আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৩- উযূর অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৪০
১৬৭। মুসল্লীর পিঠের উপর ময়লা বা মৃত জন্তু ফেললে তার নামায নষ্ট হবে না।
ইবনে উমর (রাযিঃ) নামায আদায়ের অবস্থায় তাঁর কাপড়ে রক্ত দেখলে (সেভাবেই) তা রেখে দিতেন এবং নামায আদায় করে নিতেন।
ইবনুল মুসায়্যাব ও শা’বী (রাহঃ) বলেন, যখন কেউ নামায আদায় করে আর তার কাপড়ে রক্ত অথবা জানাবাতের নাপাকী থাকে অথবা সে কিবলা ছাড়া অন্যদিকে মুখ করে অথবা তায়াম্মুম করে নামায আদায় করে এরপর ওয়াক্তের মধ্যেই যদি পানি পেয়ে যায় তবে (নামায) দুহরাবে না।
ইবনে উমর (রাযিঃ) নামায আদায়ের অবস্থায় তাঁর কাপড়ে রক্ত দেখলে (সেভাবেই) তা রেখে দিতেন এবং নামায আদায় করে নিতেন।
ইবনুল মুসায়্যাব ও শা’বী (রাহঃ) বলেন, যখন কেউ নামায আদায় করে আর তার কাপড়ে রক্ত অথবা জানাবাতের নাপাকী থাকে অথবা সে কিবলা ছাড়া অন্যদিকে মুখ করে অথবা তায়াম্মুম করে নামায আদায় করে এরপর ওয়াক্তের মধ্যেই যদি পানি পেয়ে যায় তবে (নামায) দুহরাবে না।
২৩৯। আবদান (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সিজদারত অবস্থায় ছিলেন। অন্য সূত্রে আহমদ ইবনে উসমান (রাহঃ)............ আব্দুল্লাহ ইবনে মাস্উদ (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার বায়তুল্লাহর পাশে নামায আদায় করছিলেন এবং সেখানে আবু জাহল ও তার সঙ্গীরা বসা ছিল। এমন সময় তাদের একজন অন্যজনকে বলে উঠল, তোমাদের মধ্যে কে অমুক গোত্রের উটনীর নাড়ীভুঁড়ি এনে মুহাম্মাদ যখন সিজদা করেন তখন তার পিঠের উপর রাখতে পারে? তখন কওমের বড় পাষন্ড (উকবা) তাড়াতাড়ি গিয়ে তা নিয়ে এল এবং তাঁর প্রতি নজর রাখল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন সিজদায় গেলেন, তখন সে তাঁর পিঠের উপর দুই কাঁধের মাঝখানে তা রেখে দিল।
ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আমি (এ দৃশ্য) দেখছিলাম কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না। হায়! আমার যদি কিছু প্রতিরোধ শক্তি থাকত! তিনি বলেন, তারা হাসতে লাগল এবং একে অন্যের উপর লুটিয়ে পড়তে লাগল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন সিজদায় থাকলেন, মাথা উঠালেন না। অবশেষে ফাতিমা (রাযিঃ) এলেন এবং সেটি তাঁর পিঠের উপর থেকে ফেলে দিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাথা উঠিয়ে বললেনঃ ইয়া আল্লাহ্! আপনি কুরাইশকে ধ্বংস করুন। এরূপ তিনবার বললেন। তিনি যখন তাদের বদ দুআ করেন তখন তা তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করল।
বর্ণনাকারী বলেন, তারা জনত যে, এ শহরে দুআ কবুল হয়। এরপর তিনি নাম ধরে বললেনঃ ইয়া আল্লাহ্! আবু জাহলকে ধ্বংস করুন। এবং উতবা ইবনে রাবী’আ, শায়বা ইবনে রবী’আ, ওয়ালীদ ইবনে উতবা, উময়্যা ইবনে খালাফ ও উকবা ইবনে মু’আইতকে ধ্বংস করুন। রাবী বলেন, নবীজী সপ্তম ব্যক্তির নামও বলেছিলেন কিন্তু তিনি স্মরণ রাখতে পারেন নি। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেনঃ সেই সত্তার কসম! যার হাতে আমার জান, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যাদের নাম উচ্চারণ করেছিলেন, তাদের আমি বদরের কূপের মধ্যে নিহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছি।
ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আমি (এ দৃশ্য) দেখছিলাম কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না। হায়! আমার যদি কিছু প্রতিরোধ শক্তি থাকত! তিনি বলেন, তারা হাসতে লাগল এবং একে অন্যের উপর লুটিয়ে পড়তে লাগল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন সিজদায় থাকলেন, মাথা উঠালেন না। অবশেষে ফাতিমা (রাযিঃ) এলেন এবং সেটি তাঁর পিঠের উপর থেকে ফেলে দিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাথা উঠিয়ে বললেনঃ ইয়া আল্লাহ্! আপনি কুরাইশকে ধ্বংস করুন। এরূপ তিনবার বললেন। তিনি যখন তাদের বদ দুআ করেন তখন তা তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করল।
বর্ণনাকারী বলেন, তারা জনত যে, এ শহরে দুআ কবুল হয়। এরপর তিনি নাম ধরে বললেনঃ ইয়া আল্লাহ্! আবু জাহলকে ধ্বংস করুন। এবং উতবা ইবনে রাবী’আ, শায়বা ইবনে রবী’আ, ওয়ালীদ ইবনে উতবা, উময়্যা ইবনে খালাফ ও উকবা ইবনে মু’আইতকে ধ্বংস করুন। রাবী বলেন, নবীজী সপ্তম ব্যক্তির নামও বলেছিলেন কিন্তু তিনি স্মরণ রাখতে পারেন নি। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেনঃ সেই সত্তার কসম! যার হাতে আমার জান, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যাদের নাম উচ্চারণ করেছিলেন, তাদের আমি বদরের কূপের মধ্যে নিহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছি।
باب إِذَا أُلْقِيَ عَلَى ظَهْرِ الْمُصَلِّي قَذَرٌ أَوْ جِيفَةٌ لَمْ تَفْسُدْ عَلَيْهِ صَلاَتُهُ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا رَأَى فِي ثَوْبِهِ دَمًا وَهُوَ يُصَلِّي وَضَعَهُ وَمَضَى فِي صَلاَتِهِ وَقَالَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ وَالشَّعْبِيُّ إِذَا صَلَّى وَفِي ثَوْبِهِ دَمٌ أَوْ جَنَابَةٌ أَوْ لِغَيْرِ الْقِبْلَةِ أَوْ تَيَمَّمَ صَلَّى ثُمَّ أَدْرَكَ الْمَاءَ فِي وَقْتِهِ لاَ يُعِيدُ.
240 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَاجِدٌ قَالَ: ح وحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي عِنْدَ البَيْتِ، وَأَبُو جَهْلٍ وَأَصْحَابٌ لَهُ جُلُوسٌ، إِذْ قَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: أَيُّكُمْ يَجِيءُ بِسَلَى جَزُورِ بَنِي فُلاَنٍ، فَيَضَعُهُ عَلَى ظَهْرِ مُحَمَّدٍ إِذَا سَجَدَ؟ فَانْبَعَثَ أَشْقَى القَوْمِ فَجَاءَ بِهِ، فَنَظَرَ حَتَّى سَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَضَعَهُ عَلَى ظَهْرِهِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ، وَأَنَا أَنْظُرُ لاَ أُغْنِي شَيْئًا، لَوْ كَانَ لِي مَنَعَةٌ، قَالَ: فَجَعَلُوا يَضْحَكُونَ وَيُحِيلُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَاجِدٌ لاَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ، حَتَّى جَاءَتْهُ فَاطِمَةُ، فَطَرَحَتْ عَنْ ظَهْرِهِ، فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ» . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، فَشَقَّ عَلَيْهِمْ إِذْ دَعَا عَلَيْهِمْ، قَالَ: وَكَانُوا يَرَوْنَ أَنَّ الدَّعْوَةَ فِي ذَلِكَ البَلَدِ مُسْتَجَابَةٌ، ثُمَّ سَمَّى: «اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِأَبِي جَهْلٍ، وَعَلَيْكَ بِعُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَالوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ، وَأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ، وَعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ» - وَعَدَّ السَّابِعَ فَلَمْ يَحْفَظْ -، قَالَ: فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَقَدْ رَأَيْتُ الَّذِينَ عَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَرْعَى، فِي القَلِيبِ قَلِيبِ بَدْرٍ
