কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

১৪. জুমআ'র অধ্যায়

হাদীস নং: ১৪২০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২০
জুমআর নামাযের (রাক'আত) সংখ্যা
১৪২৩। আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে আবু লায়লা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর (রাযিঃ) বলেছেন, জুমআর নামায দু’রাকআত, ঈদুল ফিতরের নামায দু’রাকআত, ঈদুল আযহার নামায দু’রাকআত এবং সফরের অবস্থার নামাযও দু’রাকআত। রাসুল (ﷺ) এর ভাষ্য মতে সে দু’রাকআতই পূর্ণ নামায, সংক্ষেপ নয়।
عدد صلاة الجمعة
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ قَالَ عُمَرُ صَلاَةُ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَانِ وَصَلاَةُ الْفِطْرِ رَكْعَتَانِ وَصَلاَةُ الأَضْحَى رَكْعَتَانِ وَصَلاَةُ السَّفَرِ رَكْعَتَانِ تَمَامٌ غَيْرُ قَصْرٍ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عُمَرَ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হযরত উমার রা. থেকে বর্ণিত রসূলুল্লাহ স.-এর বাণী থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুসাফিরের নামায দু’রাকাত। তিনি এ বর্ণনায় চার রাকাত পড়ার কোন সুযোগের কথা বর্ণনা না করে সরাসরি বলেছেন যে, মুসাফিরের নামায দু’রাকাত। এটা রসূলুল্লাহ স.-এর স্থিরকৃত সিদ্ধানত্ম। সফরে কসরই মূল বিধান মর্মে হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে সহীহ সনদে আরো বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবীর যবানে ফরয করেছেন নিজ অঞ্চলে চার রাকাত, সফরে দু’রাকাত। (মুসলিম: ১৪৪৮) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/১২৩)
কোন কোন ইমাম এটাকে ‘ছাড়’ বলে মনত্মব্য করতঃ পূর্ণ চার রাকাত পড়া উত্তম বলেছেন। দলীল হিসেবে সে সকল বর্ণনা পেশ করেছেন যে সকল বর্ণনায় সফরে কসর করাকে صَدَقَةٌ (ছদকা) বা رُخْصَة (ছাড়) শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে। যেমন বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ: ১৪৪৬ নাম্বার হাদীসে। এ সকল হাদীসের জবাবে আমরা বলি যে, আল্লাহ তাআলার ‘ছদকা’ বা ‘ছাড়’ বান্দার জন্য বড় ধরণের নিআমত যা প্রত্যাখ্যানের কোন সুযোগ নেই। উপরন্তু রসূলুল্লাহ স.কে কোন ব্যাপারে সুযোগ দেয়া হলে তিনি সর্বদা সহজটা গ্রহণ করতেন। (বুখারী-৩৩০৮)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
সুনানে নাসায়ী - হাদীস নং ১৪২০ | মুসলিম বাংলা