কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২৫. জিহাদ-শাহাদাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭১
৪০. সমুদ্র-জিহাদের ফযীলত
৩১৭১. মুহাম্মাদ ইবনে সালামা এবং হারিছ ইন মিসকীন (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন কোবায় পদার্পণ করতেন, তখন তিনি মিলহান কন্যা উম্মে হারাসের নিকট যেতেন। তিনি তাকে আহার করাতেন। আর উম্মে হারাম বিনতে মিলহান ছিলেন উবাদা ইবনে সামিতের স্ত্রী। একবার তিনি তার বাড়ীতে গেলে উম্মে হারাম তাকে আহার করালেন এবং তার মাথার উকুন তালাশ করতে বসে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিদ্রাভিভূত হলেন। এরপর তিনি হাসতে হাসতে জাগ্রত হলেন। উম্মে হারাম বলেন, আমি তাকে বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার হাসার কারণ কি? তিনি বললেনঃ আমার উম্মতের কিছু সংখ্যক লোককে আমাকে দেখান হলো তারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার জন্য সমুদ্র পাড়ি দিয়েছে, এবং তারা সিংহাসনে উপবিষ্ট বাদশাহ। রাবী ইসহাক (রাহঃ) বলেন, অথবা তিনি বলেছেনঃ তারা সিংহাসনে উপবিষ্ট বাদশাহর ন্যায়। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর নিকট দুআ করুন, তিনি যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার জন্য দুআ করে আবার নিদ্রা গেলেন।
হারিছ (রাহঃ) বলেন, নিদ্রা যাওয়ার পর তিনি আবার হাসতে হাসতে জাগলেন, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার হাসার কারণ কি? তিনি বললেনঃ আমার উম্মতের কিছু লোককে আমাকে দেখান হলো, তারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে, যেমন সিংহাসনের উপর বাদশাহ অথবা বাদশাহর মত, যেভাবে প্রথমবার বলেছিলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর নিকট দুআ করুন, তিনি যেন আমাকে এদের মধ্যে শামিল করেন। তিনি বললেনঃ না, তুমি প্রথম দলে থাকবে। উম্মে হারাম মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর সময় সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিলেন, এরপর সমুদ্র হতে ফিরে আসার পর তিনি তার সওয়ারীর উপর হতে পড়ে শহীদ হন।
হারিছ (রাহঃ) বলেন, নিদ্রা যাওয়ার পর তিনি আবার হাসতে হাসতে জাগলেন, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার হাসার কারণ কি? তিনি বললেনঃ আমার উম্মতের কিছু লোককে আমাকে দেখান হলো, তারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে, যেমন সিংহাসনের উপর বাদশাহ অথবা বাদশাহর মত, যেভাবে প্রথমবার বলেছিলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর নিকট দুআ করুন, তিনি যেন আমাকে এদের মধ্যে শামিল করেন। তিনি বললেনঃ না, তুমি প্রথম দলে থাকবে। উম্মে হারাম মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর সময় সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিলেন, এরপর সমুদ্র হতে ফিরে আসার পর তিনি তার সওয়ারীর উপর হতে পড়ে শহীদ হন।
فَضْلُ الْجِهَادِ فِي الْبَحْرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا ذَهَبَ إِلَى قُبَاءَ يَدْخُلُ عَلَى أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ فَتُطْعِمُهُ وَكَانَتْ أُمُّ حَرَامٍ بِنْتُ مِلْحَانَ تَحْتَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَدَخَلَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا فَأَطْعَمَتْهُ وَجَلَسَتْ تَفْلِي رَأْسَهُ فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ قَالَتْ فَقُلْتُ مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَيَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ يَرْكَبُونَ ثَبَجَ هَذَا الْبَحْرِ مُلُوكٌ عَلَى الْأَسِرَّةِ أَوْ مِثْلُ الْمُلُوكِ عَلَى الْأَسِرَّةِ شَكَّ إِسْحَقُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ فَدَعَا لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ نَامَ وَقَالَ الْحَارِثُ فَنَامَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ فَضَحِكَ فَقُلْتُ لَهُ مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَيَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ مُلُوكٌ عَلَى الْأَسِرَّةِ أَوْ مِثْلُ الْمُلُوكِ عَلَى الْأَسِرَّةِ كَمَا قَالَ فِي الْأَوَّلِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ قَالَ أَنْتِ مِنْ الْأَوَّلِينَ فَرَكِبَتْ الْبَحْرَ فِي زَمَانِ مُعَاوِيَةَ فَصُرِعَتْ عَنْ دَابَّتِهَا حِينَ خَرَجَتْ مِنْ الْبَحْرِ فَهَلَكَتْ
