ميثرة এর বহুবচন। এটা একরকম গদি। রেশম দ্বারা তৈরি করা হয়। ভেতরে তুলা বা অন্যকিছুর পুর দেওয়া হয়। এটা উট, গাধা ইত্যাদি বাহনের পিঠে রেখে আরোহী তার উপর বসে।
হাদীছে বিশেষভাবে লাল মায়াছির নিষেধ করা হয়েছে এ কারণে যে, অনারব জাতির বিভিন্ন লোক বিলাসিতা হিসেবে সাধারণত লাল মায়াছির ব্যবহার করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে রেশমের তৈরি সব মায়াছিরই হারাম, তা যে রঙেরই হোক।
وعن القسي এবং (নিষেধ করেছেন) কাস্সী ব্যবহার করতে'। ইমাম নববী রহ. বলেন, এটা রেশম ও তুলার সুতায় বোনা একরকম কাপড়। এরূপ কাপড়ও ব্যবহার করা নাজায়েয, যদি রেশমের পরিমাণ সুতা অপেক্ষা বেশি হয়। 'কাস্স' মিসরের একটি জায়গার নাম। এ কাপড় বেশিরভাগ সেখানে তৈরি হত। তাই একে 'কাস্সী' বলা হয়। কেউ বলেছেন, قس (কাস্স) মূলত قز (কাযয)-এর পরিবর্তিত রূপ। কাযয মানে নিম্নমানের রেশম।
وعن لبس الحرير এবং (নিষেধ করেছেন) রেশম ব্যবহার করতে। অর্থাৎ, রেশমি পোশাক ব্যবহার করতে। এক হাদীছে ইরশাদ হয়েছে - من لبس الحرير في الدنيا لم يلبسه في الآخرة 'যে ব্যক্তি দুনিয়ায় রেশমী পোশাক পরে, সে আখেরাতে তা পরতে পারবে না।
তবে এ নিষেধাজ্ঞা কেবল পুরুষের জন্য। নারীর জন্য রেশমী পোশাক পরা জায়েয, যেমন তাদের জন্য স্বর্ণালঙ্কারও জায়েয। হযরত উকবা ইবন আমির রাযি থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ- الذهب والحرير حل لإناث أمتي وحرام على ذكورها সোনা ও রেশম আমার উম্মতের মহিলাদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম।
হযরত আলী রাযি. বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বাম হাতে রেশম এবং ডান হাতে স্বর্ণ ধরলেন। তারপর দু'হাত তুলে বললেনঃ- إن هذين حرام على ذكور أمتي، حل لإنائهم ‘এ দুটি আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম, মহিলাদের জন্য হালাল।
শায়খ আবূ মুহাম্মাদ রহ. এ নিষেধাজ্ঞার হিকমত বর্ণনা করেন যে, সাজসজ্জার ব্যাপারে নারীদের সংযম কম। তাই এটা তাদের জন্য হালাল করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষত এ কারণেও যে, তাদের সাজসজ্জা হবে কেবল স্বামীদের জন্য। এর দ্বারা বোঝা যায় পুরুষদের জন্য বেশি সাজসজ্জা ও উপভোগের বস্তু ব্যবহার করা ভালো নয়। কেননা এটা নারীর বৈশিষ্ট্য।
والإستبرق والديباج ‘এবং (তিনি নিষেধ করেছেন) ইসতাবরাক ও দীবাজ ব্যবহার করতে। ইসতাবরাক বলা হয় মোটা রেশমী কাপড়কে। আর দীবাজ হচ্ছে চিকন রেশমী কাপড় ।
