কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২৪. হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ
হাদীস নং: ২৭৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৪৬
উমরার ইহরাম দ্বারা হজ্জ করা যায় কিনা
২৭৪৮. কুতায়বা (রাহঃ) ......... নাফি’ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনে উমর (রাযিঃ) হজ্জের ইচ্ছা করছিলেন। যে বৎসর হাজ্জাজ ইবনে যুবায়র (রাযিঃ)-এর সাথে যুদ্ধ করার জন্য এসেছিল তাকে বলা হলো যে, তাদের মধ্যে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার ভয় হচ্ছে তারা তোমাকে হজ্জ থেকে বিরত রাখবে। তিনি বললেনঃ ″তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।″ যদি অবস্থা তা-ই হয়, তা হলে আমি তা-ই করবো- যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) করেছিলেন। আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি আমার উপর উমরাহ ওয়াজিব করে নিয়েছি। তারপর তিনি বের হলেন। পরে যখন তিনি বায়দা নামক স্থানে উপস্থিত হলেন, তখন বললেনঃ হজ্জ এবং উমরার অবস্থা একই। আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আমার উমরার সাথে হজ্জও ওয়াজিব করে নিয়েছি। আর তিনি একটি কুরবানীর পশু এনেছিলেন। তিনি তা কুদায়া নামক স্থান থেকে ক্রয় করেছিলেন। তারপর তিনি হজ্জ এবং উমরার উভয়ের তালবিয়া পড়তে পড়তে চলে গেলেন। পরে তিনি মক্কায় আগমন করে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা ও মারওয়ার সাঈ করেন। এর অতিরিক্ত তিনি কিছু করেন নি। কুরবানীও করলেন না, মাথা মুণ্ডালেন না, চুলও কাটলেন না এবং যে সকল বস্তু হারাম ছিল, তার কোনটি দ্বারা ইহরাম ভঙ্গ করলেন না। এমতাবস্থায় কুরবানীর দিন উপস্থিত হলো, তারপর তিনি কুরবানী করলেন, মাথা মুণ্ডন করলেন। পরে দেখা গেল, তিনি প্রথম তাওয়াফ দ্বারাই হজ্জ ও উমরার তাওয়াফ পূর্ণ করলেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এরূপই করেছেন।
إِذَا أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ هَلْ يَجْعَلُ مَعَهَا حَجًّا
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَرَادَ الْحَجَّ عَامَ نَزَلَ الْحَجَّاجُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّهُ كَائِنٌ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ وَأَنَا أَخَافُ أَنْ يَصُدُّوكَ قَالَ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ إِذًا أَصْنَعُ كَمَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ عُمْرَةً ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِظَاهِرِ الْبَيْدَاءِ قَالَ مَا شَأْنُ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ إِلَّا وَاحِدٌ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ حَجًّا مَعَ عُمْرَتِي وَأَهْدَى هَدْيًا اشْتَرَاهُ بِقُدَيْدٍ ثُمَّ انْطَلَقَ يُهِلُّ بِهِمَا جَمِيعًا حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ذَلِكَ وَلَمْ يَنْحَرْ وَلَمْ يَحْلِقْ وَلَمْ يُقَصِّرْ وَلَمْ يَحِلَّ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ فَنَحَرَ وَحَلَقَ فَرَأَى أَنْ قَدْ قَضَى طَوَافَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ بِطَوَافِهِ الْأَوَّلِ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ كَذَلِكَ فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
