কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
১০. ইমামত - জামাআতের অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৮৭১
কাতারের বাইরে রুকু করা।
৮৭২। হুমায়দ ইবনে মাসআদাহ (রাহঃ) ......... হাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু বাকরা (রাযিঃ) তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি এমন সময় মসজিদে প্রবেশ করলেন যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুকুতে চলে গেছেন। তিনি (তাড়াতাড়ি) কাতারের বাইরেই রুকু করে ফেললেন। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেনঃ আল্লাহ তোমার আগ্রহ বাড়িয়ে দিন কিন্তু আর কখনও এরূপ করবে না।
الركوع دون الصف
خْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ زِيَادٍ الأَعْلَمِ، قَالَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، أَنَّ أَبَا بَكْرَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَاكِعٌ فَرَكَعَ دُونَ الصَّفِّ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " زَادَكَ اللَّهُ حِرْصًا وَلاَ تَعُدْ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
কোন মুক্তাদী ইমামের সাথে রুকুতে শরিক হতে পারলে সে রাকাত পেয়ে যাবে। আর রুকু না পেলে রাকাত পাবে না। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (আল-বিনায়াহ: ২/১৭৬, অধ্যায়: সুনানুস সলাত) এ ব্যাপারে আলস্নামা ইবনু আব্দিল বার রহ. বলেন, قَالَ جُمْهُورُ الْعُلَمَاءِ مَنْ أَدْرَكَ الْإِمَامَ راكعا فكبر وَرَكَعَ وَأَمْكَنَ يَدَيْهِ مِنْ رُكْبَتَيْهِ قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ الْإِمَامُ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَدْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ وَمَنْ لَمْ يُدْرِكْ ذَلِكَ فَقَدْ فَاتَتْهُ الرَّكْعَةُ ‘ অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম বলেন, যে ব্যক্তি ইমামকে রুকু অবস্থায় পেলো অতঃপর তাকবীর বলে রুকু করলো এবং ইমাম রুকু থেকে মাথা উঠানোর পূর্বে উভয় হাত দ্বারা হাটুদ্বয় ধরতে পারলো সে রাকাত পেয়ে গেলো। আর যে ব্যক্তি এ অবস্থায় রুকু পেলো না তার রাকাত ছুটে গেলো। (আত-তামহীদ- ৭/৭৩) অতঃপর এ মতামতকে তিনি চার ইমামসহ আরো অনেক গবেষক ইমামদের মত বলে উলেস্নখ করে এর সপক্ষে এক দল সাহাবায়ে কিরামের আছার বর্ণনা করেন। তিনি যাদের আছার তুলে ধরেছেন তম্মধ্যে হযরত ইবনে মাসউদ রা.-এর আছার সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে ইবনে আবী শাইবা-২৬৩৭ এবং আস-সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী-২৫৮৭ নাম্বার হাদীসে। আলস্নামা ইবনু আব্দিল বার রহ. এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আল-ইসিত্মজকার: ২/৩১৪) আলস্নামা বদরম্নদ্দীন আইনী রহ.ও হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (উমদাতুল কারী: ৬/৫৫) আরো বর্ণিত হয়েছে হযরত ইবনে উমার রা. থেকে ইবনে আবী শাইবা: ২৫৩৪ নাম্বার হাদীসে। হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আল-মাতালিবুল আলিয়া: ৪/৮৩) আরো বর্ণিত হয়েছে হযরত যায়েদ বিন সাবেত রা. থেকে ত্বহাবী: খ--১, পৃষ্ঠা-২৬৮, ২৩২৬ নাম্বার হাদীসে। আলস্নামা বদরম্নদ্দীন আইনী রহ. এটাকে সহীহ বলেছেন। (নুখাবুল আফকার- ৬/২১৩) এ বিষয়ে আরো বর্ণিত হয়েছে হযরত আব্দুলস্নাহ বিন যুবায়ের রা. থেকে ইবনে আবী শাইবা-২৬৪৬ নাম্বার হাদীসে। এ হাদীসটির সনদ গ্রহণযোগ্য।
মোটকথা এ বিষয়টি এত ব্যাপক বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, নিরপেড়্গ দৃষ্টিতে কেউ গভীরভাবে পর্যবেড়্গণ করলে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
মোটকথা এ বিষয়টি এত ব্যাপক বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, নিরপেড়্গ দৃষ্টিতে কেউ গভীরভাবে পর্যবেড়্গণ করলে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
