কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২৬. বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩২২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৮
ব্যভিচারিণীকে বিবাহ করা
৩২৩১. ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদ তায়মী (রাহঃ) ......... আমর ইবনে শুআয়ব তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন, মরছাদ ইবনে আবু মরছাদ গানবী (রাহঃ) নামক এক ব্যক্তি ছিল খুব শক্তিশালী। সে মক্কা হতে মদীনায় কয়েদী বহন করতো। তিনি বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে বহন করার জন্য ডাকলাম। মক্কায় এক
দুশ্চরিত্রা স্ত্রীলোক ছিল— যার নাম ছিল আনাক। এ মহিলা ঐ ব্যক্তির প্ৰেমিকা ছিল। সে বের হয়ে দেওয়ালের ছায়ায় আমার কায়া দেখে বললোঃ এ ব্যক্তি কে? মরছাদ নাকি? তোমাকে মোবারকবাদ! হে মরছাদ! চল আজ রাত আমাদের নিকট অতিবাহিত কর, আমাদের মনযিলে। আমি বললামঃ হে আনাক! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ব্যভিচার হারাম করেছেন। সে বলে উঠলোঃ হে তাঁবুবাসীগণ! এ দুলদুল যে তোমাদের কয়েদীকে বহন করে মক্কা হতে মদীনায় নিয়ে যায়।
এরপর আমি ’খানদামা’ নামক পাহাড়ে আশ্রয় নিলাম। আমাকে আটজন লোক তালাশ করতে এসে তারা আমার মাথার উপর দাঁড়িয়ে পেশাব করে দিল। তাদের পেশাব আমার গায়ে পড়লো। কিন্তু আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে আমাকে দেখা হতে অন্ধ করে দিলেন। আমি আমার সাথীর নিকট এসে তাকে বহন করে যখন “আরাক’ নামক স্থানে পৌঁছালাম, তখন তার বেড়ী হতে রেহাই পেলাম। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর খেদমতে পৌঁছে আরয করলামঃ আমি কি আনাক-কে বিবাহ করবো? তিনি নিশ্চুপ থাকলেন। তখন নাযিল হলোঃ
الزَّانِيَةُ لَا يَنْكِحُهَا إِلَّا زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ
অর্থঃ আর ব্যভিচারিণী তাকে ব্যভিচার অথবা মুশরিক ব্যতীত কেউ বিবাহ করে না। (সূরা আন-নূরঃ ৩)
তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে ডেকে একথা শুনিয়ে বললেনঃ তুমি তাকে বিবাহ করো না।
দুশ্চরিত্রা স্ত্রীলোক ছিল— যার নাম ছিল আনাক। এ মহিলা ঐ ব্যক্তির প্ৰেমিকা ছিল। সে বের হয়ে দেওয়ালের ছায়ায় আমার কায়া দেখে বললোঃ এ ব্যক্তি কে? মরছাদ নাকি? তোমাকে মোবারকবাদ! হে মরছাদ! চল আজ রাত আমাদের নিকট অতিবাহিত কর, আমাদের মনযিলে। আমি বললামঃ হে আনাক! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ব্যভিচার হারাম করেছেন। সে বলে উঠলোঃ হে তাঁবুবাসীগণ! এ দুলদুল যে তোমাদের কয়েদীকে বহন করে মক্কা হতে মদীনায় নিয়ে যায়।
এরপর আমি ’খানদামা’ নামক পাহাড়ে আশ্রয় নিলাম। আমাকে আটজন লোক তালাশ করতে এসে তারা আমার মাথার উপর দাঁড়িয়ে পেশাব করে দিল। তাদের পেশাব আমার গায়ে পড়লো। কিন্তু আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে আমাকে দেখা হতে অন্ধ করে দিলেন। আমি আমার সাথীর নিকট এসে তাকে বহন করে যখন “আরাক’ নামক স্থানে পৌঁছালাম, তখন তার বেড়ী হতে রেহাই পেলাম। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর খেদমতে পৌঁছে আরয করলামঃ আমি কি আনাক-কে বিবাহ করবো? তিনি নিশ্চুপ থাকলেন। তখন নাযিল হলোঃ
الزَّانِيَةُ لَا يَنْكِحُهَا إِلَّا زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ
অর্থঃ আর ব্যভিচারিণী তাকে ব্যভিচার অথবা মুশরিক ব্যতীত কেউ বিবাহ করে না। (সূরা আন-নূরঃ ৩)
তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে ডেকে একথা শুনিয়ে বললেনঃ তুমি তাকে বিবাহ করো না।
تَزْوِيجُ الزَّانِيَةِ
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّيْمِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَخْنَسِ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ مَرْثَدَ بْنَ أَبِي مَرْثَدٍ الْغَنَوِيَّ وَكَانَ رَجُلًا شَدِيدًا وَكَانَ يَحْمِلُ الْأُسَارَى مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ قَالَ فَدَعَوْتُ رَجُلًا لِأَحْمِلَهُ وَكَانَ بِمَكَّةَ بَغِيٌّ يُقَالُ لَهَا عَنَاقُ وَكَانَتْ صَدِيقَتَهُ خَرَجَتْ فَرَأَتْ سَوَادِي فِي ظِلِّ الْحَائِطِ فَقَالَتْ مَنْ هَذَا مَرْثَدٌ مَرْحَبًا وَأَهْلًا يَا مَرْثَدُ انْطَلِقْ اللَّيْلَةَ فَبِتْ عِنْدَنَا فِي الرَّحْلِ قُلْتُ يَا عَنَاقُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرَّمَ الزِّنَا قَالَتْ يَا أَهْلَ الْخِيَامِ هَذَا الدُّلْدُلُ هَذَا الَّذِي يَحْمِلُ أُسَرَاءَكُمْ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَسَلَكْتُ الْخَنْدَمَةَ فَطَلَبَنِي ثَمَانِيَةٌ فَجَاءُوا حَتَّى قَامُوا عَلَى رَأْسِي فَبَالُوا فَطَارَ بَوْلُهُمْ عَلَيَّ وَأَعْمَاهُمْ اللَّهُ عَنِّي فَجِئْتُ إِلَى صَاحِبِي فَحَمَلْتُهُ فَلَمَّا انْتَهَيْتُ بِهِ إِلَى الْأَرَاكِ فَكَكْتُ عَنْهُ كَبْلَهُ فَجِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْكِحُ عَنَاقَ فَسَكَتَ عَنِّي فَنَزَلَتْ الزَّانِيَةُ لَا يَنْكِحُهَا إِلَّا زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ فَدَعَانِي فَقَرَأَهَا عَلَيَّ وَقَالَ لَا تَنْكِحْهَا


বর্ণনাকারী: