কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৮. মসজিদ সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৭০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৭
মসজিদে যেতে যাকে নিষেধ করা হবে।
৭০৮। ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এ গাছ থেকে খায়, প্রথম দিন তিনি বলেছেন, ‘রসুন’ তারপর তিনি বলেছেন, ‘রসুন’, পিঁয়াজ এবং কুররাছ[১]। সে যেন আমাদের মসজিদের নিকটে না আসে। কেননা ফিরিশতাগণ কষ্টানূভব করেন যাহারা মানুষ কষ্ট অনুভব করে থাকে।[২]
[১] স্বাদে ও গন্ধে পিঁয়াজের মত এক প্রকার সবজি, কিন্তু পিঁয়াজ গোলাকৃতি আর কুররাছ লম্বা ।
[২] কাঁচা পিঁয়াজ ও রসুন দুর্গন্ধময়। অতএব এ ধরনের গন্ধযুক্ত বস্তু যথা, মুখের দুর্গন্ধ, ঘামের গন্ধ, তামাকের গন্ধ ইত্যাদি গন্ধ নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করাও এ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত।
[১] স্বাদে ও গন্ধে পিঁয়াজের মত এক প্রকার সবজি, কিন্তু পিঁয়াজ গোলাকৃতি আর কুররাছ লম্বা ।
[২] কাঁচা পিঁয়াজ ও রসুন দুর্গন্ধময়। অতএব এ ধরনের গন্ধযুক্ত বস্তু যথা, মুখের দুর্গন্ধ, ঘামের গন্ধ, তামাকের গন্ধ ইত্যাদি গন্ধ নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করাও এ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত।
من يمنع من المسجد
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ " . قَالَ أَوَّلَ يَوْمٍ " الثُّومِ " . ثُمَّ قَالَ " الثُّومِ وَالْبَصَلِ وَالْكُرَّاثِ فَلاَ يَقْرَبْنَا فِي مَسَاجِدِنَا فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ الإِنْسُ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, পিঁয়াজ-রসুন খেয়ে মাসজিদে আসা যাবে না। অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞা শুধু উক্ত দ্রব্যদ্বয়ের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। বরং মুখের দুর্গন্ধে মানুষ ও ফেরেশতারা কষ্ট পায় এমন যে কোন জিনিসের ব্যাপারেই এ হুকুম প্রযোজ্য হবে। কারণ মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলমান এবং মসজিদের ফেরেশতা কষ্ট পায় এমন কাজ থেকে বেঁচে থাকা। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ-১১৩৪ নাম্বার হাদীসে। সুতরাং বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা, গুল বা এ জাতীয় কোন জিনিস ব্যবহার করা অথবা গুরম্নত্ব সহকারে মেসওয়াক ব্যবহার না করা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে যা মানুষের জন্য পীড়াদায়ক হয় সবই এ হুকুমের আওতাভুক্ত। রসূলুল্লাহ স.-এর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, কেউ এগুলো ব্যবহার করবে, আর মাসজিদ ছেড়ে দিবে। বরং উদ্দেশ্য হলো মাসজিদে নিয়মিত আসবে। আর যে সব জিনিসের দ্বারা মানুষ কষ্ট পায় তা ছেড়ে দিবে।
