আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৩৪- কলহ- বিবাদ ও নিরসন অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৪১৮
১৫০৫. বিবাদমানদের পরস্পরের কথাবর্তা
২১৫৭। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ....কা‘ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি মসজিদের মধ্যে ইবনে আবু হাদরাদের কাছে তার প্রাপ্য কর্জের তাগাদা করেন। তাদের আওয়াজ বুলন্দ হয়ে গিয়েছিল, এমন কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার ঘর থেকে তা শুনতে পেলেন। তিনি (নবী ﷺ) হুজরার পর্দা তুলে বাইরে এলেন এবং হে কা‘ব বলে ডাকলেন। কা‘ব (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি হাযির। তিনি ইশারায় তাকে কর্জের অর্ধেক মাফ করে দিতে বললেন। কা‘ব (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি মাফ করে দিলাম, তিনি (নবী ﷺ) ইবনে আবু হাদরাদকে বললেন, উঠ, কর্জ পরিশোধ করে দাও।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাওনাদার কা'ব ইবনে মালিক রাযি.-কে তার পাওনার অর্থ থেকে অর্ধেক ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাও স্পষ্ট মুখের কথায় নয়, কেবল হাতের ইশারায়। হযরত কা'ব রাযি.-ও বিনাবাক্যে সে পরামর্শ মেনে নিয়েছেন। এর দ্বারা যেমন হযরত কা'ব রাযি.-এর বুদ্ধিমত্তা ও আনুগত্যপ্রিয়তার পরিচয় পাওয়া যায়, তেমনি এ শিক্ষাও লাভ হয় যে, দেনাদার অসচ্ছল হলে পাওনাদারের উচিত তার প্রতি সদয় ব্যবহার করা এবং সম্ভব হলে কিছুটা ছাড়ও দেওয়া।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. এ হাদীছ দ্বারা সাহাবায়ে কেরাম নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষা অনুসরণে কেমন তৎপর ছিলেন সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আমাদেরও উচিত হাদীছের শিক্ষা অনুসরণে তাদের সে তৎপরতা রপ্ত করা।

খ. এ হাদীছ দ্বারা বিরোধ নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করা যায়। কোনও কলহ-বিবাদ সম্পর্কে জানতে পারলে আমাদের কর্তব্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা নিরসনে ভূমিকা রাখা।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন