কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৩৬. স্ত্রী-পরিবারের সাথে উত্তম আচরণ
হাদীস নং: ৩৯৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫০
এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশী ভালবাসা
৩৯৫২. মুহাম্মাদ ইবনে আদম (রাহঃ) ......... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর স্ত্রীগণ তাঁকে বলেন যে, তিনি যেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলেন, মানুষ রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর কাছে তাদের হাদিয়া পেশ করার জন্য আয়েশা (রাযিঃ)-এর পালার (দিনের) অপেক্ষা করে থাকে। অতএব তিনি যেন তাকে বলেন, যে আমরাও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কল্যাণ চাই যেরকম আয়েশা চায়। (অতএব হাদীয়া পেশ করার জন্য শুধু আয়েশার পালার দিনের অপেক্ষা করাতে লাভ কি?)
উম্মে সালামা উক্ত বিষয় নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে আলাপ করলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে কোন উত্তর দিলেন না। পর্যায়ক্রমে যখন উম্মে সালামার পালার দিন আসল সেই দিনও উম্মে সালামা উপরোক্ত বিষয় নিয়ে আলাপ করলেন। এতেও তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তাঁকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর স্ত্রীগণ বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কী উত্তর দিলেন? উম্মে সালামা বললেন, তিনি কোন উত্তর দেননি। তারা বললেন, আপনি বলতে থাকুন, যাবৎ না তিনি আপনার কথার উত্তর দেন কিংবা দেখেন তিনি কী বলেন।
যখন তার (উম্মে সালামার) পালা আসল, তিনি উপরোক্ত বিষয় নিয়ে পুনরায় আলাপ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন: আয়েশার ব্যাপারে আমাকে কষ্ট দিও না। কেননা আল্লাহর শপথ! আয়েশা ছাড়া তোমাদের মধ্যে আর কারো লেপে অবস্থান করা অবস্থায় ওহী নাযিল হয়নি।
উম্মে সালামা উক্ত বিষয় নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে আলাপ করলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে কোন উত্তর দিলেন না। পর্যায়ক্রমে যখন উম্মে সালামার পালার দিন আসল সেই দিনও উম্মে সালামা উপরোক্ত বিষয় নিয়ে আলাপ করলেন। এতেও তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তাঁকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর স্ত্রীগণ বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কী উত্তর দিলেন? উম্মে সালামা বললেন, তিনি কোন উত্তর দেননি। তারা বললেন, আপনি বলতে থাকুন, যাবৎ না তিনি আপনার কথার উত্তর দেন কিংবা দেখেন তিনি কী বলেন।
যখন তার (উম্মে সালামার) পালা আসল, তিনি উপরোক্ত বিষয় নিয়ে পুনরায় আলাপ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন: আয়েশার ব্যাপারে আমাকে কষ্ট দিও না। কেননা আল্লাহর শপথ! আয়েশা ছাড়া তোমাদের মধ্যে আর কারো লেপে অবস্থান করা অবস্থায় ওহী নাযিল হয়নি।
حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ عَنْ عَبْدَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ عَوْفِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ رُمَيْثَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ نِسَاءَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلَّمْنَهَا أَنْ تُكَلِّمَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ النَّاسَ كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ وَتَقُولُ لَهُ إِنَّا نُحِبُّ الْخَيْرَ كَمَا تُحِبُّ عَائِشَةَ فَكَلَّمَتْهُ فَلَمْ يُجِبْهَا فَلَمَّا دَارَ عَلَيْهَا كَلَّمَتْهُ أَيْضًا فَلَمْ يُجِبْهَا وَقُلْنَ مَا رَدَّ عَلَيْكِ قَالَتْ لَمْ يُجِبْنِي قُلْنَ لَا تَدَعِيهِ حَتَّى يَرُدَّ عَلَيْكِ أَوْ تَنْظُرِينَ مَا يَقُولُ فَلَمَّا دَارَ عَلَيْهَا كَلَّمَتْهُ فَقَالَ لَا تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ فَإِنَّهُ لَمْ يَنْزِلْ عَلَيَّ الْوَحْيُ وَأَنَا فِي لِحَافِ امْرَأَةٍ مِنْكُنَّ إِلَّا فِي لِحَافِ عَائِشَةَ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ هَذَانِ الْحَدِيثَانِ صَحِيحَانِ عَنْ عَبْدَةَ
