আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৩৭- অংশীদারিত্ব প্রসঙ্গ
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৫০৫
১৫৭৪. কুরবানীর পশু ও উট শরীক হওয়া এবং হাদী* রওয়ানা করার পর কেউ কাউকে শরীক করলে তার বিধান
*কুরবানীর উদ্দেশ্যে মিনায় আনীত প্রাণী।
*কুরবানীর উদ্দেশ্যে মিনায় আনীত প্রাণী।
২৩৪১। আবু নু‘মান (রাহঃ) .... জাবির ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীগণ ৪ঠা যিলহজ্জ ভোরে শুধু হজ্জের ইহরাম বেধে মক্কায় এসে পৌছলেন। কিন্তু আমরা মক্কায় এসে পৌছলে তিনি আমাদেরকে হজ্জের ইহরামকে উমরার ইহরামে পরিবর্তিত করার আদেশ দিলেন। তখন আমরা হজ্জ কে উমরায় পরিবর্তিত করলাম। তিনি আমাদেরকে স্ত্রীদের সাথে সহবাসেরও অনুমতি দিলেন। এ বিষয়ে কেউ কথা ছড়ালো।* (অধস্তন রাবী) আতা (রাহঃ) বলেন, জাবির (রাযিঃ) বলেছেন,* আমাদের মধ্যে কেউ কেউ স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে মিনায় যাবে। এ কথা বলে জাবির (রাযিঃ) নিজের হাত লজ্জাস্থানের দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন। এ খবর নবী (ﷺ) এর কানে পৌছলে তিনি দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন।
আমি শুনতে পেয়েছি যে, লোকেরা এটা সেটা বলছে। আল্লাহর কসম! আমি তাদের চেয়ে অধিক পরহেযগার এবং অধিক আল্লাহভীরু। পরে যা জেনেছি তা আগে ভাগে জানতে পারলে হাদী (হজ্জের কুরবানীর জন্তু) সাথে নিয়ে আসতাম না। আর সাথে হাদী না থাকলে আমিও ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যেতাম।
তখন সুরাকা ইবনে মালিক ইবনে জুসুম (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ হুকুম শুধু আমাদের জন্য না, এটা সর্বকালের জন্য। (রাবী আতা রাহঃ) বলেন, পরে আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) (ইয়ামান থেকে) মক্কায় এলেন দুই রাবীর একজন বলেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অনুরূপ ইহরাম বাধলাম। অপরজনের মতে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর অনুরূপ ইহরাম বাধলাম। ফলে নবী (ﷺ) তাকে ইহরাম অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিলেন এবং তাকেও হাদী এর মধ্যে শরীক করে দিলেন।
*কেননা তাদের ধারণা ছিলো হাজ্জের মাসগুলোতে উমরা শুদ্ধ নয়। *অর্থাৎ এ অংশটুকু অপর রাবী তাউস থেকে বর্ণিত নয়।
আমি শুনতে পেয়েছি যে, লোকেরা এটা সেটা বলছে। আল্লাহর কসম! আমি তাদের চেয়ে অধিক পরহেযগার এবং অধিক আল্লাহভীরু। পরে যা জেনেছি তা আগে ভাগে জানতে পারলে হাদী (হজ্জের কুরবানীর জন্তু) সাথে নিয়ে আসতাম না। আর সাথে হাদী না থাকলে আমিও ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যেতাম।
তখন সুরাকা ইবনে মালিক ইবনে জুসুম (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ হুকুম শুধু আমাদের জন্য না, এটা সর্বকালের জন্য। (রাবী আতা রাহঃ) বলেন, পরে আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) (ইয়ামান থেকে) মক্কায় এলেন দুই রাবীর একজন বলেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অনুরূপ ইহরাম বাধলাম। অপরজনের মতে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর অনুরূপ ইহরাম বাধলাম। ফলে নবী (ﷺ) তাকে ইহরাম অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিলেন এবং তাকেও হাদী এর মধ্যে শরীক করে দিলেন।
*কেননা তাদের ধারণা ছিলো হাজ্জের মাসগুলোতে উমরা শুদ্ধ নয়। *অর্থাৎ এ অংশটুকু অপর রাবী তাউস থেকে বর্ণিত নয়।
