কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
১৩. নামাযে সাহু তথা ভূলের বিধান
হাদীস নং: ১৩৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৪
ইমাম নামায শেষ করা পর্যন্ত যে ব্যক্তি তার সাথে নামায পড়ে তার সাওয়াব।
১৩৬৭। ইসমাঈল ইবনে মাসউদ (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা এক রমযানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রোযা পালন করলাম, সেবার তিনি আমাদের সাথে তারাবীহর নামায আদায় করলেন না, যত দিন পর্যন্ত না মাসের সাত দিন অবশিষ্ট রইল; তখন তিনি আমাদের সাথে তারাবীহ নামায আদায় করলেন। তাতে রাতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয়ে গেল। তারপর যখন ছয়দিন অবশিষ্ট রইলো, তখনও তিনি আমাদের সাথে তারাবীহর নামায আদায় করলেন না। পরে যখন পাঁচ দিন অবশিষ্ট রইলো আবার তিনি আমাদের সাথে তারাবীহর নামায আদায় করলেন এবং তাতে রাত্রের প্রায় অর্ধেক অতিবাহিত হয়ে গেল। আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আপনি আমাদের নিয়ে পুরো রাত তারাবীহর নামায আদায় করতেন!
তিনি বললেন, কোন ব্যক্তি যখন ইমামের সাথে সালাম ফিরিয়ে নামায থেকে বের হওয়া পর্যন্ত তার নামায আদায় করে তার জন্য এক পূর্ণ রাত নামায আদায় করার সাওয়াব লেখা হয়। তারপর যখন চারদিন অবশিষ্ট রইল তখনও আমাদের নিয়ে তারাবীহর নামায আদায় করলেন না। তারপর যখন মাসের তিনদিন অবশিষ্ট রইল, তিনি তার কন্যা এবং স্ত্রীগণের কাছে লোক পাঠালেন এবং সাহাবাগণকে একত্র করলেন এবং আমাদের নিয়ে তারাবীহর নামায এমনিভাবে আদায় করলেন যে, আমরা ভয় পেয়ে গেলাম আমরা ফালাহ এর সময় না হারিয়ে ফেলি। তারপর তিনি আমাদের নিয়ে ঐ মাসের আর কোনদিন তারাবীহর নামায আদায় করেননি। রাবী দাউদ (রাহঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ফালাহ-এর অর্থ কি? তিনি বললেনন, সাহরী খাওয়া।
তিনি বললেন, কোন ব্যক্তি যখন ইমামের সাথে সালাম ফিরিয়ে নামায থেকে বের হওয়া পর্যন্ত তার নামায আদায় করে তার জন্য এক পূর্ণ রাত নামায আদায় করার সাওয়াব লেখা হয়। তারপর যখন চারদিন অবশিষ্ট রইল তখনও আমাদের নিয়ে তারাবীহর নামায আদায় করলেন না। তারপর যখন মাসের তিনদিন অবশিষ্ট রইল, তিনি তার কন্যা এবং স্ত্রীগণের কাছে লোক পাঠালেন এবং সাহাবাগণকে একত্র করলেন এবং আমাদের নিয়ে তারাবীহর নামায এমনিভাবে আদায় করলেন যে, আমরা ভয় পেয়ে গেলাম আমরা ফালাহ এর সময় না হারিয়ে ফেলি। তারপর তিনি আমাদের নিয়ে ঐ মাসের আর কোনদিন তারাবীহর নামায আদায় করেননি। রাবী দাউদ (রাহঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ফালাহ-এর অর্থ কি? তিনি বললেনন, সাহরী খাওয়া।
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - وَهُوَ ابْنُ الْمُفَضَّلِ - قَالَ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ مِنَ الشَّهْرِ فَقَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ نَحْوٌ مِنْ ثُلُثِ اللَّيْلِ ثُمَّ كَانَتْ سَادِسَةٌ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا فَلَمَّا كَانَتِ الْخَامِسَةُ قَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ نَحْوٌ مِنْ شَطْرِ اللَّيْلِ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَلْتَنَا قِيَامَ هَذِهِ اللَّيْلَةَ . قَالَ " إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا صَلَّى مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ حُسِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ " . قَالَ ثُمَّ كَانَتِ الرَّابِعَةُ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا فَلَمَّا بَقِيَ ثُلُثٌ مِنَ الشَّهْرِ أَرْسَلَ إِلَى بَنَاتِهِ وَنِسَائِهِ وَحَشَدَ النَّاسَ فَقَامَ بِنَا حَتَّى خَشِينَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلاَحُ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنَ الشَّهْرِ . قَالَ دَاوُدُ قُلْتُ مَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ .


বর্ণনাকারী: