কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২৬. বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৩৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৪৯
মোহরের ব্যাপারে ইনসাফ করা
৩৩৫২. আলী ইবনে হুজুর ইবনে আয়াস ইবনে মুকাতিল ইবনে মুশামরিখ ইবনে খালিদ (রাহঃ) ......... আবুল আজফা (রাহঃ) বলেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেনঃ হুশিয়ার! তোমরা নারীর মোহরের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না, কেননা যদি তা দুনিয়ায় উত্তম কার্য হতো, তাহলে তোমাদের চেয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার অধিক উপযুক্ত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর কোন স্ত্রীকে বা তার কন্যাদের কারও বার আওকিয়ার অধিক মোহর দেননি। কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে অধিক মোহর দান করে, শেষ পর্যন্ত ঐ স্ত্রীলোকের প্রতি ঐ ব্যক্তির অন্তরে শক্রিতার সৃষ্টি হয়। এমন কি সে বলে, তোমার জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি। রাবী বলেন, আমি ছিলাম জন্ম সূত্রে আরবী, তাই (عِلْقُ الْقِرْبَةِ) ’মশকের রশির অর্থ কি তা আমি বুঝি না। অপরজন তাকে বললোঃ তোমাদের যুদ্ধে যারা নিহত হয়, অথবা মারা যায়। বলা হয় যে, সে শহীদ হিসাবে মারা গেছে, সম্ভবত সে তার বাহনের পিঠে বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে, অথবা তার বাহনের পিঠে-হাওদা লাগিয়েছে স্বর্ণ ও চাঁদি দিয়ে পূর্ণ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে। তাই তোমরা শহীদি মৃত্যু হয়েছে না বলে এরূপ বল, যেরূপ নবী (ﷺ) বলেছেন, তা হলো এইঃ যে আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় অথবা মারা যায়, সে জান্নাতে প্ৰবেশ করবে।
الْقِسْطُ فِي الْأَصْدِقَةِ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرِ بْنِ إِيَاسِ بْنِ مُقَاتِلِ بْنِ مُشَمْرِخِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَيُّوبَ وَابْنِ عَوْنٍ وَسَلَمَةَ بْنِ عَلْقَمَةَ وَهِشَامِ بْنِ حَسَّانَ دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ سَلَمَةُ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ نُبِّئْتُ عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ وَقَالَ الْآخَرُونَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَلَا لَا تَغْلُوا صُدُقَ النِّسَاءِ فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ مَكْرُمَةً وَفِي الدُّنْيَا أَوْ تَقْوَى عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ كَانَ أَوْلَاكُمْ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَصْدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ وَلَا أُصْدِقَتْ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِهِ أَكْثَرَ مِنْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيُغْلِي بِصَدُقَةِ امْرَأَتِهِ حَتَّى يَكُونَ لَهَا عَدَاوَةٌ فِي نَفْسِهِ وَحَتَّى يَقُولَ كُلِّفْتُ لَكُمْ عِلْقَ الْقِرْبَةِ وَكُنْتُ غُلَامًا عَرَبِيًّا مُوَلَّدًا فَلَمْ أَدْرِ مَا عِلْقُ الْقِرْبَةِ قَالَ وَأُخْرَى يَقُولُونَهَا لِمَنْ قُتِلَ فِي مَغَازِيكُمْ أَوْ مَاتَ قُتِلَ فُلَانٌ شَهِيدًا أَوْ مَاتَ فُلَانٌ شَهِيدًا وَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ قَدْ أَوْقَرَ عَجُزَ دَابَّتِهِ أَوْ دَفَّ رَاحِلَتِهِ ذَهَبًا أَوْ وَرِقًا يَطْلُبُ التِّجَارَةَ فَلَا تَقُولُوا ذَاكُمْ وَلَكِنْ قُولُوا كَمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ مَاتَ فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ
