কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২৪. হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ
হাদীস নং: ২৭৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৩৮
হজ্জে তামাত্তু
২৭৪০. মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এলাম। তখন তিনি বাতহায় ছিলেন। তিনি বলেনঃ কিসের তালবিয়া পাঠ করেছ? আমি বললামঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যার তালবিয়া পাঠ করেছেন, আমিও তার তালবিয়া পাঠ করেছি। তিনি বললেন, তুমি কি কুরবানীর পশু পাঠিয়েছ? আমি বললাম, না। তিনি বললেনঃ তা হলে তুমি প্রথমে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সাঈ কর, তারপর ইহরাম ভঙ্গ কর। আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা মারওয়ার সাঈ করলাম। এরপর আমার বংশের একজন মহিলার নিকট গেলাম, সে আমার মাথা আঁচড়িয়ে ও মাথা ধুইয়ে দিল। আমি লোকদেরকে আবু বকর ও উমরের খেলাফতের সময় এই ফতোয়াই দিতাম।
আমি এক হজ্জের মওসুমে দাঁড়িয়ে আছি, এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বললোঃ আমীরুল মু’মিনীন হজ্জের ব্যাপারে যে নতুন কথা বলছেন, তা কি তুমি জান না? আমি বললামঃ হে লোকসকল! আমি যাকে কোন ব্যাপারে। ফতোয়া দিয়েছি সে যেন তাড়াহুড়া না করে। কেননা তোমাদের নিকট আমীরুল মু'মিনীন শীঘ্রই আসছেন, তাঁর অনুসরণ কর। যখন তিনি আগমন করলেন, তখন আমি বললামঃ হে আমীরুল মু'মিনীন! হজ্জের ব্যাপারে আপনি কি নূতনত্ব প্রবর্তন করেছেন? তিনি বললেনঃ আমরা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী কাজ করবো। আল্লাহ্ তাআলা বলেছেনঃ ″তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ এবং উমরাহ্ আদায় করা।″ আর আমরা আমাদের নবী (ﷺ) এর সুন্নত অনুযায়ী কাজ করবো। তিনি কুরবানী করার পূর্বে ইহরাম ভঙ্গ করেন নি।
আমি এক হজ্জের মওসুমে দাঁড়িয়ে আছি, এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বললোঃ আমীরুল মু’মিনীন হজ্জের ব্যাপারে যে নতুন কথা বলছেন, তা কি তুমি জান না? আমি বললামঃ হে লোকসকল! আমি যাকে কোন ব্যাপারে। ফতোয়া দিয়েছি সে যেন তাড়াহুড়া না করে। কেননা তোমাদের নিকট আমীরুল মু'মিনীন শীঘ্রই আসছেন, তাঁর অনুসরণ কর। যখন তিনি আগমন করলেন, তখন আমি বললামঃ হে আমীরুল মু'মিনীন! হজ্জের ব্যাপারে আপনি কি নূতনত্ব প্রবর্তন করেছেন? তিনি বললেনঃ আমরা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী কাজ করবো। আল্লাহ্ তাআলা বলেছেনঃ ″তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ এবং উমরাহ্ আদায় করা।″ আর আমরা আমাদের নবী (ﷺ) এর সুন্নত অনুযায়ী কাজ করবো। তিনি কুরবানী করার পূর্বে ইহরাম ভঙ্গ করেন নি।
التَّمَتُّعُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ قَيْسٍ وَهُوَ ابْنُ مُسْلِمٍ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ بِمَا أَهْلَلْتَ قُلْتُ أَهْلَلْتُ بِإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ هَلْ سُقْتَ مِنْ هَدْيٍ قُلْتُ لَا قَالَ فَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حِلَّ فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ أَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ قَوْمِي فَمَشَطَتْنِي وَغَسَلَتْ رَأْسِي فَكُنْتُ أُفْتِي النَّاسَ بِذَلِكَ فِي إِمَارَةِ أَبِي بَكْرٍ وَإِمَارَةِ عُمَرَ وَإِنِّي لَقَائِمٌ بِالْمَوْسِمِ إِذْ جَاءَنِي رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّكَ لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي شَأْنِ النُّسُكِ قُلْتُ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ كُنَّا أَفْتَيْنَاهُ بِشَيْءٍ فَلْيَتَّئِدْ فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَادِمٌ عَلَيْكُمْ فَأْتَمُّوا بِهِ فَلَمَّا قَدِمَ قُلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا هَذَا الَّذِي أَحْدَثْتَ فِي شَأْنِ النُّسُكِ قَالَ إِنْ نَأْخُذْ بِكِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ وَإِنْ نَأْخُذْ بِسُنَّةِ نَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّ نَبِيَّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَحِلَّ حَتَّى نَحَرَ الْهَدْيَ


বর্ণনাকারী: