কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২০. দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৬৫১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫১
দাঁড়িয়ে নামায আদায়কালীন রুকুর পূর্ব মুহূর্তে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি করতেন?
১৬৫৪। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... সা’দ ইবনে হিশাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার মদীনাতে গেলে আয়িশা (রাযিঃ) এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, তুমি কে? আমি বললাম, আমি সা’দ ইবনে হিশাম ইবনে আমির। তিনি বললেন, তোমার পিতার উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করুন! আমি বললাম, আপনি আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ এরূপ ছিলেন না? আমি বললাম, নিশ্চয়। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাত্রে ইশার নামায আদায় করতেন। তারপর তার বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে যেতেন।
যখন অর্ধরাত্রি হয়ে যেত তিনি তার প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার জন্য এবং উযুর পানি নেয়ার জন্য উঠে যেতেন এবং উযু করে নিতেন। তারপর মসজিদে প্রবেশ করে আট রাকআত নামায আদায় করতেন। আমার ধারণা হত, যেন তিনি উপরোক্ত রাকআত সমুহের কিরাআত, রুকু এবং সিজদাতে সমতা বিধান করতেন। অতঃপর একটি রাকআত দ্বারা উপরোক্ত নামায সমূহকে বেজোড় করে দিতেন। পরে বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। তারপর তিনি শুয়ে পড়তেন। কখনো কখনো বিলাল (রাযিঃ) এসে তাকে হালকা নিন্দ্রা আসার পূর্বেই নামাযের সংবাদ দিতেন আর কখনো কখনো তার হালকা নিন্দ্রা এসে যেত, এবং কখনো কখনো আমার সন্দেহ হয়ে যেত যে, তিনি হালকা নিদ্রা গেলেন কি না। ইতিমধ্যে তাকে নামাযের সংবাদ দেওয়া হত। এই ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায।
যখন তিনি বার্ধক্যে উপনীত হলেন এবং তার শরীর ভারী হয়ে গেল। আয়িশা (রাযিঃ) আল্লাহর যা ইচ্ছা ছিল তার ভারী হওয়া সম্পর্কে উল্লেখ করলেন। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) লোকদের নিয়ে ইশার নামায আদায় করতেন। তারপর নিদ্রা যেতেন। যখন অর্ধ রাত্রি হত তিনি উযুর পানি নেয়ার জন্য এবং প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার জন্য নিদ্রা থেকে উঠে যেতেন এবং উযু করতেন ও মসজিদে প্রবেশ করে দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। আমি ধারণা করতাম যে, উক্ত দু’রাকআত নামাযে কিরাআত, রুকু এবং সিজদায় সমতা বিধান করতেন।
অতঃপর একটি রাকআত দ্বারা উক্ত নামায সমূহকে বেজোড় করে দিতেন। তারপর বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। পরে নিদ্রা যেতেন। কখনো কখনো বিলাল (রাযিঃ) এসে তাকে হালকা নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে নামাযের সংবাদ দিতেন আর কখনো হালকা নিদ্রা যেতেন। আর কখনো কখনো আমরে সন্দেহ হয়ে যেত যে, তিনি হালকা নিদ্রা গেলেন কিনা। ইতিমধ্যে তাঁকে নামাযের সংবাদ দেয়া হত। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এই ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সব সময়ের নামায।
যখন অর্ধরাত্রি হয়ে যেত তিনি তার প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার জন্য এবং উযুর পানি নেয়ার জন্য উঠে যেতেন এবং উযু করে নিতেন। তারপর মসজিদে প্রবেশ করে আট রাকআত নামায আদায় করতেন। আমার ধারণা হত, যেন তিনি উপরোক্ত রাকআত সমুহের কিরাআত, রুকু এবং সিজদাতে সমতা বিধান করতেন। অতঃপর একটি রাকআত দ্বারা উপরোক্ত নামায সমূহকে বেজোড় করে দিতেন। পরে বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। তারপর তিনি শুয়ে পড়তেন। কখনো কখনো বিলাল (রাযিঃ) এসে তাকে হালকা নিন্দ্রা আসার পূর্বেই নামাযের সংবাদ দিতেন আর কখনো কখনো তার হালকা নিন্দ্রা এসে যেত, এবং কখনো কখনো আমার সন্দেহ হয়ে যেত যে, তিনি হালকা নিদ্রা গেলেন কি না। ইতিমধ্যে তাকে নামাযের সংবাদ দেওয়া হত। এই ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায।
যখন তিনি বার্ধক্যে উপনীত হলেন এবং তার শরীর ভারী হয়ে গেল। আয়িশা (রাযিঃ) আল্লাহর যা ইচ্ছা ছিল তার ভারী হওয়া সম্পর্কে উল্লেখ করলেন। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) লোকদের নিয়ে ইশার নামায আদায় করতেন। তারপর নিদ্রা যেতেন। যখন অর্ধ রাত্রি হত তিনি উযুর পানি নেয়ার জন্য এবং প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার জন্য নিদ্রা থেকে উঠে যেতেন এবং উযু করতেন ও মসজিদে প্রবেশ করে দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। আমি ধারণা করতাম যে, উক্ত দু’রাকআত নামাযে কিরাআত, রুকু এবং সিজদায় সমতা বিধান করতেন।
অতঃপর একটি রাকআত দ্বারা উক্ত নামায সমূহকে বেজোড় করে দিতেন। তারপর বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। পরে নিদ্রা যেতেন। কখনো কখনো বিলাল (রাযিঃ) এসে তাকে হালকা নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে নামাযের সংবাদ দিতেন আর কখনো হালকা নিদ্রা যেতেন। আর কখনো কখনো আমরে সন্দেহ হয়ে যেত যে, তিনি হালকা নিদ্রা গেলেন কিনা। ইতিমধ্যে তাঁকে নামাযের সংবাদ দেয়া হত। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এই ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সব সময়ের নামায।
باب كَيْفَ يَفْعَلُ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ قَائِمًا وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ عَنْ عَائِشَةَ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ - رضى الله عنها - قَالَتْ مَنْ أَنْتَ قُلْتُ أَنَا سَعْدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ . قَالَتْ رَحِمَ اللَّهُ أَبَاكَ . قُلْتُ أَخْبِرِينِي عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ وَكَانَ . قُلْتُ أَجَلْ . قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ صَلاَةَ الْعِشَاءِ ثُمَّ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ فَيَنَامُ فَإِذَا كَانَ جَوْفُ اللَّيْلِ قَامَ إِلَى حَاجَتِهِ وَإِلَى طَهُورِهِ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَيُصَلِّي ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ يُخَيَّلُ إِلَىَّ أَنَّهُ يُسَوِّي بَيْنَهُنَّ فِي الْقِرَاءَةِ وَالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ ثُمَّ يَضَعُ جَنْبَهُ فَرُبَّمَا جَاءَ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ أَنْ يُغْفِيَ وَرُبَّمَا يُغْفِي وَرُبَّمَا شَكَكْتُ أَغْفَى أَوْ لَمْ يُغْفِ حَتَّى يُؤْذِنَهُ بِالصَّلاَةِ فَكَانَتْ تِلْكَ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَسَنَّ وَلَحُمَ - فَذَكَرَتْ مِنْ لَحْمِهِ مَا شَاءَ اللَّهُ - قَالَتْ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ الْعِشَاءَ ثُمَّ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ فَإِذَا كَانَ جَوْفُ اللَّيْلِ قَامَ إِلَى طَهُورِهِ وَإِلَى حَاجَتِهِ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ يَدْخُلُ الْمَسْجِدَ فَيُصَلِّي سِتَّ رَكَعَاتٍ يُخَيَّلُ إِلَىَّ أَنَّهُ يُسَوِّي بَيْنَهُنَّ فِي الْقِرَاءَةِ وَالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ثُمَّ يُوتِرُ بِرَكْعَةٍ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ ثُمَّ يَضَعُ جَنْبَهُ وَرُبَّمَا جَاءَ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ أَنْ يُغْفِيَ وَرُبَّمَا أَغْفَى وَرُبَّمَا شَكَكْتُ أَغْفَى أَمْ لاَ حَتَّى يُؤْذِنَهُ بِالصَّلاَةِ قَالَتْ فَمَا زَالَتْ تِلْكَ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
