আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২৬- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২২৩২
১৩৮৫. মুদাব্বার গোলাম বিক্রয় করা
২০৯১. যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে খালিদ ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে অবিবাহিত ব্যভিচারিণী দাসী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁকে বলতে শুনেছেন যে, ব্যভিচারিণীকে বেত্রাঘাত কর। সে আবার ব্যভিচার করলে আবার বেত্রাঘাত কর। এরপর তাকে বিক্রি করে দাও, তৃতীয় বা চতুর্থবারের পরে।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে কোনও দাসী ব্যভিচার করতে থাকলে সে ব্যাপারে কী করণীয় তা বয়ান করা হয়েছে। বর্তমানকালে দাস-দাসীর প্রচলন নেই। কেননা ইসলামে দাস-দাসী বলা হয় এমন যুদ্ধবন্দীকে, যাকে মুক্তি না দিয়ে যোদ্ধাদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয়। এমন ব্যক্তির নিজস্ব কোনও স্বাধীনতা থাকে না। সে যার ভাগে পড়ে তার মালিকানাধীন হয়ে যায়। মালিক তাকে চাইলে বিক্রিও করে দিতে পারে।
ইসলামে যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে বিধান এই যে, তাদেরকে নিঃশর্তভাবে মুক্তিদান করা যেতে পারে, তাদের দ্বারা বন্দী-বিনিময় হতে পারে, মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে আবার তাদেরকে যোদ্ধাদের মধ্যে বণ্টনও করে দেওয়া যেতে পারে। ইসলাম এই ব্যবস্থাসমূহের যে-কোনওটি গ্রহণের সুযোগ রেখেছে। তবে ইসলামে অনুমোদিত দাসব্যবস্থাকে ইউরোপ-আমেরিকার দাসপ্রথার মত মনে করা ঠিক হবে না। তাদের দাসপ্রথা মানবেতিহাসের এক কলঙ্কজনক ও লোমহর্ষক অধ্যায়। পক্ষান্তরে ইসলামের দাসব্যবস্থা বহুবিধ কল্যাণে ভরপুর।
ইসলাম দাস-দাসীকে ভ্রাতৃত্বের মর্যাদা দিয়েছে। তাদের প্রতি ভ্রাতৃসুলভ ও মানবিক আচরণের তাগিদ করেছে। এ সম্পর্কে আছে বহু হাদীছ। একটি হাদীছই শুনুন। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ-
إخوانكم خولكم، جعلهم الله تحت أيديكم، فمن كان أخوه تحت يده، فليطعمه مما يأكل، وليلبسه مما يلبس، ولا تكلفوهم ما يغلبهم، فإن كلفتموهم فأعينوهم
“তোমাদের ভাইগণই তোমাদের দাস-দাসী। তাদেরকে আল্লাহ তোমাদের অধীন করেছেন। কাজেই যার ভাই তার অধীনে থাকে সে যেন নিজে যা খায় তাকে তা খাওয়ায় এবং নিজে যে পোশাক পরে তাকেও তাই পরায়। তোমরা তাদেরকে তাদের সাধ্যাতীত কাজ করতে বাধ্য করো না। যদি সেরকম কোনও কাজ তাদের দিয়ে করাতেই হয় তবে তোমরাও তাদের সাহায্য করো।১৮৩
এ হাদীছটি দাস-দাসীকে ভ্রাতৃত্বের মর্যাদাদান ও তাদের প্রতি ভ্রাতৃত্বমূলক আচরণ সম্পর্কে কতইনা তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলিম জাতি তাদের দাসদাসীদের প্রতি সর্বদা এরকম আচরণই করেছে। এক ভাই যেমন তার ভাইয়ের জন্য সম্ভাব্য সব সুযোগ-সুবিধা চিন্তা করে থাকে এবং তার গড়ে ওঠা ও প্রতিভা বিকাশের জন্য যাকিছু কল্যাণকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে এ জাতি সর্বদা দাস-দাসীর ক্ষেত্রেও তাই করেছে। ফলে স্বাধীন নর-নারীর মতই তারাও মানুষের সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
সাহাবায়ে কেরামের মধ্যেও এমন অনেক গোলাম ও দাসী ছিলেন, কিয়ামত পর্যন্ত এ উম্মত যাঁদের নাম ভক্তিভরে স্মরণ করবে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেরিত সর্বশেষ বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন একদার গোলাম হযরত যায়দ ইবন হারিছা রাযি., যাঁকে তিনি পুত্রের মর্যাদাও দিয়েছিলেন। মনুষ্যত্বের গৌরব হাবশী বিলাল রাযি.-ও তো এককালে গোলামই ছিলেন। তাবি'ঈ ও তাবে-তাবি'ঈগণের মধ্যে ইতিহাসখ্যাত কত ফকীহ, মুহাদ্দিছ, বিচারপতি ও আবেদ যাহেদ ছিলেন, যাঁরা এককালে গোলাম হিসেবেই জীবনযাপন করেছেন। এ জাতি একদার গোলামদেরকে শাসকরূপে গ্রহণ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি। এই বাংলা-পাক-ভারত উপমহাদেশ শাসনেও এককালে মামলূক বা দাসবংশ যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। সুলতান কুতবুদ্দীন আইবেক, সুলতান আলতামাশ প্রমুখ সুযোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ শাসকগণ একদার গোলামই তো ছিলেন। সুতরাং ইসলামে দাসব্যবস্থা অনুমোদিত বলে চেহারা কুঁচকানোর অবকাশ নেই। সামগ্রিক মানবিক কল্যাণার্থেই এ অনুমোদন।
আলোচ্য হাদীছে দাসী সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, সে যদি বারবার ব্যভিচার করে তবে সবশেষে তাকে বিক্রি করে দেবে। এ আদেশ তার সংশোধনের উদ্দেশ্যে। আবহাওয়া বদল দ্বারা যেমন স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তেমনি পরিবেশ বদল দ্বারাও অনেক সময় চরিত্রের উন্নতি সাধিত হয়ে থাকে। এজন্যই দাসীকে শেষমেশ অতি সস্তায় হলেও বিক্রি করতে বলা হয়েছে। হয়ত অন্য মালিক ও অন্য পরিবেশে যাওয়ার পর তার এ বদ অভ্যাসের পরিবর্তন হবে। এর দ্বারা বোঝা যায়, ইসলামে অপরাধের শাস্তি দেওয়াটাই শেষকথা নয়, চরিত্রের সংশোধনও উদ্দেশ্য। ক্ষেত্রবিশেষে শাস্তি দেওয়ার দ্বারা যদি সে সংশোধন অর্জিত না হয় তবে, যে উপায়ে তা অর্জিত হবে বলে আশা করা যায় তাও অবলম্বন করা চাই। বিক্রি করাও সেরকমই এক উপায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা বোঝা যায়, ইসলামে মৌলিকভাবে দাসব্যবস্থা অনুমোদিত।
খ. এ হাদীছ দ্বারা আরও জানা যায়, ইসলামে চরিত্র সংশোধনের মেহনত অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যে কারণে চরিত্র সংশোধনকল্পে সবশেষে দাসীকে বিক্রির হুকুম দেওয়া হয়েছে।
গ. এর দ্বারা ইসলামে দাস-দাসীর মানবিক মর্যাদার স্বীকৃতিও প্রতিপন্ন হয়। তাই দেখা যাচ্ছে, দণ্ডবিধানে তার ক্ষেত্রেও স্বাধীন নর-নারীর অনুরূপ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তার চরিত্র সংশোধনের বিষয়টাও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
১৮২. সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ২২৩৪; সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ১৭০৩; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীছ নং ৪৪৭১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১০৪০৫; বায়হাকী, আস্-সুনানুল কুবরা, হাদীছ নং ১৭০৮৬; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীছ নং ৭৩৯০; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীছ নং ১৩৫৯৯; বাগাবী, শারহুস্সুন্নাহ, হাদীছ নং ২৫৮৮
১৮৩. সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ৩০; সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ১৬৬১; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীছ নং ৫১৫৮; জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ১৯৪৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীছ নং ৩৬৯০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ২১৪৩১; বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৮১৯৮; আসুনানুল কুবরা, হাদীছ নং ১৫৭৭৫; বাগাবী; শারহুস্সুন্নাহ, হাদীছ নং ২৪০৩
ইসলামে যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে বিধান এই যে, তাদেরকে নিঃশর্তভাবে মুক্তিদান করা যেতে পারে, তাদের দ্বারা বন্দী-বিনিময় হতে পারে, মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে আবার তাদেরকে যোদ্ধাদের মধ্যে বণ্টনও করে দেওয়া যেতে পারে। ইসলাম এই ব্যবস্থাসমূহের যে-কোনওটি গ্রহণের সুযোগ রেখেছে। তবে ইসলামে অনুমোদিত দাসব্যবস্থাকে ইউরোপ-আমেরিকার দাসপ্রথার মত মনে করা ঠিক হবে না। তাদের দাসপ্রথা মানবেতিহাসের এক কলঙ্কজনক ও লোমহর্ষক অধ্যায়। পক্ষান্তরে ইসলামের দাসব্যবস্থা বহুবিধ কল্যাণে ভরপুর।
ইসলাম দাস-দাসীকে ভ্রাতৃত্বের মর্যাদা দিয়েছে। তাদের প্রতি ভ্রাতৃসুলভ ও মানবিক আচরণের তাগিদ করেছে। এ সম্পর্কে আছে বহু হাদীছ। একটি হাদীছই শুনুন। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ-
إخوانكم خولكم، جعلهم الله تحت أيديكم، فمن كان أخوه تحت يده، فليطعمه مما يأكل، وليلبسه مما يلبس، ولا تكلفوهم ما يغلبهم، فإن كلفتموهم فأعينوهم
“তোমাদের ভাইগণই তোমাদের দাস-দাসী। তাদেরকে আল্লাহ তোমাদের অধীন করেছেন। কাজেই যার ভাই তার অধীনে থাকে সে যেন নিজে যা খায় তাকে তা খাওয়ায় এবং নিজে যে পোশাক পরে তাকেও তাই পরায়। তোমরা তাদেরকে তাদের সাধ্যাতীত কাজ করতে বাধ্য করো না। যদি সেরকম কোনও কাজ তাদের দিয়ে করাতেই হয় তবে তোমরাও তাদের সাহায্য করো।১৮৩
এ হাদীছটি দাস-দাসীকে ভ্রাতৃত্বের মর্যাদাদান ও তাদের প্রতি ভ্রাতৃত্বমূলক আচরণ সম্পর্কে কতইনা তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলিম জাতি তাদের দাসদাসীদের প্রতি সর্বদা এরকম আচরণই করেছে। এক ভাই যেমন তার ভাইয়ের জন্য সম্ভাব্য সব সুযোগ-সুবিধা চিন্তা করে থাকে এবং তার গড়ে ওঠা ও প্রতিভা বিকাশের জন্য যাকিছু কল্যাণকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে এ জাতি সর্বদা দাস-দাসীর ক্ষেত্রেও তাই করেছে। ফলে স্বাধীন নর-নারীর মতই তারাও মানুষের সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
সাহাবায়ে কেরামের মধ্যেও এমন অনেক গোলাম ও দাসী ছিলেন, কিয়ামত পর্যন্ত এ উম্মত যাঁদের নাম ভক্তিভরে স্মরণ করবে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেরিত সর্বশেষ বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন একদার গোলাম হযরত যায়দ ইবন হারিছা রাযি., যাঁকে তিনি পুত্রের মর্যাদাও দিয়েছিলেন। মনুষ্যত্বের গৌরব হাবশী বিলাল রাযি.-ও তো এককালে গোলামই ছিলেন। তাবি'ঈ ও তাবে-তাবি'ঈগণের মধ্যে ইতিহাসখ্যাত কত ফকীহ, মুহাদ্দিছ, বিচারপতি ও আবেদ যাহেদ ছিলেন, যাঁরা এককালে গোলাম হিসেবেই জীবনযাপন করেছেন। এ জাতি একদার গোলামদেরকে শাসকরূপে গ্রহণ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি। এই বাংলা-পাক-ভারত উপমহাদেশ শাসনেও এককালে মামলূক বা দাসবংশ যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। সুলতান কুতবুদ্দীন আইবেক, সুলতান আলতামাশ প্রমুখ সুযোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ শাসকগণ একদার গোলামই তো ছিলেন। সুতরাং ইসলামে দাসব্যবস্থা অনুমোদিত বলে চেহারা কুঁচকানোর অবকাশ নেই। সামগ্রিক মানবিক কল্যাণার্থেই এ অনুমোদন।
আলোচ্য হাদীছে দাসী সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, সে যদি বারবার ব্যভিচার করে তবে সবশেষে তাকে বিক্রি করে দেবে। এ আদেশ তার সংশোধনের উদ্দেশ্যে। আবহাওয়া বদল দ্বারা যেমন স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তেমনি পরিবেশ বদল দ্বারাও অনেক সময় চরিত্রের উন্নতি সাধিত হয়ে থাকে। এজন্যই দাসীকে শেষমেশ অতি সস্তায় হলেও বিক্রি করতে বলা হয়েছে। হয়ত অন্য মালিক ও অন্য পরিবেশে যাওয়ার পর তার এ বদ অভ্যাসের পরিবর্তন হবে। এর দ্বারা বোঝা যায়, ইসলামে অপরাধের শাস্তি দেওয়াটাই শেষকথা নয়, চরিত্রের সংশোধনও উদ্দেশ্য। ক্ষেত্রবিশেষে শাস্তি দেওয়ার দ্বারা যদি সে সংশোধন অর্জিত না হয় তবে, যে উপায়ে তা অর্জিত হবে বলে আশা করা যায় তাও অবলম্বন করা চাই। বিক্রি করাও সেরকমই এক উপায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা বোঝা যায়, ইসলামে মৌলিকভাবে দাসব্যবস্থা অনুমোদিত।
খ. এ হাদীছ দ্বারা আরও জানা যায়, ইসলামে চরিত্র সংশোধনের মেহনত অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যে কারণে চরিত্র সংশোধনকল্পে সবশেষে দাসীকে বিক্রির হুকুম দেওয়া হয়েছে।
গ. এর দ্বারা ইসলামে দাস-দাসীর মানবিক মর্যাদার স্বীকৃতিও প্রতিপন্ন হয়। তাই দেখা যাচ্ছে, দণ্ডবিধানে তার ক্ষেত্রেও স্বাধীন নর-নারীর অনুরূপ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তার চরিত্র সংশোধনের বিষয়টাও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
১৮২. সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ২২৩৪; সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ১৭০৩; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীছ নং ৪৪৭১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১০৪০৫; বায়হাকী, আস্-সুনানুল কুবরা, হাদীছ নং ১৭০৮৬; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীছ নং ৭৩৯০; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীছ নং ১৩৫৯৯; বাগাবী, শারহুস্সুন্নাহ, হাদীছ নং ২৫৮৮
১৮৩. সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ৩০; সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ১৬৬১; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীছ নং ৫১৫৮; জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ১৯৪৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীছ নং ৩৬৯০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ২১৪৩১; বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৮১৯৮; আসুনানুল কুবরা, হাদীছ নং ১৫৭৭৫; বাগাবী; শারহুস্সুন্নাহ, হাদীছ নং ২৪০৩
