কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
১০. ইমামত - জামাআতের অধ্যায়
হাদীস নং: ৭৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৯০
ইমামকে দেখলে দাঁড়ানো।
৭৯১। আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন নামাযের আযান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আমাকে না দেখা পর্যন্ত দাঁড়াবে না।
قيام الناس إذا رأوا الإمام
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، وَحَجَّاجُ بْنُ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاَةِ فَلاَ تَقُومُوا حَتَّى تَرَوْنِي " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
উপরিউক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় মুআজ্জিন বা মুক্তাদীগণ কেউই ঘড়ি দেখে নামাযের জন্য দাঁড়িয়ে যাবে না। বরং ইমামের আগমনের অপেক্ষা করবে। ইমাম সাহেব জামাতের নির্ধারিত সময়ে না এলে তাঁর প্রতিনিধি মুয়াজ্জিন বা অন্য কেউ ইমামের স্থলাভিষিক্ত হবেন। তখন মুসল্লীগণ তাঁর সাথে দাঁড়াবে। তবে ইমামকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, যেন তাঁর বিলম্বের কারণে কোন মানুষ কষ্ট না পায়।
ইমামকে দেখে দাঁড়ানোর নিয়ম হলো ইমাম যদি মুসল্লীদের সামনের দিক থেকে আসেন তাহলে তাঁকে দেখে সকলে একসাথে দাঁড়িয়ে যাবে। আর যদি ইমাম মুসল্লীদের পিছন দিক থেকে আসেন তাহলে তিনি যে কাতার অতিক্রম করতে থাকবেন তারা দাঁড়াতে থাকবে। এভাবে ইমাম তাঁর নির্ধারিত স্থানে আসতে আসতে সকল মুসল্লী দাঁড়িয়ে যাবে। (আলমগিরী: ১/৫৭)
ইমামকে দেখে দাঁড়ানোর নিয়ম হলো ইমাম যদি মুসল্লীদের সামনের দিক থেকে আসেন তাহলে তাঁকে দেখে সকলে একসাথে দাঁড়িয়ে যাবে। আর যদি ইমাম মুসল্লীদের পিছন দিক থেকে আসেন তাহলে তিনি যে কাতার অতিক্রম করতে থাকবেন তারা দাঁড়াতে থাকবে। এভাবে ইমাম তাঁর নির্ধারিত স্থানে আসতে আসতে সকল মুসল্লী দাঁড়িয়ে যাবে। (আলমগিরী: ১/৫৭)
