কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
১৩. নামাযে সাহু তথা ভূলের বিধান
হাদীস নং: ১২২৪
আন্তর্জাতিক নং: ১২২৪
যে দু’রাকআতের পরে ভুলে সালাম ফিরিয়ে ফেলল এবং কথা বলে ফেলল সে কি করবে।
১২২৭। হুমায়দ ইবনে মাসআদা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আমাদের সাথে অপরাহ্নের (যোহর ও আসর) দু’ নামাযের এক নামায আদায় করলেন। রাবী বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেছেন যে, তবে কোন নামায তা আমি ভুলে গেছি। তারপর তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আমাদের সহ দু’রাকআত নামায আদায় করে সালাম ফিরিয়ে ফেললেন।
এরপর মসজিদে প্রস্থে রাখা একটি কাঠ খণ্ডের দিকে অগ্রসর হয়ে তাতে ঠেস দিলেন যেন তিনি রাগান্বিত, আর সব কাজে অগ্রে থাকা সাহাবীগণ মসজিদের দরজা দিয়ে বের হয়ে গেলেন এবং বলতে লাগলেন, নামায কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? তাঁদের মধ্যে আবু বকর এবং উমর (রাযিঃ)-ও ছিলেন। তাঁরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে কথা বলতে সংকোচ বোধ করছিলেন। তাদের সঙ্গে আরো একজন সাহাবী ছিলেন যার হাত কিছুটা লম্বা ছিল।
(রাবী বলেন) তাঁকে যুল ইয়াদাইন (দু’ হাত বিশিষ্ট) বলা হত। তিনি বললেন, ”ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি ভুলে গেছেন না নামায সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি ভুলেও যাইনি এবং নামায সংক্ষিপ্তও হয়নি। রাবী বলেন, তারপর নবী (ﷺ) সমবেত সাহাবীগণকে জিজ্ঞাসা করলেন, যুল ইয়াদাইন যা বলছে তা কি ঠিক? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ।
তারপর তিনি মসজিদে ফিরে আসলেন এবং যা ছুটে গিয়েছিল তা আদায় করে নিয়ে সালাম ফিরালেন এবং তাকবীর বলে পূর্বের মত বা তার চেয়েও দীর্ঘ একটা সিজদা করলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে তাকবীর বললেন আবার তাকবীর বলে পূর্বের মত বা তার চেয়েও দীর্ঘ আরো একটা সিজদা করলেন। পরে মাথা উঠিয়ে তাকবীর বললেন।
এরপর মসজিদে প্রস্থে রাখা একটি কাঠ খণ্ডের দিকে অগ্রসর হয়ে তাতে ঠেস দিলেন যেন তিনি রাগান্বিত, আর সব কাজে অগ্রে থাকা সাহাবীগণ মসজিদের দরজা দিয়ে বের হয়ে গেলেন এবং বলতে লাগলেন, নামায কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? তাঁদের মধ্যে আবু বকর এবং উমর (রাযিঃ)-ও ছিলেন। তাঁরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে কথা বলতে সংকোচ বোধ করছিলেন। তাদের সঙ্গে আরো একজন সাহাবী ছিলেন যার হাত কিছুটা লম্বা ছিল।
(রাবী বলেন) তাঁকে যুল ইয়াদাইন (দু’ হাত বিশিষ্ট) বলা হত। তিনি বললেন, ”ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি ভুলে গেছেন না নামায সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি ভুলেও যাইনি এবং নামায সংক্ষিপ্তও হয়নি। রাবী বলেন, তারপর নবী (ﷺ) সমবেত সাহাবীগণকে জিজ্ঞাসা করলেন, যুল ইয়াদাইন যা বলছে তা কি ঠিক? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ।
তারপর তিনি মসজিদে ফিরে আসলেন এবং যা ছুটে গিয়েছিল তা আদায় করে নিয়ে সালাম ফিরালেন এবং তাকবীর বলে পূর্বের মত বা তার চেয়েও দীর্ঘ একটা সিজদা করলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে তাকবীর বললেন আবার তাকবীর বলে পূর্বের মত বা তার চেয়েও দীর্ঘ আরো একটা সিজদা করলেন। পরে মাথা উঠিয়ে তাকবীর বললেন।
أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - وَهُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ - قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِحْدَى صَلاَتَىِ الْعَشِيِّ . قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَلَكِنِّي نَسِيتُ - قَالَ - فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ فَانْطَلَقَ إِلَى خَشَبَةٍ مَعْرُوضَةٍ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ بِيَدِهِ عَلَيْهَا كَأَنَّهُ غَضْبَانُ وَخَرَجَتِ السَّرَعَانُ مِنْ أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ فَقَالُوا قُصِرَتِ الصَّلاَةُ وَفِي الْقَوْمِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ - رضى الله عنهما - فَهَابَاهُ أَنْ يُكَلِّمَاهُ وَفِي الْقَوْمِ رَجُلٌ فِي يَدَيْهِ طُولٌ قَالَ كَانَ يُسَمَّى ذَا الْيَدَيْنِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَسِيتَ أَمْ قُصِرَتِ الصَّلاَةُ قَالَ " لَمْ أَنْسَ وَلَمْ تُقْصَرِ الصَّلاَةُ " . قَالَ وَقَالَ " أَكَمَا قَالَ ذُو الْيَدَيْنِ " . قَالُوا نَعَمْ . فَجَاءَ فَصَلَّى الَّذِي كَانَ تَرَكَهُ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ ثُمَّ سَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ كَبَّرَ .
