কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২৩. যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৪২
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৪২
যাকাত প্ৰদান না করার ব্যাপারে কঠোর সতর্কবাণী
২৪৪৪. ইসমাঈল ইবনে মাসউদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তির উট রয়েছে কিন্তু সে সেগুলোর সবল বা দুর্বল অবস্থায় যাকাত প্ৰদান করে না, সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন যে, উটের সবল এবং দুর্বল হওয়ার অর্থ কি? তিনি বললেনঃ সেগুলোর (মালিকের) সুদিন কিংবা দুর্দিনে থাকা। কেননা সেগুলো কিয়ামতের দিন পূর্বাপেক্ষা অধিক দ্রুতগতি সম্পন্ন, অধিক হৃষ্টপুষ্ট এবং অধিক দুর্বিনীতরুপে উপস্থিত হবে। সেই ব্যক্তিকে ঐ উটগুলোর সামনে একটি প্রশস্ত এবং সমতল ভূমিতে উপুড় করে রাখা হবে। সেই উটগুলো তাকে স্বীয় ক্ষুর দ্বারা দলন করতে থাকবে। যখন পরবর্তী উটটি ফিরে যাবে পূববর্তী উটটি ফিরে আসবে। এই শাস্তি এমন একদিন দেওয়া হবে, যেই দিন (শাস্তিপ্রাপ্ত লোকটির জন্য) পঞ্চাশ হাজার বছরের সমপরিমাণ হবে, এই শান্তি লোকদের মাঝে বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেওয়া হবে। অতঃপর সে (জান্নাত কিংবা জাহান্নামের দিকে) তার পথ দেখে নেবে।
আর যে ব্যক্তির গরু রয়েছে কিন্তু সে সেগুলোর সবল বা দুর্বল অবস্থায় যাকাত প্ৰদান করে না, সেই গরুগুলো কিয়ামতের দিন পূর্বাপেক্ষা অধিক দ্রুতগতি সম্পন্ন, অধিক হৃষ্টপুষ্ট এবং অধিক দুর্বিনীতরুপে উপস্থিত হবে। সেই ব্যক্তিকে ঐ গরুগুলোর সামনে একটি প্রশস্ত এবং সমতল ভূমিতে উপুড় করে রাখা হবে। তাকে প্রত্যেক শিং বিশিষ্ট জন্তু স্বীয় শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে এবং প্রত্যেক ক্ষুর বিশিষ্ট জন্তু স্বীয় ক্ষুর দ্বারা দালন করতে থাকবে। যখন পরবর্তী জন্তুগুলো ফিরে যাবে পূর্ববতীর্ণ জন্তুগুলো ফিরে আসবে, এমন একদিন এই শাস্তি দেওয়া হবে যেই দিন পঞ্চাশ হাজার বছরের সমপরিমাণ হবে। এই শাস্তি লোকজনের মাঝে বিচার কার্য সম্পন্ন হওয়া না পর্যন্ত দেওয়া হবে। অতঃপর সে (জান্নাত কিংবা জাহান্নামের দিবেঃ) তার পথ দেখে নেবে।
আর যে ব্যক্তির ছাগল রয়েছে কিন্তু সে সেগুলোর যাকাত প্ৰদান করে না সবল বা দুর্বল অবস্থায়, সেই ছাগল গুলো কিয়ামতের দিন পূর্বাপেক্ষা অধিক দ্রুতগতি সম্পন্ন, অধিক হৃষ্টপুষ্ট এলং অতি বীভৎস আকৃতিতে উপস্থিত হবে। অতঃপর সেই ব্যক্তিকে ঐ ছাগলগুলোর সামনে একটি প্রশান্ত এবং সমতল ভূমিতে উপুড় করে রাখা হবে। তখন প্রত্যেক ক্ষুর বিশিষ্ট জন্তু তাকে স্বীয় ক্ষুর দ্বারা দালন করতে থাকবে এবং প্রত্যেক শিং বিশিষ্ট জন্তু তাকে স্বীয় শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। কিয়ামতের দিন কোন জন্তু কেঁকড়ানো শিং বিশিষ্ট বা ভাঙ্গা শিং বিশিষ্ট হবে না। যখন পরবর্তী জন্তুগুলো ফিরে যাবে পূৰ্ববতী জন্তুগুলো ফিরে আসবে। এই শান্তি এমন একদিন দেওয়া হবে, যেই দিন পঞ্চাশ হাজার বছরের সম পরিমাণ হবে। এই শান্তি লোকজনের মাঝে বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়ার পর্যন্ত দেওয়া হবে। অতঃপর সে স্বীয় গন্তব্য স্থান দেখে নেবে।
আর যে ব্যক্তির গরু রয়েছে কিন্তু সে সেগুলোর সবল বা দুর্বল অবস্থায় যাকাত প্ৰদান করে না, সেই গরুগুলো কিয়ামতের দিন পূর্বাপেক্ষা অধিক দ্রুতগতি সম্পন্ন, অধিক হৃষ্টপুষ্ট এবং অধিক দুর্বিনীতরুপে উপস্থিত হবে। সেই ব্যক্তিকে ঐ গরুগুলোর সামনে একটি প্রশস্ত এবং সমতল ভূমিতে উপুড় করে রাখা হবে। তাকে প্রত্যেক শিং বিশিষ্ট জন্তু স্বীয় শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে এবং প্রত্যেক ক্ষুর বিশিষ্ট জন্তু স্বীয় ক্ষুর দ্বারা দালন করতে থাকবে। যখন পরবর্তী জন্তুগুলো ফিরে যাবে পূর্ববতীর্ণ জন্তুগুলো ফিরে আসবে, এমন একদিন এই শাস্তি দেওয়া হবে যেই দিন পঞ্চাশ হাজার বছরের সমপরিমাণ হবে। এই শাস্তি লোকজনের মাঝে বিচার কার্য সম্পন্ন হওয়া না পর্যন্ত দেওয়া হবে। অতঃপর সে (জান্নাত কিংবা জাহান্নামের দিবেঃ) তার পথ দেখে নেবে।
