আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২৮- ইজারা অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮৫
১৪২১. যদি কেউ জমি ইজারা নেয় এবং তাদের দু’জনের কেউ মারা যায়। ইবনু সীরীন (রাহঃ) বলেন, নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার পরিবারের লোকদের তাকে উচ্ছেদ করার ইখতিয়ার নেই এবং হাসান, হাকাম ও ইয়াস ইবনে মুআবিয়া (রাহঃ) বলেন, ইজারা নিদিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন নবী (ﷺ) অর্ধেক ফসলের শর্তে খায়বরের জমি (ইয়াহুদীদেরকে ইজারা) দিয়েছিলেন এবং এ ইজারা নবী (ﷺ) এর সময় এবং আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) এর খিলাফতের প্রথম দিক পর্যন্ত বহাল ছিল। এ কথা কোথাও উল্লেখ নেই যে, নবী (ﷺ) এর ইন্তিকালের পর আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) উক্ত জমি নতুনভাবে ইজারা দিয়েছিলেন।
২১৪১। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ....আব্দুল্লাহ (ইবনে উমর) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বরের জমি (ইয়াহুদীদেরকে) এ শর্তে দিয়েছিলেন যে, তারা তাতে কৃষি কাজ করে ফসল উৎপাদন করবে এবং উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক তাদের প্রাপ্য হবে। ইবনে উমর (রাযিঃ) নাফি’ (রাহঃ)- কে বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর যামানায় কিছু মূল্যের বিনিময়ে যার পরিমাণটা নাফি‘ নির্দিষ্ট করে বলেছিলেন, কিন্তু আমার তা মনে নেই, জমি ইজারা দেওয়া হত। রাফি ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) রিওয়ায়েত করেন যে, নবী (ﷺ) শস্য ক্ষেত বর্গা দিতে নিষেধ করেছেন। উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) নাফি’-এর বরাত দিয়ে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে (এতটুকু অতিরিক্ত) বর্ণনা করেছেন যে, উমর (রাযিঃ) কর্তৃক ইয়াহুদীদেরকে তাড়িয়ে দেয়া পর্যন্ত (খায়বরের জমি তাদের নিকট ইজারা দেওয়া হত)।
