আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪২- সাক্ষ্যপ্রদানের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৩৮
১৬৪৪. অন্তরালে অবস্থানকারী ব্যক্তির সাক্ষ্যদান। আমর ইবনে হুরায়স (রাহঃ) এ ধরনের সাক্ষ্য বৈধ বলে মত প্রকাশ করেছেন; তিনি বলেন,পাপাচারী মিথ্যুক লোকের বিরুদ্ধে এরূপ সাক্ষ্য গ্রহণ করা যেতে পারে। ইমাম শাবী, ইবনে সীরীন, আতা ও কাতাদাহ (রাহঃ) বলেন, শুনতে পেলেই সাক্ষী হওয়া যায়। হাসান বসরী (রাহঃ) বলেন, (এরূপ ক্ষেত্রে সে বলবে) আমাকে এরা সাক্ষী বানায়নি, তবে আমি এরূপ এরূপ শুনেছি।
২৪৬২। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও উবাই ইবনে কা’ব আনসারী (রাযিঃ) সেই খেজুর বাগানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন, যেখানে ইবনে সাইয়াদ থাকত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন (বাগানে) প্রবেশ করলেন, তখন তিনি সতর্কতার সাথে খেজুর শাখার আড়ালে আড়ালে চললেন। তিনি চাচ্ছিলেন, ইবনে সাইয়াদ তাকে দেখে ফেলার আগেই তিনি তার কোন কথা শুনে নিবেন। ইবনে সাইয়াদ তখন চাঁদর মুড়ি দিয়ে বিছানায় শায়িত ছিলো। আর গুণ গুণ বা (রাবী বলেছেন) গুমগুমভাবে কিছু বলছিল। এ সময় ইবনে সাইয়াদের মা নবী (ﷺ) কে খেজুর শাখার আড়ালে আড়ালে সতর্কতার সাথে আসতে দেখে ইবনে সাইয়াদকে বলল, হে সাফ! (নামের সংক্ষেপ) এই মুহাম্মাদ! তখন ইবনে সাইয়াদ চুপ হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে (তার মা) যদি (কিছু না বলে) তাকে নিজের অবস্থায় ছেড়ে দিত, তাহলে (তার প্রকৃত অবস্থা আমাদের সামনে) প্রকাশ পেয়ে যেত।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন