কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
১২. তাত্ববীক্ব [রুকুতে দুইহাত হাঁটুদ্বয়ের মাঝে রাখা] এবং অবশিষ্ট নামাযের বিবরণ
হাদীস নং: ১১৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৬
উঠার জন্য তাকবীর বলা।
১১৫৯। নসর ইবনে আলী ও সওয়ার ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে সওয়ার (রাহঃ) ......... আর বকর ইবনে আব্দুর রহমান এবং আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর পেছনে নামায আদায় করেন। যখন তিনি রুকু করলেন তখন তাকবীর বললেন। যখন মাথা উঠালেন তখন বললেন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ তারপর সিজদা দিতে তাকবীর বললেন এবং যখন তাঁর মাথা উঠালেন তখনও তাকবীর বললেন। এরপর এক রাকআতের পর যখন দাঁড়ালেন তখন তাকবীর বললেন। পরে বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ! আমি তোমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে অধিক সামঞ্জস্যশীল। পৃথিবী ত্যাগ করা পর্যন্ত তার নামায এরূপই ছিল।
أَخْبَرَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَسَوَّارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَوَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُمَا صَلَّيَا خَلْفَ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضى الله عنه - فَلَمَّا رَكَعَ كَبَّرَ فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ثُمَّ سَجَدَ وَكَبَّرَ وَرَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ ثُمَّ كَبَّرَ حِينَ قَامَ مِنَ الرَّكْعَةِ ثُمَّ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَقْرَبُكُمْ شَبَهًا بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا زَالَتْ هَذِهِ صَلاَتُهُ حَتَّى فَارَقَ الدُّنْيَا . وَاللَّفْظُ لِسَوَّارٍ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নামাযে প্রত্যেক উঠা-বসার সময় তাকবীর বলতে হয়। এ ছাড়াও হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলতেন আবার রুকুতে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। রুকু থেকে পিঠ সোজা করে উঠার সময় سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه বলতেন এবং দাঁড়িয়ে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলতেন। অতঃপর সিজদাতে যাওয়ার সময় এবং সিজদা থেকে উঠার সময়, আবার দ্বিতীয় সিজদাতে যাওয়ার সময় এবং সিজদা থেকে উঠার সময় তাকবীর বলতেন। এভাবেই পুরো নামায শেষ করতেন। আর দ্বিতীয় রাকাতের বৈঠক শেষে যখন উঠতেন তখনও তাকবীর বলতেন। (বুখারী: ৭৫৩) এ হাদীস থেকে আরো স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, নামাযে প্রত্যেক উঠা-বসায় তাকবীর বলতে হয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৭৬)
