কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

১২. তাত্ববীক্ব [রুকুতে দুইহাত হাঁটুদ্বয়ের মাঝে রাখা] এবং অবশিষ্ট নামাযের বিবরণ

হাদীস নং: ১০৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬২
মুক্তাদী যা বলবে।
১০৬৫। মুহাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) ......... রিফাআ ইবনে রাফি (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পেছনে নামায আদায় করছিলাম। তিনি যখন রুকু থেকে মাথা উঠালেন, তখন বললেন, ’সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’। তাঁর পেছনে একব্যক্তি বলে উঠল رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শেষ করে বললেন, এখন কে কথা বলল? সে ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি ত্রিশের বেশী ফিরিশতাকে দেখেছি তা নিয়ে তাড়াহুড়া করছে, কে তা সর্বাগ্রে লিখবে।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ حَدَّثَنِي نُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، قَالَ كُنَّا يَوْمًا نُصَلِّي وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . قَالَ رَجُلٌ وَرَاءَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ . فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ آنِفًا " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ رَأَيْتُ بِضْعَةً وَثَلاَثِينَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَكْتُبُهَا أَوَّلاً " .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, একাকী নামাযী রুকু থেকে উঠার সময় سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ এবং রুকু থেকে দাঁড়িয়ে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে। ইমামও অনুরূপ বলবে। অবশ্য বুখারী শরীফের ৭৬০ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম শুধু سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ বলবেন। আর মুক্তাদীরা শুধু رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে। উভয় হাদীসের উপরই আমল করা যেতে পারে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯৭) এ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, জনৈক সাহাবা রসূল স.-এর পেছনে নামায পড়ছিলেন। রসূল স. سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ বলে রুকু থেকে উঠলে তিনি বললেন, رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ নামায শেষে রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করলেন, আমি ত্রিশজনেরও বেশী ফেরেশ্তাকে দেখলাম কে আগে এর সওয়াব লিখবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করছে। এটাকেও আমরা ছুন্নাত আমল বলে বিশ্বাস করি। রসূল স. নিজে কখনো এ আমল করেছেন বলে আমার জানা নেই। অবশ্য, তাঁর প্রশংসাই আমলের জন্য যথেষ্ট।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সুনানে নাসায়ী - হাদীস নং ১০৬২ | মুসলিম বাংলা