কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২১. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৫৮
মৃতের জন্য বিলাপ করা
১৮৬১। সুলাইমান ইবনে মনসুর বলখী (রাহঃ) ......... আব্দুল জব্বার ইবনে ওয়ারদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি ইবনে আবু মুলায়কা (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ যখন উম্মে আবান মৃত্যুবরণ করল, আমি লোকজনসহ তথায় উপস্থিত হয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর সামনে বসললেন। তখন মহিলারা ক্রন্দন করলে ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, এদের ক্রন্দন থেকে কি নিষেধ করা হয়নি? কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, মৃত ব্যক্তিকে তার জন্য তার আত্মীয়-স্বজনের কোন কোন ক্রন্দনের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়। তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, উমর (রাযিঃ) এরূপও বলেছিলেন।
আমি উমর (রাযিঃ) এর সঙ্গে বের হলাম। আমরা যখন ’বায়দা’ নামক প্রান্তরে ছিলাম তখন উমর (রাযিঃ) বৃক্ষের নীচে একদল আরোহীকে দেখে বললেন, দেখতো আরোহী কারা? আমি গিয়ে দেখলাম যে, সুহায়ব (রাযিঃ) এবং তার পরিবারবর্গ। তখন আমি তার কাছে এসে বললাম, হে আমিরুল মু’মিনীন, সুহায়ব এবং তার পরিবারবর্গ। তখন তিনি বললেন, তুমি আমার সামনে সুহায়বকে উপস্থিত কর।
যখন আমরা মদীনায় প্রবেশ করলাম এবং উমর (রাযিঃ) আঘাত প্রাপ্ত হলেন, তখন সুহায়ব (রাযিঃ) তার সামনে বসে ক্রন্দন করছিলেন এবং বলছিলেন, হে আমার প্রিয় ভ্রাতা! হে আমার প্রিয় ভ্রাতা! তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, হে সূহায়ব তুমি ক্রন্দন করো না, যেহেতূ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, মৃত ব্যক্তিকে তার জন্য তার আত্মীয়-স্বজনের কোন কোন ক্রন্দনের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়।
সুহায়ব (রাযিঃ) বলেন, আমি এ ঘটনা আয়িশা (রাযিঃ)-এর সামনে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! তোমরা এ রকম হাদীস বর্ণনা করছ, অথচ তারা দু’জন মিথ্যাবাদীর না। তবে হ্যাঁ শ্রবণান্দ্রীয় কখনো ভুল করে। নিশ্চয় তোমাদের জন্য কুরআনে এমন আয়াত আছে যা তোমাদের আশ্বস্ত করে দেবেঃ أَلاَّ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى অর্থাৎ কোন বহনকারী অন্যের পাপের বোঝা বহন করবে না। হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন যে, কাফিরের জন্য তার আত্মীয় স্বজনের ক্রন্দনের কারণে আল্লাহ তাআলা তার শাস্তি বৃদ্ধি করে থাকেন।
আমি উমর (রাযিঃ) এর সঙ্গে বের হলাম। আমরা যখন ’বায়দা’ নামক প্রান্তরে ছিলাম তখন উমর (রাযিঃ) বৃক্ষের নীচে একদল আরোহীকে দেখে বললেন, দেখতো আরোহী কারা? আমি গিয়ে দেখলাম যে, সুহায়ব (রাযিঃ) এবং তার পরিবারবর্গ। তখন আমি তার কাছে এসে বললাম, হে আমিরুল মু’মিনীন, সুহায়ব এবং তার পরিবারবর্গ। তখন তিনি বললেন, তুমি আমার সামনে সুহায়বকে উপস্থিত কর।
যখন আমরা মদীনায় প্রবেশ করলাম এবং উমর (রাযিঃ) আঘাত প্রাপ্ত হলেন, তখন সুহায়ব (রাযিঃ) তার সামনে বসে ক্রন্দন করছিলেন এবং বলছিলেন, হে আমার প্রিয় ভ্রাতা! হে আমার প্রিয় ভ্রাতা! তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, হে সূহায়ব তুমি ক্রন্দন করো না, যেহেতূ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, মৃত ব্যক্তিকে তার জন্য তার আত্মীয়-স্বজনের কোন কোন ক্রন্দনের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়।
সুহায়ব (রাযিঃ) বলেন, আমি এ ঘটনা আয়িশা (রাযিঃ)-এর সামনে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! তোমরা এ রকম হাদীস বর্ণনা করছ, অথচ তারা দু’জন মিথ্যাবাদীর না। তবে হ্যাঁ শ্রবণান্দ্রীয় কখনো ভুল করে। নিশ্চয় তোমাদের জন্য কুরআনে এমন আয়াত আছে যা তোমাদের আশ্বস্ত করে দেবেঃ أَلاَّ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى অর্থাৎ কোন বহনকারী অন্যের পাপের বোঝা বহন করবে না। হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন যে, কাফিরের জন্য তার আত্মীয় স্বজনের ক্রন্দনের কারণে আল্লাহ তাআলা তার শাস্তি বৃদ্ধি করে থাকেন।
باب النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مَنْصُورٍ الْبَلْخِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْوَرْدِ، سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي مُلَيْكَةَ، يَقُولُ لَمَّا هَلَكَتْ أُمُّ أَبَانَ حَضَرْتُ مَعَ النَّاسِ فَجَلَسْتُ بَيْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ فَبَكَيْنَ النِّسَاءُ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ أَلاَ تَنْهَى هَؤُلاَءِ عَنِ الْبُكَاءِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ " . فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَدْ كَانَ عُمَرُ يَقُولُ بَعْضَ ذَلِكَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ رَأَى رَكْبًا تَحْتَ شَجَرَةٍ فَقَالَ انْظُرْ مَنِ الرَّكْبُ فَذَهَبْتُ فَإِذَا صُهَيْبٌ وَأَهْلُهُ فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَذَا صُهَيْبٌ وَأَهْلُهُ . فَقَالَ عَلَىَّ بِصُهَيْبٍ . فَلَمَّا دَخَلْنَا الْمَدِينَةَ أُصِيبَ عُمَرُ فَجَلَسَ صُهَيْبٌ يَبْكِي عِنْدَهُ يَقُولُ وَاأُخَيَّاهُ وَاأُخَيَّاهُ . فَقَالَ عُمَرُ يَا صُهَيْبُ لاَ تَبْكِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ " . قَالَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ فَقَالَتْ أَمَا وَاللَّهِ مَا تُحَدِّثُونَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ كَاذِبَيْنِ مُكَذَّبَيْنِ وَلَكِنَّ السَّمْعَ يُخْطِئُ وَإِنَّ لَكُمْ فِي الْقُرْآنِ لَمَا يَشْفِيكُمْ (أَلاَّ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى) وَلَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ لَيَزِيدُ الْكَافِرَ عَذَابًا بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ " .
