কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২৪. হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ
হাদীস নং: ২৮২৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৮২৪
মুহরিম ব্যক্তির হাসি দেখে যদি কোন হালাল ব্যক্তি শিকারের সন্ধান পায় এবং তা হত্যা করে তাহলে সে তা আহার করবে কিনা?
২৮২৭. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার বছর আমার পিতা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে রওয়ানা হলেন। তাঁর সাহাবীগণ ইহরাম বাঁধলেন, আর তিনি ইহরাম বাঁধলেন না। আমি তাঁর সাহাবীগণের সাথে ছিলাম। এমন সময় তারা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলেন। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম, একটি জংলী গাধা। আমি তাকে লক্ষ্য করে বর্শা নিক্ষেপ করলাম। বর্শা নিক্ষেপ করতে আমি তাঁদের সাহায্য কামনা করলাম, কিন্তু তারা আমাকে সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানালেন। আমরা তার গোশত খেলাম। আমরা কাফেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করলাম। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর তালাশে ঘোড়াকে অতি দ্রুত হাঁকালাম।
মধ্যরাত্রে গিফার গোত্রের এক ব্যক্তির সাথে আমার সাক্ষাত হলো। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কোথায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে ছেড়ে এসেছে? সে বললো, সুকিয়া নামক স্থানে তাঁকে শায়িত অবস্থায় ছেড়ে এসেছি। পরে তাঁর সাথে মিলিত হয়ে বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার সাহাবীবৃন্দ আপনাকে সালাম দিয়েছেন। তারা আপনার থেকে পেছনে থাকার কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ভয় করছে। অতএব আপনি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করুন। তিনি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি একটি জংলী গাধা ধরে ফেলেছি। আর তার কিছু অংশ আমার নিকট আছে। তিনি কাফেলাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমরা তা আহার কর, অথচ তারা তখন মুহরিম ছিল।
মধ্যরাত্রে গিফার গোত্রের এক ব্যক্তির সাথে আমার সাক্ষাত হলো। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কোথায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে ছেড়ে এসেছে? সে বললো, সুকিয়া নামক স্থানে তাঁকে শায়িত অবস্থায় ছেড়ে এসেছি। পরে তাঁর সাথে মিলিত হয়ে বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার সাহাবীবৃন্দ আপনাকে সালাম দিয়েছেন। তারা আপনার থেকে পেছনে থাকার কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ভয় করছে। অতএব আপনি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করুন। তিনি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি একটি জংলী গাধা ধরে ফেলেছি। আর তার কিছু অংশ আমার নিকট আছে। তিনি কাফেলাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমরা তা আহার কর, অথচ তারা তখন মুহরিম ছিল।
إِذَا ضَحِكَ الْمُحْرِمُ فَفَطِنَ الْحَلَالُ لِلصَّيْدِ فَقَتَلَهُ أَيَأْكُلُهُ أَمْ لَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ انْطَلَقَ أَبِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ يُحْرِمْ فَبَيْنَمَا أَنَا مَعَ أَصْحَابِي ضَحِكَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ فَنَظَرْتُ فَإِذَا حِمَارُ وَحْشٍ فَطَعَنْتُهُ فَاسْتَعَنْتُهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يُعِينُونِي فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهِ وَخَشِينَا أَنْ نُقْتَطَعَ فَطَلَبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرَفِّعُ فَرَسِي شَأْوًا وَأَسِيرُ شَأْوًا فَلَقِيتُ رَجُلًا مِنْ غِفَارٍ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ فَقُلْتُ أَيْنَ تَرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَرَكْتُهُ وَهُوَ قَائِلٌ بِالسُّقْيَا فَلَحِقْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَصْحَابَكَ يَقْرَءُونَ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَرَحْمَةَ اللَّهِ وَإِنَّهُمْ قَدْ خَشُوا أَنْ يُقْتَطَعُوا دُونَكَ فَانْتَظِرْهُمْ فَانْتَظَرَهُمْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَبْتُ حِمَارَ وَحْشٍ وَعِنْدِي مِنْهُ فَقَالَ لِلْقَوْمِ كُلُوا وَهُمْ مُحْرِمُونَ
