কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২৪. হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ
হাদীস নং: ২৭৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৩
উমরার তালবিয়া পাঠকারিণী যদি ঋতুবতী হয় এবং হজ্জ ফাউত হওয়ার আশঙ্কা করে
২৭৬৫, কুতায়বা (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে হজ্জের তালবিয়া পাঠ করতে করতে গমন করলাম, আর আয়েশা (রাযিঃ) গেলেন উমরার তালবিয়া পড়তে পড়তে। আমরা যখন সরিফ নামক স্থানে পৌছলাম, তখন আয়েশা (রাযিঃ) ঋতুবতী হলেন, তারপর যখন আমরা মক্কায় পৌঁছলাম, আমরা কাবার তাওয়াফ এবং সাফা ও মারওয়ার সাঈ করলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে আদেশ করলেন, যার সাথে কুরবানীর পশু নেই, সে যেন ইহরাম ভঙ্গ করে। রাবী বলেন- আমরা আরয করলামঃ কোন বস্তু হালাল হবে? তিনি বললেনঃ সকল কিছুই হালাল হবে। (যা ইহরামে কারণে হারাম হয়েছিল)। পরে আমরা স্ত্রী সহবাস করলাম, সুগন্ধি ব্যবহার করলাম এবং আমাদের কাপড় পরিধান করলাম অথচ আমাদের ও আরাফার মধ্যে চার রাতেরই ব্যবধান ছিল।
তারপর আমরা ৮ই যিলহজ্জের দিন তালবিয়া পাঠ করলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট গেলেন তখন দেখলেন তিনি কাঁদছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন ও তোমার অবস্থা কি? আয়েশা (রাযিঃ) বললেনঃ আমার অবস্থা হলো আমার ঋতু আরম্ভ হয়েছে, লোকজন তো ইহরাম ভঙ্গ করেছে অথচ আমি ইহরাম ভঙ্গ করিনি। আর আমি বায়তুল্লাহর তওয়াফও করিনি। এখন লোকজন তো হজ্জ আদায়ের জন্য যাচ্ছে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ ইহা এমন এক ব্যাপার, যা আল্লাহ্ তাআলা আদম কন্যাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন। অতএব তুমি গোসল কর এবং হজ্জের নিয়ত কর। তারপর তিনি তা-ই করলেন এবং বিভিন্ন অবস্থান স্থলে অবস্থান করলেন। এরপর যখন তিনি পবিত্র হলেন। তখন বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলেন এবং সাফা ও মারওয়ায় সাঈ করলেন। এরপর নবী (ﷺ) বললেনঃ এখন তুমি তোমার হজ্জ ও উমরাহ উভয়ের ইহরাম ভঙ্গ করলে। আয়েশা (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার মনে হয় যেন আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করিনি, অথচ হজ্জ করেছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হে আব্দুর রহমান! তাকে নিয়ে যাও এবং তানঈম হতে উমরাহ করাও। আর ইহা ছিল মুহাসসবের রাত্রি। (মিনা থেকে প্রত্যাবর্তনের পর মুহাসসাব নামক স্থানে অবস্থানের রাত্রি।)
তারপর আমরা ৮ই যিলহজ্জের দিন তালবিয়া পাঠ করলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট গেলেন তখন দেখলেন তিনি কাঁদছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন ও তোমার অবস্থা কি? আয়েশা (রাযিঃ) বললেনঃ আমার অবস্থা হলো আমার ঋতু আরম্ভ হয়েছে, লোকজন তো ইহরাম ভঙ্গ করেছে অথচ আমি ইহরাম ভঙ্গ করিনি। আর আমি বায়তুল্লাহর তওয়াফও করিনি। এখন লোকজন তো হজ্জ আদায়ের জন্য যাচ্ছে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ ইহা এমন এক ব্যাপার, যা আল্লাহ্ তাআলা আদম কন্যাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন। অতএব তুমি গোসল কর এবং হজ্জের নিয়ত কর। তারপর তিনি তা-ই করলেন এবং বিভিন্ন অবস্থান স্থলে অবস্থান করলেন। এরপর যখন তিনি পবিত্র হলেন। তখন বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলেন এবং সাফা ও মারওয়ায় সাঈ করলেন। এরপর নবী (ﷺ) বললেনঃ এখন তুমি তোমার হজ্জ ও উমরাহ উভয়ের ইহরাম ভঙ্গ করলে। আয়েশা (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার মনে হয় যেন আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করিনি, অথচ হজ্জ করেছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হে আব্দুর রহমান! তাকে নিয়ে যাও এবং তানঈম হতে উমরাহ করাও। আর ইহা ছিল মুহাসসবের রাত্রি। (মিনা থেকে প্রত্যাবর্তনের পর মুহাসসাব নামক স্থানে অবস্থানের রাত্রি।)
فِي الْمُهِلَّةِ بِالْعُمْرَةِ تَحِيضُ وَتَخَافُ فَوْتَ الْحَجِّ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ أَقْبَلْنَا مُهِلِّينَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَجٍّ مُفْرَدٍ وَأَقْبَلَتْ عَائِشَةُ مُهِلَّةً بِعُمْرَةٍ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِسَرِفَ عَرَكَتْ حَتَّى إِذَا قَدِمْنَا طُفْنَا بِالْكَعْبَةِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَحِلَّ مِنَّا مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ قَالَ فَقُلْنَا حِلُّ مَاذَا قَالَ الْحِلُّ كُلُّهُ فَوَاقَعْنَا النِّسَاءَ وَتَطَيَّبْنَا بِالطِّيبِ وَلَبِسْنَا ثِيَابَنَا وَلَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلَّا أَرْبَعُ لَيَالٍ ثُمَّ أَهْلَلْنَا يَوْمَ التَّرْوِيَةِ ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَائِشَةَ فَوَجَدَهَا تَبْكِي فَقَالَ مَا شَأْنُكِ فَقَالَتْ شَأْنِي أَنِّي قَدْ حِضْتُ وَقَدْ حَلَّ النَّاسُ وَلَمْ أُحْلِلْ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَالنَّاسُ يَذْهَبُونَ إِلَى الْحَجِّ الْآنَ فَقَالَ إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَاغْتَسِلِي ثُمَّ أَهِلِّي بِالْحَجِّ فَفَعَلَتْ وَوَقَفَتْ الْمَوَاقِفَ حَتَّى إِذَا طَهُرَتْ طَافَتْ بِالْكَعْبَةِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ قَالَ قَدْ حَلَلْتِ مِنْ حَجَّتِكِ وَعُمْرَتِكِ جَمِيعًا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَجِدُ فِي نَفْسِي أَنِّي لَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ حَتَّى حَجَجْتُ قَالَ فَاذْهَبْ بِهَا يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَأَعْمِرْهَا مِنْ التَّنْعِيمِ وَذَلِكَ لَيْلَةَ الْحَصْبَةِ
