কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৪৭. ঈমান এবং ঈমানের শাখা প্রশাখার বিবরণ
হাদীস নং: ৪৯৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৮৫
উত্তম আমলের বর্ণনা
৪৯৮৪. আবু আব্দুর রহমান আহমদ ইবনে শুআয়ব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে প্রশ্ন করা হলোঃ কোন আমল উত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা।
ذِكْرُ أَفْضَلِ الْأَعْمَالِ
حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَحْمَدُ بْنُ شُعَيْبٍ مِنْ لَفْظِهِ قَالَ أَنْبَأَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ الْإِيمَانُ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সাহাবায়ে কিরাম সৎকর্মের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন। এমনিতে তো তাঁরা কোনও নেক কাজকে অবহেলা করতেন না, তা সত্ত্বেও ইসলামে যে কাজ যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার প্রতি ততবেশি গুরুত্ব প্রদান বাঞ্ছনীয় হওয়ায় তাঁরা সে জাতীয় কাজে বেশি আগ্রহী থাকতেন। তাই জানার প্রয়োজন ছিল ইসলাম তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্ব দেয় কোন্ কোন্ কাজে। এজন্যই তাঁরা বিভিন্ন সময় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করতেন এবং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামও পরম মমতায় সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতেন। আলোচ্য হাদীছটি সেরকমই প্রশ্ন ও উত্তর সম্বলিত অতি মূলবান এক হাদীছ।
এ হাদীছে হযরত আবূ যার রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামকে চারটি প্রশ্ন করেছেন। তার মধ্যে প্রথম প্রশ্ন হল, কোন্ আমল সর্বোত্তম? নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উত্তরে দু'টি আমলের কথা বলেছেন। তার মধ্যে প্রথম হচ্ছে আল্লাহর প্রতি ঈমান।
সর্বশ্রেষ্ঠ আমল আল্লাহর প্রতি ঈমান
বলা হয়েছে, সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হল আল্লাহর প্রতি ঈমান। কেননা এটাই সমগ্র দীন ও শরী'আতের মূল ভিত্তি। আল্লাহর প্রতি ঈমান বলতে আল্লাহর অস্তিত্ব, তাঁর একত্ব ও তাঁর গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকে বোঝায়। তাঁর প্রতি ঈমানের একটা অংশ নবী রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাসও। আর নবী-রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাসের অর্থ হল মানুষের সামনে তাঁরা আল্লাহর পক্ষ থেকে যা-কিছু পেশ করেছেন তা সত্য বলে বিশ্বাস করা। এভাবে কিতাব, আখিরাত, হিসাবনিকাশ, ফিরিশতা, তাকদীর, জান্নাত-জাহান্নাম প্রভৃতি বিষয় সত্য বলে বিশ্বাস করাও আল্লাহর প্রতি ঈমানের মধ্যে পড়ে যায়। সুতরাং হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত মু'মিন বলতে এমন ব্যক্তিকেই বোঝাবে, যে ব্যক্তি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনীত যাবতীয় বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস রাখে।
ঈমান যাবতীয় আমলের ভিত্তি। ঈমান ছাড়া কোনও আমলই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। যেহেতু যাবতীয় আমল গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য ঈমান শর্ত, সেহেতু ঈমানই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল বৈ কি।
ঈমানও এক আমল। এটা অন্তরের আমল। অন্তরের আরও অনেক আমল আছে, যেমন ইখলাস, তাকওয়া, আল্লাহর প্রতি সুধারণা, মানুষের কল্যাণকামনা ইত্যাদি। অন্তর এবং বাহ্যিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সম্পর্কিত যত প্রকার আমল আছে, সে সমুদয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে ঈমান। ঈমান যেহেতু শ্রেষ্ঠ আমল, তাই এর প্রতিদানও সর্বশ্রেষ্ঠ। আর তা হচ্ছে স্থায়ী জান্নাত এবং দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টি। এরচে' বড় আর কোনও প্রতিদান হতে পারে না।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ঈমান যেহেতু সর্বশ্রেষ্ঠ আমল, তাই নিজ ঈমানের হেফাজতে সর্বাপেক্ষা বেশি যত্নবান থাকা চাই।
এ হাদীছে হযরত আবূ যার রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামকে চারটি প্রশ্ন করেছেন। তার মধ্যে প্রথম প্রশ্ন হল, কোন্ আমল সর্বোত্তম? নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উত্তরে দু'টি আমলের কথা বলেছেন। তার মধ্যে প্রথম হচ্ছে আল্লাহর প্রতি ঈমান।
সর্বশ্রেষ্ঠ আমল আল্লাহর প্রতি ঈমান
বলা হয়েছে, সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হল আল্লাহর প্রতি ঈমান। কেননা এটাই সমগ্র দীন ও শরী'আতের মূল ভিত্তি। আল্লাহর প্রতি ঈমান বলতে আল্লাহর অস্তিত্ব, তাঁর একত্ব ও তাঁর গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকে বোঝায়। তাঁর প্রতি ঈমানের একটা অংশ নবী রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাসও। আর নবী-রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাসের অর্থ হল মানুষের সামনে তাঁরা আল্লাহর পক্ষ থেকে যা-কিছু পেশ করেছেন তা সত্য বলে বিশ্বাস করা। এভাবে কিতাব, আখিরাত, হিসাবনিকাশ, ফিরিশতা, তাকদীর, জান্নাত-জাহান্নাম প্রভৃতি বিষয় সত্য বলে বিশ্বাস করাও আল্লাহর প্রতি ঈমানের মধ্যে পড়ে যায়। সুতরাং হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত মু'মিন বলতে এমন ব্যক্তিকেই বোঝাবে, যে ব্যক্তি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনীত যাবতীয় বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস রাখে।
ঈমান যাবতীয় আমলের ভিত্তি। ঈমান ছাড়া কোনও আমলই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। যেহেতু যাবতীয় আমল গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য ঈমান শর্ত, সেহেতু ঈমানই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল বৈ কি।
ঈমানও এক আমল। এটা অন্তরের আমল। অন্তরের আরও অনেক আমল আছে, যেমন ইখলাস, তাকওয়া, আল্লাহর প্রতি সুধারণা, মানুষের কল্যাণকামনা ইত্যাদি। অন্তর এবং বাহ্যিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সম্পর্কিত যত প্রকার আমল আছে, সে সমুদয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে ঈমান। ঈমান যেহেতু শ্রেষ্ঠ আমল, তাই এর প্রতিদানও সর্বশ্রেষ্ঠ। আর তা হচ্ছে স্থায়ী জান্নাত এবং দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টি। এরচে' বড় আর কোনও প্রতিদান হতে পারে না।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ঈমান যেহেতু সর্বশ্রেষ্ঠ আমল, তাই নিজ ঈমানের হেফাজতে সর্বাপেক্ষা বেশি যত্নবান থাকা চাই।
রিয়াযুস সালিহীন,মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম
