আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৩৭- অংশীদারিত্ব প্রসঙ্গ
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৮
১৫৬২. বকরী বণ্টন
২৩২৬। আলী ইবনে হাকাম আনসারী (রাহঃ) .... রাফি ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ)- এর সঙ্গে যুল হুলাইফাতে ছিলাম। সাহাবীগণ ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েন, তারা কিছু উট ও বকরী পেলেন। রাফি’ (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) দলের পিছনে ছিলেন। তারা তাড়াহুড়া করে গনিমতের মাল বন্টনের পূর্বে সেগুলোকে যবেহ করে পাত্রে চড়িয়ে দিলেন। তারপর নবী (ﷺ)- এর নির্দেশে পাত্র উলটিয়ে ফেলা হল। তারপর তিনি (গনীমতের মাল) বন্টন শুরু করলেন। তিনি একটি উটের সমান দশটি বকরী নির্ধারণ করেন। হঠাৎ একটি উট পালিয়ে গেল। সাহাবীগণ উটকে ধরার জন্য ছুটলেন, কিন্তু উটটি তাঁদেরকে ক্লান্ত করে ছাড়ল। সে সময় তাঁদের নিকট অল্প সংখ্যক ঘোড়া ছিল।
অবশেষে তাঁদের মধ্যে একজন সেটির প্রতি তীর ছুড়লেন। তখন আল্লাহ উটটাকে থামিয়ে দিলেন। তারপর নবী (ﷺ) বললেন, নিশ্চয়ই পলায়নপর বন্য জন্তুদের মত এ সকল চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে কতক পলায়নপর করবে। (রাবী বলেন), তখন আমার দাদা (রাফি’ রাযিঃ) বললেন, আমরা আশঙ্কা করছিলাম যে, কাল শত্রুর সাথে মুকাবিলা হবে। আর আমাদের নিকট কোন ছুরি ছিল না। তাই আমরা ধারলো বাঁশ দিয়ে যবেহ করতে পারব কি? নবী (ﷺ) বললেন, যে বস্তু রক্ত প্রবাহিত করে এবং যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়, সেটা তোমরা আহার করতে পার। কিন্তু দাঁত বা নখ দিয়ে যেন যবেহ না করা হয়। আমি তোমাদেরকে এর কারণ বলে দিচ্ছি। দাঁত তো হাড় আর নখ হল হাবশীদের ছুরি।
অবশেষে তাঁদের মধ্যে একজন সেটির প্রতি তীর ছুড়লেন। তখন আল্লাহ উটটাকে থামিয়ে দিলেন। তারপর নবী (ﷺ) বললেন, নিশ্চয়ই পলায়নপর বন্য জন্তুদের মত এ সকল চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে কতক পলায়নপর করবে। (রাবী বলেন), তখন আমার দাদা (রাফি’ রাযিঃ) বললেন, আমরা আশঙ্কা করছিলাম যে, কাল শত্রুর সাথে মুকাবিলা হবে। আর আমাদের নিকট কোন ছুরি ছিল না। তাই আমরা ধারলো বাঁশ দিয়ে যবেহ করতে পারব কি? নবী (ﷺ) বললেন, যে বস্তু রক্ত প্রবাহিত করে এবং যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়, সেটা তোমরা আহার করতে পার। কিন্তু দাঁত বা নখ দিয়ে যেন যবেহ না করা হয়। আমি তোমাদেরকে এর কারণ বলে দিচ্ছি। দাঁত তো হাড় আর নখ হল হাবশীদের ছুরি।


বর্ণনাকারী: