কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

২২. রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ২২৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭৫
এ হাদীসে মুআবিয়া ইবনে সাল্লাম ও আলী ইবনুল মুবারক (রাহঃ) এর বর্ণনার বিভিন্নতা
২২৭৮। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক আল কুশাইরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমার প্রাপ্য উটের ব্যাপারে সফর করে যেতে যেতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে পৌঁছলাম। তখন তিনি খাচ্ছিলেন অথবা বলেন যে, তিনি আহার গ্রহণ করার ইচ্ছে করছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, কাছে এসো এবং খানা খাও। আমি বললাম, আমি তো রোযা পালন করছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহ মুসাফিরের উপর থেকে অর্ধেক নামায মুলতবি করেছেন এবং রোযা মুলতবি করে দিয়েছেন। আর গর্ভবতী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মহিলা থেকেও মুলতবী করে দিয়েছেন রোযা।
باب ذِكْرِ اخْتِلاَفِ مُعَاوِيَةَ بْنِ سَلاَّمٍ وَعَلِيِّ بْنِ الْمُبَارَكِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حِبَّانُ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ شَيْخٍ، مِنْ قُشَيْرٍ عَنْ عَمِّهِ، حَدَّثَنَا ثُمَّ، أَلْفَيْنَاهُ فِي إِبِلٍ لَهُ فَقَالَ لَهُ أَبُو قِلاَبَةَ حَدِّثْهُ فَقَالَ الشَّيْخُ حَدَّثَنِي عَمِّي أَنَّهُ ذَهَبَ فِي إِبِلٍ لَهُ فَانْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَأْكُلُ أَوْ قَالَ يَطْعَمُ فَقَالَ " ادْنُ فَكُلْ أَوْ قَالَ " ادْنُ فَاطْعَمْ " . فَقُلْتُ إِنِّي صَائِمٌ . فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَضَعَ عَنِ الْمُسَافِرِ شَطْرَ الصَّلاَةِ وَالصِّيَامَ وَعَنِ الْحَامِلِ وَالْمُرْضِعِ " .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুসাফিরের জন্য সফরের হালতে রোযা না রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে অস্বাভাবিক কষ্ট না হলে রোযা রাখাই উত্তম। আর অস্বাভাবিক কষ্ট হলে রোযা রাখা মাকরূহ। এ অবস্থায় রোযা না রেখে পরে তা কাযা করবে।

আছিম রাহ. বলেন, আনাস রা.কে সফরকালে রোযা রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ‘যে রোযা রাখবে না সে অবকাশ গ্রহণ করল। আর যে রোযা রাখল সে উত্তম কাজ করল।’-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬/১৩২; রদ্দুল মুহতার ২/৪২১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪০৩

গর্ভবতী নারীর যদি রোযা রাখলে গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতির আশংকা হয়, বা গর্ভবতী নারী মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার আশংকা হয়, তাহলে রোযা রাখবে না। বরং রোযা ভাঙ্গা তার জন্য জায়েজ। তবে পরবর্তীতে এর কাযা আদায় করতে হবে। {ফাতওয়ায়ে রহিমীয়া-৭/২৭০}

অনুরুপ ভাবে দুগ্ধদানকারিনী মা রোযা রাখলে যদি সন্তান দুধ না পায় আর ঐ সন্তান অন্য কোনো খাবারেও অভ্যস্ত না হয়, ফলে দুধ না পাওয়ার কারণে

সন্তানের মৃত্যুর বা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানীর আশঙ্কা হয়, তাহলে তিনি রোযা ভাঙ্গতে পারবেন এবং পরে কাযা করে নিবেন। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, অর্থ : আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের জন্য রোযার হুকুম শিথিল করেছেন এবং আংশিক নামায কমিয়ে দিয়েছেন। আর গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিনীর জন্যও রোযার হুকুম শিথিল করেছেন।-জামে তিরমিযী ১/১৫২; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২২

#সংগৃহীত
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
সুনানে নাসায়ী - হাদীস নং ২২৭৫ | মুসলিম বাংলা