কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
১২. তাত্ববীক্ব [রুকুতে দুইহাত হাঁটুদ্বয়ের মাঝে রাখা] এবং অবশিষ্ট নামাযের বিবরণ
হাদীস নং: ১১৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৪৫
দু’ সিজদার মাঝে দু'আ।
১১৪৮। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আলা (রাহঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী (ﷺ) এর নিকট গিয়ে তারপাশে দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, اللَّهُ أَكْبَرُ ذُو الْمَلَكُوتِ وَالْجَبَرُوتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْعَظَمَةِ তারপর তিনি সূরা বাকারা পড়তে শুরু করলেন, পরে তিনি রুকু করলেন। তার রুকু তার কিয়ামের প্রায় বরাবর ছিল। তিনি রুকুতে বললেন سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ আর যখন তিনি মাথা উঠালেন, তখন বললেন, لِرَبِّيَ الْحَمْدُ لِرَبِّيَ الْحَمْدُ আর তিনি তার সিজদায় বলতেন, سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى তিনি তাঁর দু’সিজদার মধ্যে বলতেন رَبِّ اغْفِرْ لِي رَبِّ اغْفِرْ لِي।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، سَمِعَهُ يُحَدِّثُ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ عَبْسٍ عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ إِلَى جَنْبِهِ فَقَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ ذُو الْمَلَكُوتِ وَالْجَبَرُوتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْعَظَمَةِ " . ثُمَّ قَرَأَ بِالْبَقَرَةِ ثُمَّ رَكَعَ فَكَانَ رُكُوعُهُ نَحْوًا مِنْ قِيَامِهِ فَقَالَ فِي رُكُوعِهِ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ " . وَقَالَ حِينَ رَفَعَ رَأْسَهُ " لِرَبِّيَ الْحَمْدُ لِرَبِّيَ الْحَمْدُ " . وَكَانَ يَقُولُ فِي سُجُودِهِ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى " . وَكَانَ يَقُولُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ " رَبِّ اغْفِرْ لِي رَبِّ اغْفِرْ لِي " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
কোন কোন হাদীসে পাওয়া যায় যে, নবী করীম (সা) দুই সিজদার মাঝে اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي দুআটি পড়তেন। এবং হাদীসে বর্ণিত رَبِّ اغْفِرْ لِي দুআটি বারংবার পড়তেন। (ইবনে মাযা-৮৯৭, আবু দাউদ-৮৭৪, নাসাঈ-১০৬৯, মুসনাদে আহমাদ-২৩৩৭৫) মুসনাদে আহমাদের তাহকীকে শায়খ শুআইব আরনাউত রহ. এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। এ দুটি দুআ ছাড়াও অন্যান্য দুআ হাদীসে বর্ণিত আছে। অতএব, রসূলুল্লাহ স. বা সাহাবায়ে কিরাম যা পড়েছেন অথবা ইমামগণ যেটাকে বৈধ বলেছেন এমন যে কোন দুআই এখানে পড়া যেতে পারে। একা নামাযের ক্ষেত্রে সময়-সুযোগ ও সামর্থ অনুযায়ী বড় ও প্রয়োজনীয় দুআ পড়া ভালো। আর জামাতের নামাযে অসুস্থ ও দূর্বল মুসল্লীদের প্রতি লক্ষ রেখে যথা সম্ভব ছোট দুআ পড়া উত্তম হবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫০৫)


বর্ণনাকারী: