কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২২. রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ২১৩২
আন্তর্জাতিক নং: ২১৩২
যুহরী (রাহঃ) কর্তৃক আয়িশা (রাযিঃ) থেকে উক্ত রেওয়ায়ত বর্ণনায় সনদের পার্থক্য বর্ণনা
২১৩৬। উবাইদুল্লাহ ইবনে সা’দ এবং আমর ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সর্বদা লালায়িত ছিলাম যে, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিবিদের মধ্য থেকে ঐ দুই জন বিবি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا যদি তোমরা উভয়ে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর যেহেতু তোমাদের হৃদয় কে পড়েছে - আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন। রাবী এ হাদীসকে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন এবং এ ব্যাপারে উমর (রাযিঃ) বলেন যে, হাফসা (রাযিঃ) এ ঘটনা আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে প্রকাশ করায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজ বিবিদের থেকে উনত্রিশ রাত বিচ্ছিন্ন রইলেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অত্যধিক ক্রোধবশত বলেছিলেন, যখন আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে তাদের ঘটনা ব্যক্ত করেছিলেন যে আমি তাদের ঘরে এক মাস পর্যন্ত প্রবেশ করব না। যখন উনত্রিশ রাত্র অতিবাহিত হয়ে গেল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আয়িশা (রাযিঃ)-এর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং তাঁকে দিয়েই পূনরায় বিবিদের ঘরে যাওয়া শুরু করলেন, তখন আয়িশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি তো শপথ করেছিলেন যে, আপনি আমাদের ঘরে একমাস পর্যন্ত প্রবেশ করবেন না; আজকে তো আমরা উনত্রিশ রাত্র অতিবাহিত করলাম, আমরা তো তা গণনা করে রেখেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন যে, মাসটি উনত্রিশ রাত্রের।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অত্যধিক ক্রোধবশত বলেছিলেন, যখন আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে তাদের ঘটনা ব্যক্ত করেছিলেন যে আমি তাদের ঘরে এক মাস পর্যন্ত প্রবেশ করব না। যখন উনত্রিশ রাত্র অতিবাহিত হয়ে গেল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আয়িশা (রাযিঃ)-এর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং তাঁকে দিয়েই পূনরায় বিবিদের ঘরে যাওয়া শুরু করলেন, তখন আয়িশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি তো শপথ করেছিলেন যে, আপনি আমাদের ঘরে একমাস পর্যন্ত প্রবেশ করবেন না; আজকে তো আমরা উনত্রিশ রাত্র অতিবাহিত করলাম, আমরা তো তা গণনা করে রেখেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন যে, মাসটি উনত্রিশ রাত্রের।
باب كَمِ الشَّهْرُ وَذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى الزُّهْرِيِّ فِي الْخَبَرِ عَنْ عَائِشَةَ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَمِّي، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، حَدَّثَهُ ح، وَأَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمْ أَزَلْ حَرِيصًا أَنْ أَسْأَلَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ عَنِ الْمَرْأَتَيْنِ مِنْ أَزْوَاجِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اللَّتَيْنِ قَالَ اللَّهُ لَهُمَا ( إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا ) وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَقَالَ فِيهِ فَاعْتَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نِسَاءَهُ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ الْحَدِيثِ حِينَ أَفْشَتْهُ حَفْصَةُ إِلَى عَائِشَةَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً . قَالَتْ عَائِشَةُ وَكَانَ قَالَ " مَا أَنَا بِدَاخِلٍ عَلَيْهِنَّ شَهْرًا " . مِنْ شِدَّةِ مَوْجِدَتِهِ عَلَيْهِنَّ حِينَ حَدَّثَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ حَدِيثَهُنَّ فَلَمَّا مَضَتْ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ لَيْلَةً دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ فَبَدَأَ بِهَا فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ إِنَّكَ قَدْ كُنْتَ آلَيْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ لاَ تَدْخُلَ عَلَيْنَا شَهْرًا وَإِنَّا أَصْبَحْنَا مِنْ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً نَعُدُّهَا عَدَدًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ لَيْلَةً " .
