আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৩৯- দাসমুক্তির অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৩৯
১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তাআলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের, যে কোন কিছুর উপর শক্তি রাখে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে। তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (১৬:৭৫)
২৩৭২। ইবনে আবু মারয়াম (রাহঃ) .... মারওয়ান ও মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল নবী (ﷺ) এর খিদমতে হাযির হলে নবী (ﷺ) দাঁড়ালেন (অভ্যর্থনার জন্য) এরপর তারা অর্থ-সম্পদ ও বন্দীদের ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানালো। তখন তিনি বললেন, তোমরা দেখছো, আমার সাথে আরো সাহাবী আছেন। আর সত্য ভাষণই আমার নিকট প্রিয়।কাজেই অর্থ-সম্পদ ও বন্দী এ দু’টির যে কোন একটি তোমরা বেছে নাও। বন্দীদের বণ্টনের ব্যাপারে আমি বিলম্বও করেছিলাম। (রাবী বলেন) নবী (ﷺ) তায়েফ থেকে ফিরে প্রায় দশ রাত তাদেরকে সুযোগ দিয়েছিলেন। যখন প্রতিনিধি দলের কাছে সুষ্পষ্ট হয় যে, নবী (ﷺ) তাদেরকে দু’টির যে কোন একটি ফেরত দিবেন, তখন তারা বলল, তবে আমরা আমাদের বন্দীদেরই পছন্দ করছি।
তখন নবী (ﷺ) সবার সামনে দাঁড়িয়ে আল্লাহ পাকের যথাযোগ্য প্রশংসা করার পর বললেন, তোমাদের ভাইয়েরা তাওবা করে আামদের কাছে এসেছে। এমতাবস্থায় আমি তাদেরকে তাদের বন্দীদের ফেরত দিতে মনস্থ করেছি। কাজেই, তোমাদের মধ্যে যারা সন্তুষ্টচিত্তে তা পছন্দ করে, তারা যেন তাই করে। আর যারা তাদের নিজেদের হিসসা পেতে পছন্দ করে। তা এভাবে যে, প্রথম যে ফায় আল্লাহপাক আমাকে দান করবেন, সেখান থেকে আমি তাদের সে হিসসা আদায় করে দিবো। সে যেন তা করে। তখন সবাই বললো, আমরা আপনার জন্য সন্তুষ্টচিত্তে তা করতে রাযি আছি।
তিনি বললেন, আমি বুঝতে পারছি না, তোমাদের মধ্যে কারা সম্মত আর কারা সম্মত নও। কাজেই তোমরা ফিরে যাও।আর তোমাদের মুখপাত্ররা তোমাদের মতামত আমার কাছে উত্থাপন করুক। তারপর সবাই ফিরে গেলো আর তাদের মুখপাত্ররা তাদের সাথে আলোচনা সেরে নবী (ﷺ) কে ফিরে এসে জানালেন যে তারা সকলেই সন্তুষ্টচিত্তে সম্মতি প্রকাশ করেছে। (ইবনে শিহাব যুহরী (রাহঃ) বলেন) হাওয়াযিন গোত্রের যুদ্ধ বন্দী সম্পর্কে এতটুকুই আমাদের কাছে পৌছেছে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আব্বাস (রাযিঃ) নবী (ﷺ)কে বললেন (বদর যুদ্ধে) আমি (একাই) নিজের ও আকীলের মুক্তিপণ আদায় করেছি।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন