কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

১৩. নামাযে সাহু তথা ভূলের বিধান

হাদীস নং: ১১৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৬
নামাযে (কোন দিকে) দৃষ্টিপাত করার ব্যাপারে কঠোরতা।
১১৯৯। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে নামাযে এদিক-ওদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, তা হল ছোঁ মারা। যা দ্বারা শয়তান নামাযের একাগ্রতা ছোঁ মেরে নিয়ে যায়।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الاِلْتِفَاتِ فِي الصَّلاَةِ فَقَالَ " اخْتِلاَسٌ يَخْتَلِسُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الصَّلاَةِ " .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নামাযের মধ্যে এদিক-ওদিক তাকানো মাকরূহ। একান্ত যদি দেখতে হয় তো নফল নামাযে দেখতে পারে ফরযে নয়। বরং মুসল্লীর জন্য উচিত হলো তার দৃষ্টি সিজদার স্থানে নিবদ্ধ রাখা। হযরত ইবরাহীম নাখাঈ রহ. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি পছন্দ করতেন মুসল্লীর দৃষ্টি সিজদার স্থান অতিক্রম না করুক। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫৬৩) হযরত ইবনে ছীরীন রহ. থেকেও বর্ণিত আছে যে, তিনি পছন্দ করতেন মুসল্লী তার দৃষ্টি সিজদার জায়গা বরাবর রাখবে। যদি সে এটা না করে তাহলে তার দু’চোখ বন্ধ করে রাখবে। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫৬৪)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন