আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৩০- ওয়াকালাত (অন্যের পক্ষে কর্ম সম্পাদন) অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৩০৭
১৪৩৫.কোন ওয়াকীলকে অথবা কোন সম্প্রদায়ের সুপারিশকারীকে কোন বস্তু হিবা করা জায়েয।কেননা নবী (ﷺ) হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দলকে যখন তারা গনিমতের মাল ফেরত চেয়েছিল বলেছিলেন,আমি আমার অংশটা তোমাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি।
২১৫৯। সাঈদ ইবনে উফাইর (রাহঃ) ....মারওয়ান ইবনে হাকাম ও মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল যখন ইসলাম গ্রহণ করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে এলেন, তখন তিনি উঠে দাঁড়ালেন। প্রতিনিধি দল রাসূল (ﷺ) এর কাছে তাদের ধন-সম্পদ ও বন্দী ফেরত চাইলেন। তখন তিনি বললেন, আমার নিকট সত্য কথাই অধিকতর পছন্দনীয়। কাজেই তোমরা দু’টোর মধ্যে একটা বেছে নাও- হয় বন্দী, নয় ধন-সম্পদ। আমি তো এদের আগমনের অপেক্ষায়ই প্রতীক্ষমান ছিলাম। (বর্ণনাকারী বলেন) তায়িফ থেকে প্রত্যাবর্তন করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দশ রাতেরও বেশী তাদের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।
যখন (প্রতিনিধি দল) বুঝতে পারলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’টোর মধ্যে একটি ফেরত দেবেন, তখন তারা বললেন, আমরা আমাদের বন্ধীদেরকে গ্রহণ করছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুসলিমগণের মাঝে দাঁড়িয়ে আল্লাহ পাকের যথাযথ প্রশংসা করে বললেন, তোমাদের এই ভাইয়েরা তাওবা করে আমার কাছে এসেছে এবং আমার অভিপ্রায় এই যে, আমি তাদের বন্দীদের ফেরত দেই। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি নিজ খুশিতে স্বেচ্ছা-প্রণোদিত হয়ে ফেরত দিতে চায়, সে দিক। আর তোমাদের মধ্যে যে এর বিনিময় গ্রহণ পছন্দ করে, আমরা সেই গনিমতের মাল থেকে তা দেবো যা আল্লাহ প্রথম আমাদের দান করবেন। সে তা করুক অর্থাৎ বিনিময় নিয়ে ফেরত দিক।
সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা সেচ্ছায় তাদেরকে ফেরত দিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমাদের মধ্যে কে কে অনুমতি দিল আর কে কে অনুমতি দিল না, তা আমরা বুঝতে পারছি না। কাজেই তোমরা ফিরে যাও এবং তোমাদের নেতাগণ তোমাদের মতামত আমাদের নিকট পেশ করুক। সাহাবীগণ ফিরে গেলেন। তাদের নেতা তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট এসে জানালেন যে, সাহাবীগণ সন্তুষ্টচিত্তে অনুমতি দিয়েছেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন