কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

২২. রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ২১৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ২১৫৮
সুলাইমান ইবনে মিহরান (রাহঃ) কর্তৃক আয়িশা (রাযিঃ) থেকে সাহরী বিলম্বে খাওয়ার শব্দ ও সনদের পার্থক্য বর্ণনা
২১৬২। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আলা (রাহঃ) ......... আবু আতিয়্যা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আয়িশা (রাযিঃ)-কে বললাম, আমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এমন দু’জন সাহাবী আছেন, যাদের একজন ইফতার তাড়াতাড়ি করেন এবং সাহরী বিলম্বে খান। আর দ্বিতীয়জন ইফতার বিলম্বে করেন এবং সাহরী তাড়াতাড়ি খান। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, তাঁদের মধ্যে কে ইফতার তাড়াতাড়ি করেন এবং সাহরী বিলম্বে খান? আমি বললাম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)। তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] বললেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরকমই করতেন।
باب ذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ فِي تَأْخِيرِ السُّحُورِ وَاخْتِلاَفِ أَلْفَاظِهِمْ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ فِينَا رَجُلاَنِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَحَدُهُمَا يُعَجِّلُ الإِفْطَارَ وَيُؤَخِّرُ السُّحُورَ وَالآخَرُ يُؤَخِّرُ الإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ السُّحُورَ . قَالَتْ أَيُّهُمَا الَّذِي يُعَجِّلُ الإِفْطَارَ وَيُؤَخِّرُ السُّحُورَ قُلْتُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ . قَالَتْ هَكَذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

সূর্য অস্তমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোযাদার ইফতার করবে এবং মুয়াজ্জিন আযান দিবে। ইফতারের ওয়াক্ত আযান শুরু হওয়ার পর হয় বিষয়টি এমন নয়।

আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে যে, লোকেরা ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং আযানের শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত ইফতার করে না। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ইফতারের ওয়াক্তই শুরু হয় আযানের পর। এই ধারণা ঠিক নয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতারের ওয়াক্ত হয়। আর বিনা কারণে ইফতার বিলম্ব করা খেলাফে সুন্নত। ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উচিত।
সুনানে নাসায়ী - হাদীস নং ২১৫৮ | মুসলিম বাংলা