আর যে ব্যক্তির ছাগল রয়েছে কিন্তু সে সেগুলোর যাকাত প্ৰদান করে না সবল বা দুর্বল অবস্থায়, সেই ছাগল গুলো কিয়ামতের দিন পূর্বাপেক্ষা অধিক দ্রুতগতি সম্পন্ন, অধিক হৃষ্টপুষ্ট এলং অতি বীভৎস আকৃতিতে উপস্থিত হবে। অতঃপর সেই ব্যক্তিকে ঐ ছাগলগুলোর সামনে একটি প্রশান্ত এবং সমতল ভূমিতে উপুড় করে রাখা হবে। তখন প্রত্যেক ক্ষুর বিশিষ্ট জন্তু তাকে স্বীয় ক্ষুর দ্বারা দালন করতে থাকবে এবং প্রত্যেক শিং বিশিষ্ট জন্তু তাকে স্বীয় শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। কিয়ামতের দিন কোন জন্তু কেঁকড়ানো শিং বিশিষ্ট বা ভাঙ্গা শিং বিশিষ্ট হবে না। যখন পরবর্তী জন্তুগুলো ফিরে যাবে পূৰ্ববতী জন্তুগুলো ফিরে আসবে। এই শান্তি এমন একদিন দেওয়া হবে, যেই দিন পঞ্চাশ হাজার বছরের সম পরিমাণ হবে। এই শান্তি লোকজনের মাঝে বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়ার পর্যন্ত দেওয়া হবে। অতঃপর সে স্বীয় গন্তব্য স্থান দেখে নেবে।
بَاب التَّغْلِيظِ فِي حَبْسِ الزَّكَاةِ
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ قَالَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَبِي عَمْرٍو الْغُدَانِيِّ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ أَيُّمَا رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ إِبِلٌ لَا يُعْطِي حَقَّهَا فِي نَجْدَتِهَا وَرِسْلِهَا قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا نَجْدَتُهَا وَرِسْلُهَا قَالَ فِي عُسْرِهَا وَيُسْرِهَا فَإِنَّهَا تَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَغَذِّ مَا كَانَتْ وَأَسْمَنِهِ وَآشَرِهِ يُبْطَحُ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ فَتَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا إِذَا جَاءَتْ أُخْرَاهَا أُعِيدَتْ عَلَيْهِ أُولَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ فَيَرَى سَبِيلَهُ وَأَيُّمَا رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ بَقَرٌ لَا يُعْطِي حَقَّهَا فِي نَجْدَتِهَا وَرِسْلِهَا فَإِنَّهَا تَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَغَذَّ مَا كَانَتْ وَأَسْمَنَهُ وَآشَرَهُ يُبْطَحُ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ فَتَنْطَحُهُ كُلُّ ذَاتِ قَرْنٍ بِقَرْنِهَا وَتَطَؤُهُ كُلُّ ذَاتِ ظِلْفٍ بِظِلْفِهَا إِذَا جَاوَزَتْهُ أُخْرَاهَا أُعِيدَتْ عَلَيْهِ أُولَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ فَيَرَى سَبِيلَهُ وَأَيُّمَا رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ غَنَمٌ لَا يُعْطِي حَقَّهَا فِي نَجْدَتِهَا وَرِسْلِهَا فَإِنَّهَا تَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَغَذِّ مَا كَانَتْ وَأَكْثَرِهِ وَأَسْمَنِهِ وَآشَرِهِ ثُمَّ يُبْطَحُ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ فَتَطَؤُهُ كُلُّ ذَاتِ ظِلْفٍ بِظِلْفِهَا وَتَنْطَحُهُ كُلُّ ذَاتِ قَرْنٍ بِقَرْنِهَا لَيْسَ فِيهَا عَقْصَاءُ وَلَا عَضْبَاءُ إِذَا جَاوَزَتْهُ أُخْرَاهَا أُعِيدَتْ عَلَيْهِ أُولَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ فَيَرَى سَبِيلَهُ
