আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪১- হিবা তথা উপহার প্রদান, এর ফযীলত ও এতে উৎসাহ প্রদান
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৮৮
১৬১৮. স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে এবং স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে দান করা। ইবরাহীম (রাহঃ) বলেছেন, এরূপ দান বৈধ। আর উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) বলেছেন, (এ ধরনের দান পরে) তারা প্রত্যাহার করতে পারবে না। নবী (ﷺ) তার স্ত্রীগণের কাছে আয়িশা (রাযিঃ) এর ঘরে সেবা শুশ্রূষা গ্রহণের অনুমতি চেয়েছিলেন। নবী (ﷺ) বলেছেন, যে আপন দান ফেরত নেয় সে ঐ কুকুরের ন্যায়, যে বমি করে পুনরায় খায়। ইমাম যুহরী (রাহঃ) বলেন,কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে বলে, আমাকে তোমার মাহরের কিছু অংশ বা সবটুকু দান করে দাও। অথচ সে দান করার কিছু (দিন বা সময়) পরেই তাকে তালাক দিয়ে বসে, আর স্ত্রীও তার দান ফেরত দাবি করে তাহলে তাকে তা ফেরত দিতে হবে; যদি প্রতারণার উদ্দেশ্যে এরূপ করে থাকে। আর যদি সে খুশি মনে দান করে থাকে, আর স্বামীর আচরণেও প্রতারনা না থাকে তাহলে বৈধ। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ পরে যদি তারা তার কিছু অংশ দান করে দেয় তবে স্বাচ্ছন্দে ও তৃপ্তিভরে তা আহার কর। (৪ঃ ৪)
২৪১৭। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) অসুস্থ হয়ে পড়লেন এবং তাঁর কষ্ট বেড়ে গেল! তখন তিনি তাঁর স্ত্রীগণের কাছে আমার ঘরে সেবা-শুশ্রূষা লাভের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। তারা তাকে সম্মতি দিলেন। তারপর একদিন দু’ ব্যক্তির উপর ভর করে বের হলেন, তখন তার উভয় কদম মুবারক মাটি স্পর্শ করছিল। তিনি আব্বাস (রাযিঃ) ও আরেক ব্যক্তির মাঝে ভর দিয়ে চলছিলেন। উবাইদুল্লাহ্ (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) যা বললেন, তা আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে আরয করলাম, তিনি তখন আমাকে বললেন, জানো, আয়িশা (রাযিঃ) যার নাম উল্লেখ করলেন না, তিনি কে? আমি বললাম, না; (জানি না)। তিনি বললেন, তিনি হলেন আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)।
