আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৩২- সেচকার্য সম্পর্কিত অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭৫
১৪৭৮. শুকনো লাকড়ী ও ঘাস বিক্রি করা
২২১৯। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ....আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বদরের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে আমি মালে গনীমত হিসাবে একটি উট লাভ করি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে আরো একটি উট দেন। একদিন আমি উট দু’টিকে একজন আনসারীর ঘরের দরজায় বসাই। আমার ইচ্ছা ছিলো এদের উপর ইযখির (এক ধরনের ঘাস) চাপিয়ে তা বিক্রি করতে নিয়ো যাবো। আমার সাথে বনু কায়নুকার একজন স্বর্ণকার ছিলো। আমি এর (ইযখির বিক্রি লব্ধ টাকা) দ্বারা ফাতিমা (রাযিঃ) এর ওলীমা করতে সমর্থ হব।
সে ঘরে হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) শরাব পান করছিলেন। আর তাঁর সাথে একজন গায়িকাও ছিল। সে বলল, হে হামযা! তৈরী হও, মোটা উটগুলোর উদ্দেশ্যে। এরপর হামযা (রাযিঃ) উট দু’টোর দিকে তরবারি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তাদের কুজ দু’টিও কেটে নিলেন এবং পেট ফেঁড়ে উভয়ের কলিজা বের করে নিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ইবনে শিহাব (রাহঃ)- কে জিজ্ঞাসা করি, কুজ কি করা হল? তিনি বলেন, সেটি কেটে নিয়ে গেলেন।
ইবনে শিহাব বলেন, আলী বলেছেন, এই দৃশ্য দেখলাম এবং তা আমাকে ঘাবড়িয়ে দিল। এরপর আমি নবী (ﷺ) এর নিকট আসলাম। তাঁর নিকট তখন যায়দ ইবনে হারিসা (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন। আমি তাঁকে খবর বললাম। তিনি বের হলেন এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন যায়দ (রাযিঃ)। আমিও তাঁর সঙ্গে গেলাম। তিনি হামযা (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হলেন এবং তার প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করলেন। হামযা দৃষ্টি উঁচু করে তাঁদের দিকে তাকালেন। আর বললেন, তোমরা আমার বাপ-দাদার দাস বটে। হামযা (রাযিঃ)- এর এ অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পিছনে সরে তাদের নিকট থেকে চলে আসলেন। ঘটনাটি শরাব হারাম হওয়ার আগেকার।
সে ঘরে হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) শরাব পান করছিলেন। আর তাঁর সাথে একজন গায়িকাও ছিল। সে বলল, হে হামযা! তৈরী হও, মোটা উটগুলোর উদ্দেশ্যে। এরপর হামযা (রাযিঃ) উট দু’টোর দিকে তরবারি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তাদের কুজ দু’টিও কেটে নিলেন এবং পেট ফেঁড়ে উভয়ের কলিজা বের করে নিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ইবনে শিহাব (রাহঃ)- কে জিজ্ঞাসা করি, কুজ কি করা হল? তিনি বলেন, সেটি কেটে নিয়ে গেলেন।
ইবনে শিহাব বলেন, আলী বলেছেন, এই দৃশ্য দেখলাম এবং তা আমাকে ঘাবড়িয়ে দিল। এরপর আমি নবী (ﷺ) এর নিকট আসলাম। তাঁর নিকট তখন যায়দ ইবনে হারিসা (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন। আমি তাঁকে খবর বললাম। তিনি বের হলেন এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন যায়দ (রাযিঃ)। আমিও তাঁর সঙ্গে গেলাম। তিনি হামযা (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হলেন এবং তার প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করলেন। হামযা দৃষ্টি উঁচু করে তাঁদের দিকে তাকালেন। আর বললেন, তোমরা আমার বাপ-দাদার দাস বটে। হামযা (রাযিঃ)- এর এ অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পিছনে সরে তাদের নিকট থেকে চলে আসলেন। ঘটনাটি শরাব হারাম হওয়ার আগেকার।
