কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৪৫. ক্বাসামাহ (অজ্ঞাত খুনের ব্যাপারে বিশেষ ধরনের হলফ করা) অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৮০১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮০১
খালিদ হাযযা (রাহঃ) থেকে বর্ণনাকারীদের পার্থক্য
৪৮০১. আহমদ ইবনে সুলায়মান (রাহঃ) ......... আমর ইবনে শুআয়ব (রাহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যাকে ভুলে হত্যা করা হয়, তার দিয়াত একশত উটনী যাদের ত্রিশটি এক বছর বয়সের হতে হবে, আর ত্রিশটি দুই বছর বয়সের হতে হবে, আর ত্রিশটি চার বছর বয়সের হতে হবে আর দশটি উট হবে দুই বছর বয়সের নর বাচ্চা। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নগরবাসীর ক্ষেত্রে এর মূল্য নির্ধারণ করতেন- চারশত দীনার অথবা সমমূল্যের রৌপ্য। আর তিনি উটের মালিকদের ক্ষেত্রে এর মূল্য ধার্য করতেন সেখানকার দর অনুযায়ী, অর্থাৎ যখন উটের মূল্য বৃদ্ধি পেত, তখন এর মূল্যও বৃদ্ধি পেত; আর যখন সস্তা হতো, তখন এর দামও কম হতো।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সময়ে ঐ সকল উটের মূল্য চারশত দীনার হতে আটশত পর্যন্ত পৌঁছতো অথবা অনুরূপ মূল্যের রৌপ্য। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গরুর মালিকদের ক্ষেত্রে, দিয়াত ধার্য করতেন দু’শ গরু। আর ছাগলের মালিকদের ক্ষেত্রে দুই হাজার ছাগল। আর তিনি আদেশ করেছেন যে, দিয়াতের মাল নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসদের মধ্যে ফারায়েয অনুযায়ী বণ্টন করা হবে। যা যাবীল ফুরুযকে দেওয়ার পর উদ্ধৃত্ত থাকবে, তা পাবে আসাবাগণ।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নারীদের ক্ষেত্রে আদেশ করেছেন যে, তাদের দিয়াত বহন করবে তাদের আসাবাগণ, তা যারাই হোক তারা তাতে কোন মীরাস পাবে না। হ্যাঁ, যদি যবীল ফুরুযকে দেওয়ার পর কিছু উদ্ধৃত্ত থাকে, তবে তা পাবে। আর এরাই তার হত্যাকারী হতে কিসাস আদায় করবে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সময়ে ঐ সকল উটের মূল্য চারশত দীনার হতে আটশত পর্যন্ত পৌঁছতো অথবা অনুরূপ মূল্যের রৌপ্য। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গরুর মালিকদের ক্ষেত্রে, দিয়াত ধার্য করতেন দু’শ গরু। আর ছাগলের মালিকদের ক্ষেত্রে দুই হাজার ছাগল। আর তিনি আদেশ করেছেন যে, দিয়াতের মাল নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসদের মধ্যে ফারায়েয অনুযায়ী বণ্টন করা হবে। যা যাবীল ফুরুযকে দেওয়ার পর উদ্ধৃত্ত থাকবে, তা পাবে আসাবাগণ।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নারীদের ক্ষেত্রে আদেশ করেছেন যে, তাদের দিয়াত বহন করবে তাদের আসাবাগণ, তা যারাই হোক তারা তাতে কোন মীরাস পাবে না। হ্যাঁ, যদি যবীল ফুরুযকে দেওয়ার পর কিছু উদ্ধৃত্ত থাকে, তবে তা পাবে। আর এরাই তার হত্যাকারী হতে কিসাস আদায় করবে।
ذِكْرُ الِاخْتِلَافِ عَلَى خَالِدٍ الْحَذَّاءِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قُتِلَ خَطَأً فَدِيَتُهُ مِائَةٌ مِنْ الْإِبِلِ ثَلَاثُونَ بِنْتَ مَخَاضٍ وَثَلَاثُونَ بِنْتَ لَبُونٍ وَثَلَاثُونَ حِقَّةً وَعَشَرَةُ بَنِي لَبُونٍ ذُكُورٍ قَالَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَوِّمُهَا عَلَى أَهْلِ الْقُرَى أَرْبَعَ مِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عِدْلَهَا مِنْ الْوَرِقِ وَيُقَوِّمُهَا عَلَى أَهْلِ الْإِبِلِ إِذَا غَلَتْ رَفَعَ فِي قِيمَتِهَا وَإِذَا هَانَتْ نَقَصَ مِنْ قِيمَتِهَا عَلَى نَحْوِ الزَّمَانِ مَا كَانَ فَبَلَغَ قِيمَتُهَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَيْنَ الْأَرْبَعِ مِائَةِ دِينَارٍ إِلَى ثَمَانِ مِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عِدْلِهَا مِنْ الْوَرِقِ قَالَ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ مَنْ كَانَ عَقْلُهُ فِي الْبَقَرِ عَلَى أَهْلِ الْبَقَرِ مِائَتَيْ بَقَرَةٍ وَمَنْ كَانَ عَقْلُهُ فِي الشَّاةِ أَلْفَيْ شَاةٍ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الْعَقْلَ مِيرَاثٌ بَيْنَ وَرَثَةِ الْقَتِيلِ عَلَى فَرَائِضِهِمْ فَمَا فَضَلَ فَلِلْعَصَبَةِ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَعْقِلَ عَلَى الْمَرْأَةِ عَصَبَتُهَا مَنْ كَانُوا وَلَا يَرِثُونَ مِنْهُ شَيْئًا إِلَّا مَا فَضَلَ عَنْ وَرَثَتِهَا وَإِنْ قُتِلَتْ فَعَقْلُهَا بَيْنَ وَرَثَتِهَا وَهُمْ يَقْتُلُونَ قَاتِلَهَا


বর্ণনাকারী: