কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

১৬. চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ

হাদীস নং: ১৪৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮৪
চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৮৭। হিলাল ইবনে আলা (রাহঃ) ......... আসওয়াদ ইবনে কায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বসরার অধিবাসী ছা’লাবা ইবনে আব্বাদ আব্দী (রাহঃ) একদিন সামুরা ইবনে জুন্দুব (রাযিঃ)-এর খুতবায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার খুতবায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করলেন। সামুরা (রাযিঃ) বললেন, আমি এবং এক আনসারী গোলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে একদিন আমাদের লক্ষ্যস্থলে তীর নিক্ষেপ করছিলাম। ইতিমধ্যে যখন সূর্য দিগন্তে দর্শনার্থীদের দৃষ্টিতে দুই কি তিন বর্শার পরিমাণ মাত্র অবশিষ্ট রয়ে গেল, তা কাল হয়ে গেল।

তখন আমাদের একজন তার সাথীকে বলল, তুমি আমাদের সাথে মসজিদে চল। আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে সূর্যের এ অবস্থা তার উম্মতের জন্য কোন নতুন ঘটনার ইঙ্গিতবহ। তিনি বলেন, তখন আমরা মসজিদে গেলাম এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দেখতে পেলাম যে, তিনি লোকদের নিকট বের হয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অগ্রসর হয়ে নামাযে দাঁড়ালেন। তিনি নামাযে এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন যে, ইতিপূর্বে তিনি আমাদের নিয়ে নামাযে এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন নি। তার কোন আওয়াজ আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম না। তারপর তিনি আমাদের সহ এত দীর্ঘ রুকু করলেন যে, ইতিপূর্বে কোন নামাযে আমাদের নিয়ে এত দীঘায়িত রুকু করেন নি। আমরা তার কোন আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম না। তারপর তিনি আমাদের নিয়ে এত দীর্ঘ সিজদা করলেন যে, ইতিপূর্বে কোন নামাযে এরূপ দীর্ঘ সিজদা করেননি।

তার কোন আওয়াজ আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম না। তারপর তিনি অনুরূপভাবে দ্বিতীয় রাকআতেও করলেন। তিনি বলেন, তার দ্বিতীয় রাকআতে বসা অবস্থায় আলো বিকশিত হয়ে গেল। পরে তিনি সালাম ফিরালেন এবং আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তারীফ করলেন এবং এ কথার সাক্ষ্য দিলেন যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ নেই এবং এ কথারও সাক্ষ্য দিলেন যে, তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তার রাসুল। (সংক্ষিপ্ত)
كتاب الكسوف
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا هِلاَلُ بْنُ الْعَلاَءِ بْنِ هِلاَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَيَّاشٍ، قَالَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي ثَعْلَبَةُ بْنُ عِبَادٍ الْعَبْدِيُّ، مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ أَنَّهُ شَهِدَ خُطْبَةً يَوْمًا لِسَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ فَذَكَرَ فِي خُطْبَتِهِ حَدِيثًا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمُرَةُ بْنُ جُنْدُبٍ بَيْنَا أَنَا يَوْمًا وَغُلاَمٌ مِنَ الأَنْصَارِ نَرْمِي غَرَضَيْنِ لَنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ قِيدَ رُمْحَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةٍ فِي عَيْنِ النَّاظِرِ مِنَ الأُفُقِ اسْوَدَّتْ فَقَالَ أَحَدُنَا لِصَاحِبِهِ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى الْمَسْجِدِ فَوَاللَّهِ لَيُحْدِثَنَّ شَأْنُ هَذِهِ الشَّمْسِ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أُمَّتِهِ حَدَثًا - قَالَ - فَدَفَعْنَا إِلَى الْمَسْجِدِ - قَالَ - فَوَافَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ خَرَجَ إِلَى النَّاسِ - قَالَ - فَاسْتَقْدَمَ فَصَلَّى فَقَامَ كَأَطْوَلِ قِيَامٍ قَامَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ مَا نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا ثُمَّ رَكَعَ بِنَا كَأَطْوَلِ رُكُوعٍ مَا رَكَعَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ مَا نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا ثُمَّ سَجَدَ بِنَا كَأَطْوَلِ سُجُودٍ مَا سَجَدَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا ثُمَّ فَعَلَ ذَلِكَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ ذَلِكَ - قَالَ - فَوَافَقَ تَجَلِّي الشَّمْسِ جُلُوسَهُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ فَسَلَّمَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَشَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَشَهِدَ أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ . مُخْتَصَرٌ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান