কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

৩৬. স্ত্রী-পরিবারের সাথে উত্তম আচরণ

হাদীস নং: ৩৯৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৪৬
এক স্ত্রী অপেক্ষা অপর স্ত্রীকে বেশী ভালবাসা
৩৯৪৮. মুহাম্মাদ ইবনে রাফে আন-নিশাপুরী (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর স্ত্রীগণ একত্রিত হলেন এবং ফাতিমা (রাযিঃ)-কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এই বলে পাঠালেন যে, আপনার স্ত্রীগণ আবু কুহাফার মেয়ের বিষয়ে তাদের সাথে ইনসাফ করার অনুরোধ করছেন। এইরকম কিছু বললেন। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, ফাতিমা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট প্রবেশ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আয়েশা (রাযিঃ)-এর সাথে তার চাদরের ভেতরে ছিলেন। তিনি বললেন, আপনার স্ত্রীগণ আমাকে পাঠিয়েছেন, তারা আবু কুহাফার মেয়ের বিষয়ে তাদের সাথে ইনসাফ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে বললেন, তুমি কি আমাকে ভালবাস? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, তাহলে তাকেও ভালবাস। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, ফাতিমা (রাযিঃ) তাদের কাছে ফিরে গেলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেছেন, তা তাদেরকে বললেন। তখন তারা বললেন, আপনি তো আমাদের জন্য কিছুই করলেন না। পুনরায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে যান। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, তার কাছে আর আমি এই বিষয় নিয়ে কখনো যাব না। ফাতিমা (রাযিঃ) (চরিত্র ও চাল-চলনের দিক থেকে) বাস্তবিকই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর মেয়ে ছিলেন। পুনরায় তাঁরা সবাই (স্ত্রীগণ) মিলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে যয়নব বিনতে জাহাশকে পাঠালেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর স্ত্রীগণের মধ্যে যয়নব বিনতে জাহাশই একমাত্র স্ত্রী (রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে মর্যাদার দিক থেকে) যে আমার সমপর্যায়ের ছিল।

তিনি বললেন, আপনার স্ত্রীগণ আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন। তারা আবু কুহাফার মেয়ের (আয়েশার) বিষয়ে তাদের সাথে ইনসাফ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, এরপরে যয়নব আমাকে কটু কথা বলতে শুরু করে দিলেন। আমি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর দিকে লক্ষ্য করতে লাগলাম এবং তিনি আমার উত্তর দেওয়ার ব্যাপারে মৌন সম্মতি দিচ্ছে কি না বুঝার জন্য তাঁর ভাবভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, তিনি আমাকে কটু কথা বলেই যাচ্ছেন। এতে আমি ধারণা করলাম, আমার এসব কথার উত্তর দেওয়াটা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অপছন্দ করবেন না। সুতরাং তার মুখােমুখি হলাম এবং তাকে থামিয়ে দিলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, এতো আবু বকরের মেয়ে। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি যয়নব থেকে বেশী দানশীল, আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষাকারী এবং যে কাজে দান-সাদ্‌কার সওয়াব ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জিত হয়, তাতে তার চেয়ে বেশী চেষ্টাকারী কাউকে দেখিনি। অবশ্য একটু দ্রুত ক্রোধপ্রবণা ছিলেন তবে তা খুবই দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যেত।
حُبُّ الرَّجُلِ بَعْضَ نِسَائِهِ أَكْثَرَ مِنْ بَعْضٍ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ النَّيْسَابُورِيُّ الثِّقَةُ الْمَأْمُونُ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ اجْتَمَعْنَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرْسَلْنَ فَاطِمَةَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْنَ لَهَا إِنَّ نِسَاءَكَ وَذَكَرَ كَلِمَةً مَعْنَاهَا يَنْشُدْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ قَالَتْ فَدَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مَعَ عَائِشَةَ فِي مِرْطِهَا فَقَالَتْ لَهُ إِنَّ نِسَاءَكَ أَرْسَلْنَنِي وَهُنَّ يَنْشُدْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتُحِبِّينِي قَالَتْ نَعَمْ قَالَ فَأَحِبِّيهَا قَالَتْ فَرَجَعَتْ إِلَيْهِنَّ فَأَخْبَرَتْهُنَّ مَا قَالَ فَقُلْنَ لَهَا إِنَّكِ لَمْ تَصْنَعِي شَيْئًا فَارْجِعِي إِلَيْهِ فَقَالَتْ وَاللَّهِ لَا أَرْجِعُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبَدًا وَكَانَتْ ابْنَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقًّا فَأَرْسَلْنَ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ قَالَتْ عَائِشَةُ وَهِيَ الَّتِي كَانَتْ تُسَامِينِي مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ أَزْوَاجُكَ أَرْسَلْنَنِي وَهُنَّ يَنْشُدْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ ثُمَّ أَقْبَلَتْ عَلَيَّ تَشْتِمُنِي فَجَعَلْتُ أُرَاقِبُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْظُرُ طَرْفَهُ هَلْ يَأْذَنُ لِي مِنْ أَنْ أَنْتَصِرَ مِنْهَا قَالَتْ فَشَتَمَتْنِي حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ لَا يَكْرَهُ أَنْ أَنْتَصِرَ مِنْهَا فَاسْتَقْبَلْتُهَا فَلَمْ أَلْبَثْ أَنْ أَفْحَمْتُهَا فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهَا ابْنَةُ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ عَائِشَةُ فَلَمْ أَرَ امْرَأَةً خَيْرًا وَلَا أَكْثَرَ صَدَقَةً وَلَا أَوْصَلَ لِلرَّحِمِ وَأَبْذَلَ لِنَفْسِهَا فِي كُلِّ شَيْءٍ يُتَقَرَّبُ بِهِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى مِنْ زَيْنَبَ مَا عَدَا سَوْرَةً مِنْ حِدَّةٍ كَانَتْ فِيهَا تُوشِكُ مِنْهَا الْفَيْئَةَ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ هَذَا خَطَأٌ وَالصَّوَابُ الَّذِي قَبْلَهُ
সুনানে নাসায়ী - হাদীস নং ৩৯৪৬ | মুসলিম বাংলা