কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

১১. নামায শুরু করার অধ্যায়

হাদীস নং: ৯৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৯৮২
কিয়াম ও কিরাআত সংক্ষিপ্ত করা।
৯৮৫। হারুন ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামাযের সাথে অমুকের চেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ নামায আর কারও পেছনে আদায় করিনি। সূলাইমান (রাযিঃ) বলেন, তিনি যোহরের প্রথম দুরাকআত লম্বা করতেন, শেষের দু’রাকআত সংক্ষিপ্ত করতেন। আর আসরের নামায সংক্ষিপ্ত করতেন। আর মাগরিবের নামায কিসারে মুফাসসাল দ্বারা আদায় করতেন। আর ইশার নামায তিলাওয়াতে মুফাসসাল দ্বারা আদায় করতেন। আর ভোরের নামায অথাৎ ফজর তিওয়ালে মুফাসসাল দ্বারা আদায় করতেন।*

* সূরা হুজুরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত তিওয়ালে মুফাসসাল, সূরা বুরুজ থেকে সূরা বায়্যিনা পর্যন্ত আওসাতে মুফাসসাল এবং সূরা বায়্যিনা থেকে কুরআনের শেষ পর্যন্ত কিসারে মুফাসসাল হিসেবে গণ্য।
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَا صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَحَدٍ أَشْبَهَ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ فُلاَنٍ . قَالَ سُلَيْمَانُ كَانَ يُطِيلُ الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ وَيُخَفِّفُ الأُخْرَيَيْنِ وَيُخَفِّفُ الْعَصْرَ وَيَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِقِصَارِ الْمُفَصَّلِ وَيَقْرَأُ فِي الْعِشَاءِ بِوَسَطِ الْمُفَصَّلِ وَيَقْرَأُ فِي الصُّبْحِ بِطُوَلِ الْمُفَصَّلِ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, মাগরিবের নামাযে কিসারে মুফাছ্‌ছাল (ঝিলঝাল থেকে নাছ পর্যনত্ম), ইশার নামাযে আওয়াছতে মুফাছ্‌ছাল (ছূরা ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যনত্ম) এবং ফজরে নামাযে তিওয়ালে মুফাছ্‌ছাল (হুজুরাত থেকে বুরম্নজ পর্যনত্ম) পড়তেন। আর পূর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূল স. যোহরের নামাযে তিওয়ালে মুফাছ্‌ছাল আর আসরের নামাযে আওসাতে মুফাছ্‌ছাল (ছূরা ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যনত্ম) পড়তেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে উপরিউক্ত নিয়মে কুরআন পাঠ করা উত্তম, তবে আবশ্যকীয় নয়। এ নিয়মের বিপরীতে রসূলুলস্নাহ স. এবং সাহাবায়ে কিরাম কুরআনের বিভিন্ন অংশ থেকে পাঠ করতেন মর্মে অনেক সহীহ হাদীসের বর্ণনা রয়েছে। ইমামের তিলাওয়াতের প্রতি মুসলিস্নদের আগ্রহ ও একাগ্রতা দেখা গেলে এবং দুর্বল, অসুস্থ্য বা ব্যসত্ম মানুষ না থাকলে ইমাম সাহেব কিরাত লম্বা করতে পারেন। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় উপরিউক্ত নিয়ম বা তার কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করা উত্তম হবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান