কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৩৭. কোন প্রাণের বিনাশ/রক্তপাত অবৈধ হওয়া প্রসঙ্গে
হাদীস নং: ৪০৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৬৭
মুরতাদ সম্পর্কে বিধান
৪০৬৭. কাসিম ইবনে যাকারিয়া ইবনে দীনার (রাহঃ) ......... মুস’আব ইবনে সা’দ তার পিতা থেকে। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সকলকে নিরাপত্তা দান করেন, কিন্তু চারজন পুরুষ এবং দু’জন নারী ব্যতীত। তিনি তাদের সম্পর্কে বলেনঃ তাদেরকে যেখানেই পাবে হত্যা করবে; যদিও তারা কাবার পর্দা ধরে থাকে। তারা হলো, ইকরিমা ইবনে আবু জাহল, আব্দুল্লাহ্ ইবনে খাতাল, মিকয়াস ইবনে সুবাবা, আব্দুল্লাহ্ ইবনে সা’দ ইবনে আবু সারহ। আব্দুল্লাহ ইবনে খাতালকে কাবার গিলাফের সাথে লটকে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেল এবং তাকে হত্যা করার জন্য দুই ব্যক্তি ছুটে গেল। একজন হলো সাঈদ ইবনে হুরায়স, অন্যজন আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাযিঃ)। সাঈদ ছিলেন জওয়ান, তিনি আগে গিয়ে তাকে হত্যা করলেন। আর মিকয়াস ইবনে সুবাবাকে লোকেরা বাজারে পেল এবং তারা তাকে হত্যা করলো।
আর ইকরিমা ইবনে আবু জাহল নৌযানে সমুদ্র পার হতে গেলে ঝড়ের কবলে পড়লো। জাহাজের লোক বললো, এখন তোমরা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাক। কেননা তোমরা যে মূর্তির পূজা কর তারা তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবে না। ইকরিমা বললেনঃ আল্লাহর কসম! যদি সমুদ্রে তিনি ব্যতীত আমাকে আর কেউ রক্ষা করতে না পারেন; তবে স্থলভাগেও তিনি ছাড়া আমাকে কেউ রক্ষা করতে পারবেন না। আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ওয়াদা করছি, যদি আপনি আমাকে এই মুসীবত হতে নাজাত দেন তবে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হবো এবং আমি তাঁর নিকট বায়’আত গ্রহণ করবো। আমার ধারণা, তিনি আমায় ক্ষমা করবেন এবং রহম করবেন। পরে তিনি এসে মুসলমান হয়ে যান।
আব্দুল্লাহ ইবনে আবু সারাহ্ উসমান (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়ে লুকিয়ে থাকলেন। যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোকদের বায়’আত-এর জন্য আহবান করলেন, তখন উসমান (রাযিঃ) তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট হাযির করে দিলেন। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহু ! আব্দুল্লাহর বায়আত গ্রহণ করুন। তিনি মাথা উঠিয়ে তিনবার আব্দুল্লাহর প্রতি দৃষ্টি করলেন। তিনবারের পর তিনি তার বায়’আত গ্রহণ করলেন। এরপর তিনি সাহাবায়ে কিরামের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কোন বুদ্ধিমান লোক কি ছিল না যে, যখন আমি তার বায়’আত গ্রহণ করছিলাম না, তখন এসে তাকে হত্যা করতো? সাহাবায়ে কিরাম বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার মনের কথা আমরা কি করে জানবো? আপনি চক্ষু দ্বারা কেন ইশারা করলেন না। তিনি বললেনঃ (বাহ্যত চুপ থেকে) চোখে ইঙ্গিত করা নবীর পক্ষে শোভন নয়।
আর ইকরিমা ইবনে আবু জাহল নৌযানে সমুদ্র পার হতে গেলে ঝড়ের কবলে পড়লো। জাহাজের লোক বললো, এখন তোমরা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাক। কেননা তোমরা যে মূর্তির পূজা কর তারা তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবে না। ইকরিমা বললেনঃ আল্লাহর কসম! যদি সমুদ্রে তিনি ব্যতীত আমাকে আর কেউ রক্ষা করতে না পারেন; তবে স্থলভাগেও তিনি ছাড়া আমাকে কেউ রক্ষা করতে পারবেন না। আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ওয়াদা করছি, যদি আপনি আমাকে এই মুসীবত হতে নাজাত দেন তবে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হবো এবং আমি তাঁর নিকট বায়’আত গ্রহণ করবো। আমার ধারণা, তিনি আমায় ক্ষমা করবেন এবং রহম করবেন। পরে তিনি এসে মুসলমান হয়ে যান।
আব্দুল্লাহ ইবনে আবু সারাহ্ উসমান (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়ে লুকিয়ে থাকলেন। যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোকদের বায়’আত-এর জন্য আহবান করলেন, তখন উসমান (রাযিঃ) তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট হাযির করে দিলেন। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহু ! আব্দুল্লাহর বায়আত গ্রহণ করুন। তিনি মাথা উঠিয়ে তিনবার আব্দুল্লাহর প্রতি দৃষ্টি করলেন। তিনবারের পর তিনি তার বায়’আত গ্রহণ করলেন। এরপর তিনি সাহাবায়ে কিরামের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কোন বুদ্ধিমান লোক কি ছিল না যে, যখন আমি তার বায়’আত গ্রহণ করছিলাম না, তখন এসে তাকে হত্যা করতো? সাহাবায়ে কিরাম বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার মনের কথা আমরা কি করে জানবো? আপনি চক্ষু দ্বারা কেন ইশারা করলেন না। তিনি বললেনঃ (বাহ্যত চুপ থেকে) চোখে ইঙ্গিত করা নবীর পক্ষে শোভন নয়।
الْحُكْمُ فِي الْمُرْتَدِّ
أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ دِينَارٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ مُفَضَّلٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَسْبَاطٌ قَالَ زَعَمَ السُّدِّيُّ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ أَمَّنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ إِلَّا أَرْبَعَةَ نَفَرٍ وَامْرَأَتَيْنِ وَقَالَ اقْتُلُوهُمْ وَإِنْ وَجَدْتُمُوهُمْ مُتَعَلِّقِينَ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَطَلٍ وَمَقِيسُ بْنُ صُبَابَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي السَّرْحِ فَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَطَلٍ فَأُدْرِكَ وَهُوَ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ فَاسْتَبَقَ إِلَيْهِ سَعِيدُ بْنُ حُرَيْثٍ وَعَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ فَسَبَقَ سَعِيدٌ عَمَّارًا وَكَانَ أَشَبَّ الرَّجُلَيْنِ فَقَتَلَهُ وَأَمَّا مَقِيسُ بْنُ صُبَابَةَ فَأَدْرَكَهُ النَّاسُ فِي السُّوقِ فَقَتَلُوهُ وَأَمَّا عِكْرِمَةُ فَرَكِبَ الْبَحْرَ فَأَصَابَتْهُمْ عَاصِفٌ فَقَالَ أَصْحَابُ السَّفِينَةِ أَخْلِصُوا فَإِنَّ آلِهَتَكُمْ لَا تُغْنِي عَنْكُمْ شَيْئًا هَاهُنَا فَقَالَ عِكْرِمَةُ وَاللَّهِ لَئِنْ لَمْ يُنَجِّنِي مِنْ الْبَحْرِ إِلَّا الْإِخْلَاصُ لَا يُنَجِّينِي فِي الْبَرِّ غَيْرُهُ اللَّهُمَّ إِنَّ لَكَ عَلَيَّ عَهْدًا إِنْ أَنْتَ عَافَيْتَنِي مِمَّا أَنَا فِيهِ أَنْ آتِيَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَضَعَ يَدِي فِي يَدِهِ فَلَأَجِدَنَّهُ عَفُوًّا كَرِيمًا فَجَاءَ فَأَسْلَمَ وَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي السَّرْحِ فَإِنَّهُ اخْتَبَأَ عِنْدَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَلَمَّا دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ إِلَى الْبَيْعَةِ جَاءَ بِهِ حَتَّى أَوْقَفَهُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَايِعْ عَبْدَ اللَّهِ قَالَ فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَنَظَرَ إِلَيْهِ ثَلَاثًا كُلَّ ذَلِكَ يَأْبَى فَبَايَعَهُ بَعْدَ ثَلَاثٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ أَمَا كَانَ فِيكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ يَقُومُ إِلَى هَذَا حَيْثُ رَآنِي كَفَفْتُ يَدِي عَنْ بَيْعَتِهِ فَيَقْتُلُهُ فَقَالُوا وَمَا يُدْرِينَا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا فِي نَفْسِكَ هَلَّا أَوْمَأْتَ إِلَيْنَا بِعَيْنِكَ قَالَ إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي لِنَبِيٍّ أَنْ يَكُونَ لَهُ خَائِنَةُ أَعْيُنٍ


বর্ণনাকারী: