কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
১৩. নামাযে সাহু তথা ভূলের বিধান
হাদীস নং: ১২৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১২৮৪
নামাযে আল্লাহর মহাত্ন্য বর্ণনা করা ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর দরূদ পাঠ করা।
১২৮৭। মুহাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) ......... ফাজালা ইবনে উবাইদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ব্যক্তিকে নামাযে দু'আ করতে শুনলেন সে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসাও করল না এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপর দরূদও পড়ল না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, হে মুসল্লী! তুমি দু'আ খুব তাড়াতাড়ি করে ফেলেছ।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুসল্লীদের দু'আ শিক্ষা দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে নামায আদায় করল এবং আল্লাহ তাআলার মাহাত্ম্য বর্ণনা করল, তার প্রশংসা এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর দরুদ পাঠ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তাকে) বললেন, তুমি দু'আ কর, তা কবুল করা হবে এবং আল্লাহর কাছে চাও, তোমাকে দেওয়া হবে।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুসল্লীদের দু'আ শিক্ষা দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে নামায আদায় করল এবং আল্লাহ তাআলার মাহাত্ম্য বর্ণনা করল, তার প্রশংসা এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর দরুদ পাঠ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তাকে) বললেন, তুমি দু'আ কর, তা কবুল করা হবে এবং আল্লাহর কাছে চাও, তোমাকে দেওয়া হবে।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِي هَانِئٍ، أَنَّ أَبَا عَلِيٍّ الْجَنْبِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ، يَقُولُ سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً يَدْعُو فِي صَلاَتِهِ لَمْ يُمَجِّدِ اللَّهَ وَلَمْ يُصَلِّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَجِلْتَ أَيُّهَا الْمُصَلِّي " . ثُمَّ عَلَّمَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً يُصَلِّي فَمَجَّدَ اللَّهَ وَحَمِدَهُ وَصَلَّى عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ادْعُ تُجَبْ وَسَلْ تُعْطَ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাশাহ্হুদের পরে প্রথমে দরূদ এবং তারপর দুআ করতে হয়। এ পদ্ধতিতে দুআ করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫১২)
তাহকীক:তাহকীক চলমান
বর্ণনাকারী: