কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২০. দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৬৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৮২
বিতরের নামাযের সময়
১৬৮৫। কুতায়বা (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে নামায আদায় করে সে যেন শেষে বিতরের নামায আদায় করে। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার নির্দেশ দিয়েছেন।
باب وَقْتِ الْوِتْرِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، قَالَ مَنْ صَلَّى مِنَ اللَّيْلِ فَلْيَجْعَلْ آخِرَ صَلاَتِهِ وَتْرًا فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ بِذَلِكَ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রমযান ছাড়া বছরের অন্য সময় বিতর সাধারণত তাহাজ্জুদের সাথে পড়া হত। এটাই ছিল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাধারণ নিয়ম এবং সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সাহাবায়ে কেরামও সাধারণত এই নিয়ম অনুসরণ করতেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদের পর বিতর নামায পড়তেন। এটি ছিল নবীজীর সাধারণ অভ্যাস। অর্থাৎ রাত্রে তাহাজ্জুদ নামায পড়ার পর শেষে তিন রাকআত বিতর পড়া ।
কিন্ত কখনো কখনো রসূল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার পরপর বিতর পড়েছেন। সেক্ষেত্রে বিতরের পরে নফল নামায ও পড়েছেন।
রাতের সব অংশেই তিনি বিতরের সালাত আদায় করতেন। কখনও তিনি রাতের প্রথমাংশে ইশার সালাত আদায়ের পরে যতটুকু সম্ভব নফল পড়ে বিতর আদায় করতেন। আবার কখনও রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ শেষে মধ্যভাগে, আবার কখনও তিনি রাতের দুই তৃতীয়াংশ শেষে রাতের শেষভাগে বিতরের আদায় করতেন।
তবে এটা নবীজীর সাধারণ মামুল ছিলনা তথা প্রতিদিন পড়তেন না। কখনো কখনো যখন রাসূল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার পরপর বিতর পড়েছেন সেসময়কার আমল এরকম ছিল।
উত্তম হলো, রাত্রে যথাসময়ে নফল-তাহাজ্জুদ পড়ে তারপর বিতর শেষে পড়া, তা সম্ভব না হলে ইশার পরপর বিতর পড়া যাবে।
বিতর নামাযের ব্যাপারে আজকাল এক ব্যাপক অবহেলা এই পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, একে এমন এক নামায মনে করা হয় যার আগে কোন নফল নামায নেই, যেমন মাগরিবের নামায; এর আগে নফল নামায মাসনূন নয়; অথচ বিতরের ব্যাপারে শরীয়তের কাম্য এই যে, তা কিছু নফল নামায পড়ার পর আদায় করা। সবচেয়ে ভাল এই যে, যার শেষ রাতে তাহাজ্জুদের জন্য জাগার নিশ্চয়তা রয়েছে, সে তাহাজ্জুদের পরে বিতর পড়বে। যদি বিতর রাতের শুরু ভাগে ইশার পর পড়া হয় তবুও উত্তম এই যে, দুই-চার রাকাত নফল নামায পড়ার পর বিতর আদায় করবে। মাগরিবের মত আগে কোন নফল ছাড়া শুধু তিন রাকাত বিতর পড়া পছন্দনীয় নয়। হাদীস শরীফে আছে- لا توتروا بثلاث تشبهوا بصلاة المغرب, ولكن أوتروا بخمس, أو بسبع, أو بتسع, أو بإحدى عشرة ركعة, أو أكثر من ذلك. তোমরা শুধু তিন রাকাত বিতর পড়ো না, এতে মাগরিবের সাদৃশ্যপূর্ণ করে ফেলবে; বরং পাঁচ, সাত, নয়, এগার বা এরও অধিক রাকাতে বিতর পড়ো। -মুস্তাদরাকে হাকেম ১/৩০৪, হাদীস ১১৭৮; সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩/৩১, ৩২
মোটকথা, বিতরের আগে কিছু নফল অবশ্যই পড়া-দুই, চার, ছয়, আট-যত রাকাত সম্ভব হয় পড়ে নেয়া।
বয়স ও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন অবস্থার কারণে তাহাজ্জুদের রাকাতসংখ্যা কম-বেশি হত। কিন্তু বিতর সর্বদা তিন রাকাতই পড়তেন। এক রাকাত বিতর পড়া নবীজী থেকে প্রমাণিত নয়। যে সব রেওয়ায়াতে পাঁচ, সাত বা নয় রাকাতের কথা এসেছে, তাতেও বিতর তিন রাকাতই। বর্ণনাকারী আগে-পরের রাকাত মিলিয়ে সমষ্টিকে ‘বিতর’ শব্দে ব্যক্ত করেছেন। হাদীসের রেওয়ায়াতসমূহে ব্যাপকভাবে বিতর ও তাহাজ্জুদের সমষ্টিকে ‘বিতর’ বলা হয়েছে। এটি একটি উপস্থাপনাগত বিষয়।
নবীজী বিতর তিন রাকাত পড়তেন। এটিই তাঁর অনুসৃত পন্থা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদের পর বিতর নামায পড়তেন। এটি ছিল নবীজীর সাধারণ অভ্যাস। অর্থাৎ রাত্রে তাহাজ্জুদ নামায পড়ার পর শেষে তিন রাকআত বিতর পড়া ।
কিন্ত কখনো কখনো রসূল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার পরপর বিতর পড়েছেন। সেক্ষেত্রে বিতরের পরে নফল নামায ও পড়েছেন।
রাতের সব অংশেই তিনি বিতরের সালাত আদায় করতেন। কখনও তিনি রাতের প্রথমাংশে ইশার সালাত আদায়ের পরে যতটুকু সম্ভব নফল পড়ে বিতর আদায় করতেন। আবার কখনও রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ শেষে মধ্যভাগে, আবার কখনও তিনি রাতের দুই তৃতীয়াংশ শেষে রাতের শেষভাগে বিতরের আদায় করতেন।
তবে এটা নবীজীর সাধারণ মামুল ছিলনা তথা প্রতিদিন পড়তেন না। কখনো কখনো যখন রাসূল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার পরপর বিতর পড়েছেন সেসময়কার আমল এরকম ছিল।
উত্তম হলো, রাত্রে যথাসময়ে নফল-তাহাজ্জুদ পড়ে তারপর বিতর শেষে পড়া, তা সম্ভব না হলে ইশার পরপর বিতর পড়া যাবে।
বিতর নামাযের ব্যাপারে আজকাল এক ব্যাপক অবহেলা এই পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, একে এমন এক নামায মনে করা হয় যার আগে কোন নফল নামায নেই, যেমন মাগরিবের নামায; এর আগে নফল নামায মাসনূন নয়; অথচ বিতরের ব্যাপারে শরীয়তের কাম্য এই যে, তা কিছু নফল নামায পড়ার পর আদায় করা। সবচেয়ে ভাল এই যে, যার শেষ রাতে তাহাজ্জুদের জন্য জাগার নিশ্চয়তা রয়েছে, সে তাহাজ্জুদের পরে বিতর পড়বে। যদি বিতর রাতের শুরু ভাগে ইশার পর পড়া হয় তবুও উত্তম এই যে, দুই-চার রাকাত নফল নামায পড়ার পর বিতর আদায় করবে। মাগরিবের মত আগে কোন নফল ছাড়া শুধু তিন রাকাত বিতর পড়া পছন্দনীয় নয়। হাদীস শরীফে আছে- لا توتروا بثلاث تشبهوا بصلاة المغرب, ولكن أوتروا بخمس, أو بسبع, أو بتسع, أو بإحدى عشرة ركعة, أو أكثر من ذلك. তোমরা শুধু তিন রাকাত বিতর পড়ো না, এতে মাগরিবের সাদৃশ্যপূর্ণ করে ফেলবে; বরং পাঁচ, সাত, নয়, এগার বা এরও অধিক রাকাতে বিতর পড়ো। -মুস্তাদরাকে হাকেম ১/৩০৪, হাদীস ১১৭৮; সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩/৩১, ৩২
মোটকথা, বিতরের আগে কিছু নফল অবশ্যই পড়া-দুই, চার, ছয়, আট-যত রাকাত সম্ভব হয় পড়ে নেয়া।
বয়স ও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন অবস্থার কারণে তাহাজ্জুদের রাকাতসংখ্যা কম-বেশি হত। কিন্তু বিতর সর্বদা তিন রাকাতই পড়তেন। এক রাকাত বিতর পড়া নবীজী থেকে প্রমাণিত নয়। যে সব রেওয়ায়াতে পাঁচ, সাত বা নয় রাকাতের কথা এসেছে, তাতেও বিতর তিন রাকাতই। বর্ণনাকারী আগে-পরের রাকাত মিলিয়ে সমষ্টিকে ‘বিতর’ শব্দে ব্যক্ত করেছেন। হাদীসের রেওয়ায়াতসমূহে ব্যাপকভাবে বিতর ও তাহাজ্জুদের সমষ্টিকে ‘বিতর’ বলা হয়েছে। এটি একটি উপস্থাপনাগত বিষয়।
নবীজী বিতর তিন রাকাত পড়তেন। এটিই তাঁর অনুসৃত পন্থা।
