কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

২৪. হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ

হাদীস নং: ২৮১৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১৩
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮১৫. আব্দুল আ’লা ইবনে ওয়াসিল ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাহিলী যুগে লোক মনে করতো পৃথিবীতে হজ্জের মাসে উমরাহ করা গুরুতর পাপ। তারা মুহররম মাসকে সফর মাস হিসেবে গণ্য করতো। এবং তারা বলতঃ

إِذَا بَرَأَ الدَّبَرْ وَعَفَا الْوَبَرْ وَانْسَلَخَ صَفَرْ - أَوْ قَالَ دَخَلَ صَفَرْ - فَقَدْ حَلَّتِ الْعُمْرَةُ لِمَنِ اعْتَمَرْ

যখন উটের পিঠে ক্ষত শুকিয়ে যায়, উটের পশম বৃদ্ধি পায় এবং সফর অর্থাৎ (তাদের বিশ্বাসানুযায়ী) মুহররম অতিবাহিত হয়।” অথবা বলতোঃ সফর মাস এসে যায়, তখন উমরাহ হালাল হয়ে যায়, যে উমরাহ করতে চায়। তার জন্য।

তারপর নবী (ﷺ) এবং তার সাহাবীগণ যিলহজ্জ মাসের চতুর্থ তারিখে ভোরে হজের ইহরাম বাধেন। তিনি তাদেরকে আদেশ করেন, তারা যেন হজ্জকে উমরায় পরিবর্তিত করে ফেলে। ইহা তাদের নিকট কষ্টকর মনে হলো, তাঁরা প্রশ্ন করলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কোনটি হালাল? তিনি ইরশাদ করলেন, হালাল সবই।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ وَاصِلِ بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ وُهَيْبِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانُوا يُرَوْنَ أَنَّ الْعُمْرَةَ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ مِنْ أَفْجَرِ الْفُجُورِ فِي الْأَرْضِ وَيَجْعَلُونَ الْمُحَرَّمَ صَفَرَ وَيَقُولُونَ إِذَا بَرَأَ الدَّبَرْ وَعَفَا الْوَبَرْ وَانْسَلَخَ صَفَرْ أَوْ قَالَ دَخَلَ صَفَرْ فَقَدْ حَلَّتْ الْعُمْرَةُ لِمَنْ اعْتَمَرْ فَقَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً فَتَعَاظَمَ ذَلِكَ عِنْدَهُمْ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الْحِلِّ قَالَ الْحِلُّ كُلُّهُ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সুনানে নাসায়ী - হাদীস নং ২৮১৩ | মুসলিম বাংলা