কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৩৬. স্ত্রী-পরিবারের সাথে উত্তম আচরণ
হাদীস নং: ৩৯৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫৮
 স্ত্রী-পরিবারের সাথে উত্তম আচরণ
আত্মাভিমান
৩৯৬০. হাসান ইবনে মুহাম্মাদ জা’ফরানী (রাহঃ) ......... উবায়দ ইবনে উমায়র (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে শুনেছি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কিছুক্ষণ যয়নব বিনতে জাহাশ (রাযিঃ) এর কাছে অবস্থান করতেন এবং তাঁর কাছে মধু পান করতেন, আমি এবং হাফসা পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, তিনি আমাদের যার কাছেই আসবেন, সেই বলবেঃ আপনি ’মাগাফীর’ পান করেছেন। (মাগাফীর এক প্রকার বিশেষ দুর্গন্ধ যুক্ত আঠাকে বলা হয়)।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও তাদের একজনের কাছে প্রবেশ করলে যা বলার সিদ্ধান্ত ছিল তা বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, আমি যয়নব বিনতে জাহাশ-এর কাছে মধুই তো পান করলাম এবং বললেন, আর কোন দিন তা করব না। অর্থাৎ মধু পান করব না। এ কারণে নাযিল হলঃ (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ) ″হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন তা আপনি নিজের জন্য হারাম করেছেন কেন? (إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ) ″তোমরা উভয়ে যদি তওবা কর″ এটা আয়িশা এবং হাফসা (রাযিঃ) এর উদ্দেশ্যে নাযিল করেছেনঃ (وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا) ″যখন নবী তার একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপন করলেন″ এটা তার উক্তি ’আমি মধু পান করেছি এবং আর করব না।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও তাদের একজনের কাছে প্রবেশ করলে যা বলার সিদ্ধান্ত ছিল তা বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, আমি যয়নব বিনতে জাহাশ-এর কাছে মধুই তো পান করলাম এবং বললেন, আর কোন দিন তা করব না। অর্থাৎ মধু পান করব না। এ কারণে নাযিল হলঃ (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ) ″হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন তা আপনি নিজের জন্য হারাম করেছেন কেন? (إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ) ″তোমরা উভয়ে যদি তওবা কর″ এটা আয়িশা এবং হাফসা (রাযিঃ) এর উদ্দেশ্যে নাযিল করেছেনঃ (وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا) ″যখন নবী তার একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপন করলেন″ এটা তার উক্তি ’আমি মধু পান করেছি এবং আর করব না।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে।
كتاب عشرة النساء
بَاب الْغَيْرَةِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ أَنَّهُ سَمِعَ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَزْعُمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمْكُثُ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَيَشْرَبُ عِنْدَهَا عَسَلًا فَتَوَاصَيْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ أَنَّ أَيَّتُنَا دَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلْتَقُلْ إِنِّي أَجِدُ مِنْكَ رِيحَ مَغَافِيرَ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ فَدَخَلَ عَلَى إِحْدَاهُمَا فَقَالَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لَا بَلْ شَرِبْتُ عَسَلًا عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَلَنْ أَعُودَ لَهُ فَنَزَلَتْ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ لِعَائِشَةَ وَحَفْصَةَ وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا لِقَوْلِهِ بَلْ شَرِبْتُ عَسَلًا