কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৪৫. ক্বাসামাহ (অজ্ঞাত খুনের ব্যাপারে বিশেষ ধরনের হলফ করা) অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৭২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭২৬
আলকামা ইবনে ওয়ায়লের থেকে বর্ণনাকারীদের পার্থক্য
৪৭২৬. আমর ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... জামি’ ইবনে মাতার (রাহঃ) আলকামা ইবনে ওয়ায়ল থেকে এবং ওয়ায়ল (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট বসছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি অন্য একজনকে নিয়ে আসে। সে বলে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই ব্যক্তি এবং আমার ভাই উভয়ে কুয়ায় কাজ করতো, হঠাৎ সে কোদাল উঠিয়ে আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করল এবং তাকে হত্যা করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তাকে ক্ষমা করে দাও।
সে ব্যক্তি অস্বীকার করলো এবং বলল, হে আল্লাহর নবী! এই ব্যক্তি এবং আমার ভাই কুয়া খনন করছিল। হঠাৎ সে কোদাল তুলে আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করল এবং হত্যা করল। তিনি বললেন, তাকে ক্ষমা কর, কিন্তু সে অস্বীকার করল, তারপর দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর নবী! এই ব্যক্তি এবং আমার ভাই কুয়া খনন করছিল। হঠাৎ সে কোদাল তুলে আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করল এবং তাকে হত্যা করল। তিনি বললেন, তাকে ক্ষমা কর। কিন্তু সে অস্বীকার করল।
শেষে তিনি বললেনঃ যাও, যদি তুমি তাকে হত্যা কর, তবে তুমিও তার মত হবে। সে তাকে নিয়ে দূরে যাওয়ার পর আমরা চিৎকার করে বললামঃ তুমি কি শুনছ না রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কি বলছেন? সে ফিরে এসে বললোঃ যদি আমি তাকে হত্যা করি তবে কি আমিও ঐরূপ হবো? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাকে ক্ষমা কর। এরপর সে রশি টানতে টানতে বের হল এবং আমাদের দৃষ্টির বাইরে চলে গেল।
সে ব্যক্তি অস্বীকার করলো এবং বলল, হে আল্লাহর নবী! এই ব্যক্তি এবং আমার ভাই কুয়া খনন করছিল। হঠাৎ সে কোদাল তুলে আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করল এবং হত্যা করল। তিনি বললেন, তাকে ক্ষমা কর, কিন্তু সে অস্বীকার করল, তারপর দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর নবী! এই ব্যক্তি এবং আমার ভাই কুয়া খনন করছিল। হঠাৎ সে কোদাল তুলে আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করল এবং তাকে হত্যা করল। তিনি বললেন, তাকে ক্ষমা কর। কিন্তু সে অস্বীকার করল।
শেষে তিনি বললেনঃ যাও, যদি তুমি তাকে হত্যা কর, তবে তুমিও তার মত হবে। সে তাকে নিয়ে দূরে যাওয়ার পর আমরা চিৎকার করে বললামঃ তুমি কি শুনছ না রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কি বলছেন? সে ফিরে এসে বললোঃ যদি আমি তাকে হত্যা করি তবে কি আমিও ঐরূপ হবো? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাকে ক্ষমা কর। এরপর সে রশি টানতে টানতে বের হল এবং আমাদের দৃষ্টির বাইরে চলে গেল।
ذِكْرُ اخْتِلَافِ النَّاقِلِينَ لِخَبَرِ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ فِيهِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ وَهُوَ الْحَوْضِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا جَامِعُ بْنُ مَطَرٍ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كُنْتُ قَاعِدًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ رَجُلٌ فِي عُنُقِهِ نِسْعَةٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هَذَا وَأَخِي كَانَا فِي جُبٍّ يَحْفِرَانِهَا فَرَفَعَ الْمِنْقَارَ فَضَرَبَ بِهِ رَأْسَ صَاحِبِهِ فَقَتَلَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْفُ عَنْهُ فَأَبَى وَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ هَذَا وَأَخِي كَانَا فِي جُبٍّ يَحْفِرَانِهَا فَرَفَعَ الْمِنْقَارَ فَضَرَبَ بِهِ رَأْسَ صَاحِبِهِ فَقَتَلَهُ فَقَالَ اعْفُ عَنْهُ فَأَبَى ثُمَّ قَامَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هَذَا وَأَخِي كَانَا فِي جُبٍّ يَحْفِرَانِهَا فَرَفَعَ الْمِنْقَارَ أُرَاهُ قَالَ فَضَرَبَ رَأْسَ صَاحِبِهِ فَقَتَلَهُ فَقَالَ اعْفُ عَنْهُ فَأَبَى قَالَ اذْهَبْ إِنْ قَتَلْتَهُ كُنْتَ مِثْلَهُ فَخَرَجَ بِهِ حَتَّى جَاوَزَ فَنَادَيْنَاهُ أَمَا تَسْمَعُ مَا يَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَجَعَ فَقَالَ إِنْ قَتَلْتُهُ كُنْتُ مِثْلَهُ قَالَ نَعَمْ أَعْفُ فَخَرَجَ يَجُرُّ نِسْعَتَهُ حَتَّى خَفِيَ عَلَيْنَا


বর্ণনাকারী: