কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

১০. ইমামত - জামাআতের অধ্যায়

হাদীস নং: ৮৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮৫৭
একাকী নামায আদায় করে পরে জামাআতে আদায় করা
৮৫৮। কুতায়বা (রাহঃ) ......... মিহজান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি এক সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে এক মজলিসে ছিলেন। তখন নামাযের সময় হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়ালেন, তারপর নামায আদায় করে এসে দেখলেন মিহজান (রাযিঃ) সেই মজলিসেই রয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ তোমাকে নামায আদায় করা থেকে কোন জিনিস বাধা দিল? তুমি কি মুসলমান নও? তিনি বললেন, হ্যাঁ। কিন্তু আমি আমার ঘরে নামায আদায় করে ফেলেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ যখন আসবে, তখন লোকের সাথে নামায আদায় করে নেবে- যদিও পৃর্বে নামায আদায় করে থাক।
إعادة الصلاة مع الجماعة بعد صلاة الرجل لنفسه
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي الدِّيلِ يُقَالُ لَهُ بُسْرُ بْنُ مِحْجَنٍ عَنْ مِحْجَنٍ، أَنَّهُ كَانَ فِي مَجْلِسٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَذَّنَ بِالصَّلاَةِ - فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ رَجَعَ وَمِحْجَنٌ فِي مَجْلِسِهِ - فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ أَلَسْتَ بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ " . قَالَ بَلَى وَلَكِنِّي كُنْتُ قَدْ صَلَّيْتُ فِي أَهْلِي فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا جِئْتَ فَصَلِّ مَعَ النَّاسِ وَإِنْ كُنْتَ قَدْ صَلَّيْتَ " .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, কেউ একাকী নামায পড়ার পরে যদি কোন কারণে আবার ঐ নামাযের জামাতে উপস্থিত হয় তাহলে সে তাদের সাথে পুনরায় নামায পড়বে। (শামী: ২/৫৩) অবশ্য কোন্‌টি ফরয আর কোন্‌টি নফল হবে সে ব্যাপারে এ হাদীসে কিছু বলা হয়নি। হযরত আবু যর রা. থেকে মুসলিম: ১৩৪০, ১৩৪১ ও ১৩৪২ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত আছে যে, একাকী নামায আদায়ের পরে জামাতে শরিক হলে জামাতের নামাযটি হবে তার জন্য নফল। এ কথা থেকে আরো একটি মাসআলা বের হয় যে, যে সব নামাযের পরে রসূলুলস্নাহ স. নফল পড়তে নিষেধ করেছেন সে সব ফরয নামাযের ক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকর হবে না। অন্যথায় এ আমল উক্ত হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে। সুতরাং ফজর এবং আছরের নামাযে এটা করা যাবে না। কেননা এ দুই নামাযের পরে নফল পড়া নিষেধ। যে সব হাদীসে এ দুই নামাযের পরে জামাতে শরিক হওয়ার নির্দেশ পাওয়া যায় সেগুলো হয়তো ইসলামের প্রথম দিকের ঘটনা যখন ফজর এবং আছরের নামাযের পরে নফল পড়ার নিষেধাজ্ঞা জারী হয়নি। আর মাগরিবের নামাযের পরেও এটা করা যাবে না। কেননা নফল নামায বেজোড় পড়ার আমল প্রমাণিত নয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (মারাকিল ফালাহ: ১/২০৭, অধ্যায়: ইদরাকুল ফরীযা)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান