কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

৪৭. ঈমান এবং ঈমানের শাখা প্রশাখার বিবরণ

হাদীস নং: ৫০১৬
আন্তর্জতিক নং: ৫০১৬

পরিচ্ছেদঃ ঈমানের আলামত

৫০১৫. ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও হুমায়দ ইবনে মাসআদা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ পূর্ণ মু’মিন হবে না, যে পর্যন্ত না সে স্বীয় ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।

হাদীসের ব্যাখ্যাঃ

এ হাদীছে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সম্পর্কে শিক্ষাদান করেছেন, যা ঈমানের দাবিও বটে। তা হচ্ছে, নিজের জন্য যা পসন্দ করা হয় তা মুসলিম ভাইয়ের জন্যও পসন্দ করা এবং নিজের জন্য যা অপসন্দ করা হয় তা মুসলিম ভাইয়ের জন্যও অপসন্দ করা। তিনি বলেন, لا يؤمن أحدكم ‘তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না'। অর্থাৎ পরিপূর্ণ মুমিন। মুমিন না হতে পারার দ্বারা ঈমানের উচ্চতর স্তরে না পৌছা এবং ঈমানের হাকীকত ও গভীরতায় উপনীত না হওয়ার কথা বোঝানো উদ্দেশ্য। একেবারেই মুমিন হতে পারবে না, সে কথা বোঝানো হয়নি। তবে ইসলাম চায় তার অনুসারীগণ ঈমানের চূড়ান্ত ধাপে উপনীত হোক এবং ঈমানের গভীরতা তার মধ্যে এসে যাক। তাই দেখা যায় বহু হাদীছে যেসকল গুণ পরিপূর্ণ ঈমান বা চূড়ান্ত ধাপের ঈমানের শাখা, সেগুলো অর্জিত না হওয়ার ক্ষেত্রেও সাধারণভাবে ‘ঈমান অর্জিত না হওয়া' কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে। আলোচ্য হাদীছটিও সেরকমই। حتى يحب لاخيه যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য পসন্দ করবে। এখানে ভাই বলতে সাধারণভাবে যে-কোনও মুসলিম ভাইকে বোঝানো হয়েছে, সুনির্দিষ্ট কোনও মুসলিমকে নয়। কেননা সমস্ত মুমিন ভাই-ভাই; বরং সমস্ত মুসলিম একদেহতুল্য। ব্যক্তি যেমন তার দেহের সবগুলো অঙ্গকে সমান পরিচর্যা করে, কোনও অঙ্গকেই অবহেলা করে না, তেমনি মুসলিম ব্যক্তিরও কর্তব্য দুনিয়ার সমস্ত মুসলিমকে তার আপন মনে করা এবং সে হিসেবে প্রত্যেকের জন্য কল্যাণকামী হওয়া। কোনও কোনও আলেমের মতে এখানে ভাই বলে আরও ব্যাপকভাবে সমস্ত আদমসন্তানকে বোঝানো উদ্দেশ্য। এক আদি পিতামাতার সন্তান হিসেবে দুনিয়ার সমস্ত মানুষ ভাই-ভাই। সুতরাং প্রকৃত মুমিন হওয়ার জন্য কর্তব্য দুনিয়ার সমস্ত মানুষের প্রতি কল্যাণকামী হওয়া। ما يحب لنفسه 'যা সে নিজের জন্য পসন্দ করে। অর্থাৎ, ইবাদত-বন্দেগী ও বৈধ বিষয়াবলী। এমনিভাবে যা সে নিজের জন্য অপসন্দ করে তা তাদের জন্যও অপসন্দ করে। যেহেতু হাদীছের বক্তব্য দ্বারা এটা এমনিই বুঝে আসে তাই পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়নি। হাদীছটি সারকথা হচ্ছে, প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য নিজের জন্য সে যা কিছু ভালোবাসে তা অন্যান্য মানুষের জন্যও ভালবাসবে। একজন মুমিন হিসেবে ঈমান ও ইসলাম তার প্রিয়। কাজেই সে কামনা করবে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষ ঈমান ও ইসলামের অধিকারী হয়ে যায়। এ কারণেই অমুসলিমদের জন্য হিদায়াতের দুআ করা মুস্তাহাব। এ হাদীছ দ্বারা এ কথা বোঝানো উদ্দেশ্য নয় যে, কেবল এ গুণটি অর্জিত হলেই সে মুমিন হয়ে যাবে এবং তার জন্য ইসলামের অন্যান্য ফরযসমূহ পালন করা জরুরি হবে না। বরং এর দ্বারা উদ্দেশ্য কেবল ইসলামের অনুসারীদেরকে বিনয়, সচ্চরিত্র, ঐক্য ও সম্প্রীতির প্রতি উদ্বুদ্ধ করা। এসকল গুণ অর্জিত হলে পরস্পরের মধ্যে সাহায্য-সহযোগিতা জারি থাকবে। ফলে শরীআতের যাবতীয় বিধি-বিধান পালন করা সকলের জন্য সহজ হয়ে যাবে। এভাবে যেহেতু এ গুণটি গোটা দীন ও শরীআত কায়েমের পক্ষে সহায়ক, তাই এ হাদীছে এটি অর্জনের প্রতি জোর তাগিদ করা হয়েছে। এবং এর অর্জনকে ঈমানদার হওয়ার পক্ষে শর্ত সাব্যস্ত করা হয়েছে। নিজের জন্য যা পসন্দ করা হয় অন্যের জন্য তা পসন্দ করার মানে নিজেরটা তাকে দিয়ে দেওয়া নয়। বরং এর অর্থ হচ্ছে, অনুরূপ বিষয় বা বস্তু তারও হয়ে যাক এই কামনা করা। নিজেরটা দিয়ে দেওয়াকে ঈমানের জন্য শর্তারোপ করা হলে তা অনেকের জন্যই কঠিন হয়ে যাবে। ইসলাম সেরকম কঠিন বিধান আরোপকে পসন্দ করে না। তবে হাঁ, স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেউ যদি সেরকম উচ্চতর আদর্শ অবলম্বনে প্রস্তুত হয়ে যায় সেটা ভিন্ন কথা। একে ঈছার ও আত্মত্যাগ বলা হয়ে থাকে। ইসলামের ইতিহাসে এমন বহু মহান ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়, যারা নিজের প্রিয় বস্তু অন্যকে দিয়ে আনন্দ বোধ করতেন। মদীনার আনসারগণ তো এ বৈশিষ্ট্যেরই অধিকারী ছিলেন। কুরআন মাজীদে তাদের প্রশংসা করে বলা হয়েছেঃ- وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ “এবং তাদেরকে (মুহাজিরদেরকে) তারা নিজেদের উপর প্রাধান্য দেয়, যদিও, তাদের অভাব-অনটন থাকে। সূরা হাশর (৫৯), আয়াত ৯ ইসলাম এরকম আদর্শে উজ্জীবিত হতে উৎসাহ জানায়। যদিও তা বাধ্যতামূলক করেনি। কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে, নিজের প্রিয় জিনিস অন্যের জন্য পসন্দ করাটা তো অন্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে? কেননা অনেকেই এমন এমন জিনিস পসন্দ করে থাকে যা বাস্তবিক পক্ষে ক্ষতিকর, যেমন মদপান, ধূমপান, অবৈধ খেলাধুলা করা, নাচগান করা ইত্যাদি। এর উত্তর হচ্ছে, প্রকৃত মুমিনের কাছে কখনও এ জাতীয় জিনিস প্রিয় হতেই পারে না। হাদীছের মূলবার্তা হচ্ছে, প্রকৃত ঈমানদার হওয়ার তাগিদ। যাবতীয় মন্দ বস্তু ঈমানের পরিপন্থী। ফলে ঈমানদারের কাছে তা হবে ঘৃণ্য। সুতরাং সে তা নিজের জন্যও পসন্দ করবে না এবং অন্যের জন্যও তা পসন্দ করার অবকাশ আসবে না। হাদীছের বার্তা দ্বারা এ কথা এমনিই বুঝে আসে। ফলে সুষ্ঠু ও সুস্থ বোধ-বুদ্ধির অধিকারী ব্যক্তির মনে এরকম প্রশ্ন আসেই না। তারপরও বুঝের কমতির কারণে কারও মনে খটকা জাগতে পরে বিধায় খোদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষ থেকেই বিষয়টা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং কোনও কোনও বর্ণনায় ما يحب لنفسه (যা নিজের জন্য পসন্দ করে)-এর পর আছে من الخير (অর্থাৎ, উৎকৃষ্ট বস্তু)।[১] নিজের জন্য যা ভালোবাসা হয়, অন্যের জন্যও তা ভালোবাসা এবং নিজের জন্য যা অপসন্দ করা হয়, অন্যের জন্যও তা অপসন্দ করা অতি উন্নত একটি গুণ। এটা ঈমানেরও এক গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যেমনটা আলোচ্য হাদীছ দ্বারা উপলব্ধি করা যায়। কারও মধ্যে এ গুণের অভাব থাকলে তার ঈমান ও ইসলাম অপূর্ণ থেকে যায়। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদীছ ছাড়াও আরও বিভিন্ন হাদীছে এর প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। একবার হযরত ইয়াযীদ ইবনে আসাদ রাযি.-কে উপদেশ দিতে গিয়ে তিনি বলেনঃ- يا يزيد، أحب للناس ما تحب لنفسك “হে ইয়াযীদ! তুমি নিজের জন্য যা ভালোবাস মানুষের জন্যও তা ভালোবাসবে।[২] একবার শ্রেষ্ঠতম আমল সম্পর্কে হযরত মুআয ইবনে আনাস আলজুহানী রাযি এর জিজ্ঞাসার উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, وأن تحب للناس ما تحب لنفسك، وتكره لهم ما تكره لنفسك."এবং তুমি নিজের জন্য যা ভালোবাস মানুষের জন্যও তা ভালোবসবে। আর নিজের জন্য যা অপসন্দ কর মানুষের জন্যও তা অপসন্দ করবে।[৩] যদি জান্নাত পেতে চাও মুমিনের অভীষ্ট লক্ষ্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভ। এ লক্ষ্য অর্জনের প্রকৃষ্ট উপায় এ গুণের অধিকারী হয়ে যাওয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়াযীদ আল কসরী রাযি.-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি কি জান্নাত কামনা কর? ইয়াযীদ বললেন, হাঁ। তিনি বললেন- فاحب لاخيك ما تحب لنفسك এ তাহলে তুমি নিজের জন্য যা ভালোবাস তোমার ভাইয়ের জন্যও তা ভালোবেসো'।[৪] হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,فمن أحب أن يزحزح عن النار، ويدخل الجنة، فلتأته منيته وهو يؤمن بالله واليوم الآخر، وليأت إلى الناس الذي يحب أن يؤتى إليه “যে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতে প্রবেশ কামনা করে তার যেন এমন অবস্থায় মৃত্যু আসে যখন সে আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে এবং সে মানুষের প্রতি এমন আচরণ করে যেমন আচরণ তার সঙ্গে করা হোক বলে কামনা করে।[৫] অহংকার ও হাসাদ দমনের একটি ব্যবস্থা উল্লেখ্য, নিজ পসন্দের বিষয় অন্যের জন্য পসন্দ করা এবং নিজের অপসন্দনীয় বিষয় অন্যের জন্য অপসন্দ করার পক্ষে সবচেয়ে বড় বাধা অহংকার ও হাসাদ। মানবস্বভাব সবকিছুতে অন্যের উপর নিজ শ্রেষ্ঠত্ব চায়। কেউ তার সমান হয়ে গেলে বা উপরে উঠে গেলে সে তাতে ঈর্ষা বোধ করে। কাজেই অন্যের জন্য নিজ পসন্দনীয় জিনিস পসন্দ করলে বা নিজ অপসন্দের জিনিস অপসন্দ করলে তাতে উভয়ে সমস্তরের হয়ে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে অপর ব্যক্তি তার উপরে চলে যায়। এটা অহমিকায় বাঁধে। ঈর্ষাবোধও এটা মানতে পারে না। কাজেই মানবস্বভাব এ আমলের জন্য প্রস্তুত হতে পারে না। অথচ ঈমানের দাবী এ আমল করা, এছাড়া ঈমান পরিপূর্ণ হয় না। তবে কি আমাদের ঈমান অপূর্ণ থেকে যাবে? না, ঈমান অপূর্ণ রাখার সুযোগ নেই। ঈমানের এ দাবি অনুযায়ী আমাদের আমল করতেই হবে। আর তা করার জন্য আমাদেরকে নফসের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। এ সংগ্রাম অহংকার ও হাসাদ দমনের ওষুধও বটে। নিজ হাসাদ ও অহংকারপ্রবণ মন নিজ পসন্দের জিনিস অন্যের জন্য পসন্দ করতে চাবে না। তা যতই না চাক কেন তার সঙ্গে যুদ্ধে নেমে তা পসন্দ করে যেতে হবে। তার সঙ্গে যুদ্ধ করে এ আমল যত বেশি করা হতে থাকবে নফস ততই নিস্তেজ হতে থাকবে। ততই অহংকার ও হাসাদ দুর্বল হতে থাকবে। এক পর্যায়ে তা এমনই দুর্বল হয়ে পড়বে যে, তখন এ অসৎ স্বভাবের এতে বাধা দেওয়ার ক্ষমতাই থাকবে না। তখন এ আমল অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। এতদিন তো এ আমল তেতো লাগছিল। আর তখন নিজ পসন্দের জিনিস অন্যের অর্জিত হয়ে গেলে ভালো লাগবে এবং নিজ অপসন্দের জিনিস অন্যকে স্পর্শ না করলে আনন্দবোধ হবে। এটাও ঈমানের আস্বাদ, যা নিরবচ্ছিন্ন সাধনার দ্বারা অর্জিত হয়। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন - আমীন। হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ ক. এ হাদীছ আমাদেরকে পারস্পরিক ঐক্য ও সম্প্রীতি শিক্ষা দেয়। খ. আমাদেরকে অবশ্যই পরিপূর্ণ মুমিন হতে হবে। আর সে লক্ষ্যে আমাদের কর্তব্য হবে সর্বদা নিজ পসন্দের বিষয় অন্যের জন্য পসন্দ করা ও নিজ অপসন্দের বিষয় অন্যের জন্য অপসন্দ করা। গ. আমাদের যেহেতু এ আমল করতেই হবে, সেহেতু কোনও বাধা গ্রাহ্য করলে চলবে না। মনের অহংকার ও হাসাদ যেহেতু এর জন্য বাধা তাই মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই এ আমল চালিয়ে যেতে হবে। ঘ. এ আমলটি অহংকার ও হাসাদ দমনের মহৌষধ। তাই এ মন্দ স্বভাবদুটি দমনের লক্ষ্যেও নিয়মিত এ আমল করে যাওয়া চাই। [১] সুনানে নাসাঈ, হাদীছ নং ৫০১৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১৩১৪৬; সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীছ নং ২৩৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, হাদীছ নং ৩৪৭৫; মুসনাদে আবূ ইয়ালা, হাদীছ নং ২৮৮৭ [২] তাবারানী, আল মুজামুল কাবীর, হাদীছ নং ৬২৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১৬৬৫৩, বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ১০৬১৭ [৩] মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ২২১৩২; বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৫৭৪; তাবারানী মাকারিমুল আখলাক, হাদীছ নং ৭০ [৪] মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১৬৬৫৫; মুস্তাদরাকে হাকিম, হাদীছ নং ৭৩১৩ [৫] সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ১৮৪৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ৬৮০২, সুনানে নাসাঈ, হাদীছ নং ৪১৯১; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ নং ৫৯৬১; মুসান্নাফে ইবন আবী শাইবা, হাদীছ নং ৩৭১০৯; সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীছ নং ৩৯৫৬


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন

সুনানে নাসায়ী - হাদীস নং ৫০১৬ | মুসলিম বাংলা